মৃত্যু যখন অবধারিত সেটাতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।আমি ভয় পাইনি।কখনো ভয় পাবো না। - Alokitobarta
আজ : শনিবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মৃত্যু যখন অবধারিত সেটাতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।আমি ভয় পাইনি।কখনো ভয় পাবো না।


আলোকিত বার্তা:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,করোনাভাইরাসে মরি,গুলি খেয়ে মরি,অসুস্থ হয়ে মরি,মরতে একদিন হবেই।এই মৃত্যু যখন অবধারিত সেটাতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।আমি ভয় পাইনি।কখনো ভয় পাবো না।আমি যখন বাংলাদেশে ফিরে আসি,সেটা ছিল সেই বাংলাদেশ,যেখানে আমার বাবা,ভাই,বোন,শিশু ভাইটিকে পর্যন্ত হত্যা করা হয়েছিল।আমাদের পরিবারের বহুজনের সদস্য বুলেটবিদ্ধ,আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী বুলেটবিদ্ধ বা স্প্লিন্টার নিয়ে বেঁচে আছেনআজ বুধবার( ১০ জুন)জাতীয় সংসদে এক শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।এর আগে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে প্রধানমন্ত্রী সংসদ অধিবেশনে অংশ নেয়ায় নিজের আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন,করোনাভাইরাসের কারণে সবারই কাজ করার সুযোগ ছিল না।যারা নিয়মিত চাকরির বেতন পেতেন তার বাইরে কিছু লোক থাকেন,যারা ছোটখাট কাজ করে খান,ব্যবসা করে খান,এমন প্রতিটি মানুষের খবর নিয়ে নিয়ে তাদের ঘরে ঘরে খাবার দেয়ার ব্যবস্থা করি।এমনকি রিকশার পেছনে যারা আর্ট করে,সাংস্কৃতিককর্মী, তাদেরকে কিছু সরকারিভাবে, কিছু আমাদের ত্রাণ তহবিল থেকে সাহায্য-সহযোগিতা করেছি। আর্টিস্ট বা শিল্পী কিংবা শিল্পীদের সহযোগিতা করে যারা,তাদের কথা কেউ ভাবে না। এই ভাবনাটা কিন্তু আমার নিজের না, সত্যিকারের কথা বলতে কি- এটা শেখ রেহানার চিন্তা। সে-ই কিন্তু খুঁজে খুঁজে তাদের সাহায্য দেয়ার ব্যবস্থা করেছে।সরকারপ্রধান বলেন, প্রত্যেক জেলা প্রশাসকের কাছে এজন্য আলাদাভাবে ত্রাণ দিয়ে রেখেছি যাতে তারা সাহায্য পান। আমাদের দলের নেতাকর্মী যে যেখানে আছে, যে যেটুকু পেরেছে প্রত্যেকেই সাহায্য করেছে। সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষও সাহায্য করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন,করোনার কারণে কেউ মারা গেলে আত্মীয়-স্বজন লাশ ফেলে চলে যায়।সেই লাশটা টানে পুলিশ বাহিনী।তারা নিয়ে কবর দিচ্ছে,জানাজা দিচ্ছে।ভয়ে আপনজন কেউ থাকছে না।মানুষ ভীত হয়ে এরকম অমানবিক আচরণ করবে এটাও কিন্তু দুঃখজনক। আরেকটি বিষয় আমি না বলে পারব না,যেমন আমাদের ছাত্রলীগ আমার নির্দেশে ধান কেটেছে।এমনকি এই লাশ নিয়ে এসে তাদের দাফনের ব্যবস্থা,যারা অসুস্থ তাদের হাসপাতালে পৌঁছে দেয়া,সেবা-শুশ্রুষা করার কাজগুলো কিন্তু ছাত্রলীগ,যুবলীগ,কৃষক লীগ,শ্রমিক লীগ করে যাচ্ছে।তিনি বলেন,আল্লাহ জীবন দিয়েছেন,একদিন সে জীবন নিয়ে যাবেন।আর আল্লাহ মানুষকে কিছু কাজ দেন।সেই কাজটুকু যতক্ষণ পর্যন্ত শেষ না হবে ততক্ষণ হয়তো আমি কাজ করে যাব।যখন কাজ শেষ হয়ে যাবে,সময় শেষ হবে,তখন আমি চলে যাব।তাই এই নিয়ে চিন্তার কিছু নেই।সরকারপ্রধান বলেন,এই করোনার সময় অনেক দেশ বাজেট দিতে পারছে না।কিন্তু আমরা একদিকে যেমন করোনা মোকাবিলা করবো,পাশাপাশি আমরা দেশের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা নিশ্চিত করবো। তারা যেন কষ্ট না পায় সেজন্য যা যা করণীয় করে যাবো। আমি তো এখানে বেঁচে থাকার জন্য আসিনি।আমি তো জীবনটা বাংলার মানুষের জন্য বিলিয়ে দিতে এসেছি, এটাতে তো ভয় পাওয়ার কিছু নেই। ভয়ের কী আছে!

Top