বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আরও ১০৭ আবেদন - Alokitobarta
আজ : বৃহস্পতিবার, ২০শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আরও ১০৭ আবেদন


মোহাম্মাদ আবুবকর সিদ্দীক ভুঁইয়া:দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা এখন শতাধিক। এর মধ্যে অনুমোদন থাকার পরও নানান সংকটে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে পারছে না অনেকে। যেগুলো শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে তার সবগুলোর মান সন্তোষজনক নয়। নানান অনিয়মে কয়েকটি আবার বন্ধ হওয়ার উপক্রম। অনেকে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করতেই হিমশিম খাচ্ছে। এরই মধ্যে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদনের জন্য চলছে দৌড়ঝাঁপ। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা পড়েছে ১০৭টি আবেদন। ১৫টি অনুমোদনের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। অপেক্ষা প্রধানমন্ত্রীর সম্মতির। জমা পড়া আবেদনের বড় একটি অংশ আওয়ামী লীগ নেতাদের।বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) সূত্রে জানা যায়, দেশে বর্তমানে ১০৭টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় ৬২টি। মোট চালু রয়েছে ৯৭টি। অনুমোদন নেওয়ার পরও নানান জটিলতায় কার্যক্রম শুরু হয়নি ১০টির। জনবল সংকটের কারণে এতগুলো বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম খাচ্ছে ইউজিসি। অনেকে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় আইন না মানলেও এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দেশের বিভিন্ন স্থানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদনের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ১০৭টি আবেদন জমা হয়ে আছে। যেসব জায়গায় বিশ্ববিদ্যালয় আছে, সেসব জায়গার জন্যও নতুন করে পড়েছে আবেদন। এর আগেও বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন পেয়েছেন, এমন উদ্যোক্তাও নতুন করে ভিন্ন জায়গায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন চেয়ে আবেদন করেছেন। এসব আবেদনের মধ্যে ৩০টির পরিদর্শনকাজ শেষ করে ইউজিসি থেকে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা ও বাইরের বিভিন্ন জেলায় অনুমোদনের অপেক্ষায় আরও ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয়।

জানা যায়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ এর অধীনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়। অনুমোদনের জন্য উদ্যোক্তাদের আবেদন জমা দিতে হয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে। আবেদনের ভিত্তিতে ইউজিসি পরিদর্শন রিপোর্ট জমা দিলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।ইউজিসির সদস্য (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়) অধ্যাপক বিশ্বজিৎ দত্ত বলেন, ‘এ পর্যন্ত সারাদেশে ১০৭টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তাদের অনেকে এখনো কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি। অনেকে আবার আইন অমান্য করে একাডেমিক-প্রশাসনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। হাতেগোনা কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে মানসম্মত শিক্ষক সংকট রয়েছে। অনেকে আবার সনদ বাণিজ্য ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করতে চাচ্ছে।তিনি বলেন, ‘প্রতিনিয়ত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বাড়লেও ইউজিসিতে জনবল বাড়ানো হয়নি বলে অনেক অনিয়ম ধরা সম্ভব হচ্ছে না। নতুন বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদনের চেয়ে যারা অনুমোদন পেয়েছে তাদের সঠিক পথে আনা বেশি জরুরি।

Top