প্রবল বেগে ধেয়ে আসছে সুপার ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’। - Alokitobarta
আজ : শনিবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রবল বেগে ধেয়ে আসছে সুপার ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’।


আলোকিত বার্তা:প্রবল বেগে ধেয়ে আসছে সুপার ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’। এটি সিডরের সমান শক্তিতে আঘাত হানতে পারে। বুধবার (২০ মে) ভোর থেকে সন্ধ্যার মধ্যে যে কোনো সময়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের নোয়াখালীর হাতিয়া দ্বীপ পর্যন্ত উপকূলজুড়েই আছড়ে পড়তে পারে ‘আম্পান।বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) জানিয়েছে, ‘আম্পান’ ঘণ্টায় গড়ে ২২ কিলোমিটার বেগে এগোচ্ছে উপকূলের দিকে। শক্তি সঞ্চয় করে ‘সুপার সাইক্লোনে’ রূপ নিয়েছে এটি। প্রতিনিয়তই এর শক্তি বাড়ছে। বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানার সময় এর গতি কিছুটা কমে ‘এক্সট্রিম সিভিয়ার সাইক্লোন’ বা ‘অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ে’ রূপ নিতে পারে। এর পরও ঘূর্ণিঝড়টি ২০০৭ সালের সিডরের মতোই শক্তি নিয়ে আসতে পারে।আন্তর্জাতিক ঘূর্ণিঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রগুলোর দেয়া তথ্যমতে, ঝড়টির কেন্দ্র থেকে ৯০ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ২৬৮ কিলোমিটার ছিল। যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়া আকারে ২৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

তবে বাংলাদেশে আঘাতের সময় এর গতি সর্বোচ্চ ১৮০ থেকে ২২০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। এটি রাত ১২টায় বাংলাদেশ উপকূল থেকে গড়ে সাড়ে ৯শ’ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল। সিডরের গতি ছিল ঘণ্টায় ২২৩ কিলোমিটার। ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর বাংলাদেশের খুলনা ও বরিশাল বিভাগের মাঝখানে প্রবাহিত বলেশ্বর নদীর মুখ দিয়ে সুন্দরবন অতিক্রম করেছিল সিডর।বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের (বিএমডি) আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ১৯ মে দিবাগত ভোররাত (২০ মে সকাল) থেকে পরবর্তী ১২ ঘণ্টার মধ্যে এটি বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে। বর্তমানে বাতাসের গতি যেটাই থাকুক কেন, আঘাত হানারকালে এর গতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২২০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। কেননা, ঘূর্ণিঝড় যতক্ষণ সাগরে থাকে তখন এর শক্তি সরবরাহ হয়। আর ঝড়ের অগ্রবর্তী অংশ যখন উপকূলে পৌঁছায় তখন শক্তি সরবরাহ কমতে থাকে। ফলে তা দুর্বল হতে শুরু করে। ওই অবস্থায় ঝড়ের প্রকৃত শক্তি থাকে না।

Top