পদ্মা-মেঘনায় মাছ ধরতে শুরু করবে জেলেরা।
আলোকিত বার্তা:মার্চ-এপ্রিল দুইমাস ইলিশ শিকারের নিষেধাজ্ঞা উঠছে শুক্রবার (১ মে)।শুক্রবার মধ্যরাত থেকে পদ্মা-মেঘনায় মাছ ধরতে শুরু করবে জেলেরা।ইলিশ শিকারে উন্মুখ মতলব উত্তরের প্রায় আট সহস্রাধিক জেলে পরিবারে স্বস্তির বাতাস বইছে।ইলিশ গবেষক ড. আনিচুর রহমান এক সাক্ষাতকারে জানান, জাটকা রক্ষার কর্মসূচি সফল হওয়ায় এ বছর ইলিশের উৎপাদন বাড়বে। বর্তমানে ইলিশের অভয়াশ্রমের পরিধিও বেড়েছে।তিনি বলেন, জাটকা সংরক্ষণের জন্য সরকার দু’মাস চাঁদপুরসহ দেশের আরো কয়েক স্থান অভয়াশ্রম ঘোষণা করে। এ সময় নদীতে যে কোনো ধরনের মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ করা হয়ে ছিলো। এখন ইলিশসহ অন্য মাছ ধরতে জেলেরা প্রস্তুত।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, এবার পানির গুণাগুণ ও খাদ্যের উপাদান অনেকটাই ভালো রয়েছে। করোনার কারণে জাটকা রক্ষা কর্মসুচি কিছুটা সীমাবদ্ধতায় রয়েছিল। তবুও উৎপাদন ব্যাহত হবে না । দেশে গত অর্থবছরে ইলিশ উৎপাদন ছিল ৫ লাখ ৩৩ হাজার মেট্রিক টন। যেখানে ২০০২-২০০৩ অর্থবছরে যেখানে ইলিশের উৎপাদন ছিল এক লাখ ৯৯ হাজার মেট্রিক টন। চলতি ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে তা বেড়ে ৫ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন হওয়ার কথা। আগামী ৫ বছরে ইলিশের উৎপাদন বাড়বেই।জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, এবার ইলিশ উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার কথা নয়। কেননা জেলেদের পূর্নবাসনে সরকার কর্তৃক কর্মসূচি ভালোভাবেই চলছে। তবে কতিপয় অসাধু জেলে কর্তৃক কোনো কোনো স্থানে জাটকা কিছুটা নিধন হলেও দেশের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হবে না।প্রসঙ্গত, জাতীয় মাছ ইলিশ রক্ষায় সরকার প্রতি বছরের অক্টোবর মাসে মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিন ও জাটকা ইলিশ রক্ষায় মার্চ-এপ্রিল দু’ মাস নদীতে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আসছে। নিষেধাজ্ঞা চলাকালে মেঘনা নদীর মতলব উত্তরের ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুরের চরআলেকজেন্ডার পর্যন্ত একশ কিলোমিটার এবং পদ্মার ২০ কিলোমিটার এলাকায় সকল প্রকার মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। যার ৬০ কিলোমিটার পড়েছে চাঁদপুর এলাকায় এবং মতলব উত্তরেই ৩০ কিলোমিটার।