বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনেই সীমাবদ্ধ থাকবে কর্মসূচি
আলোকিত বার্তা:করোনা ভাইরাসের কারণে মুজিববর্ষের শুরুতে ১৭ মার্চ (মঙ্গলবার) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্যে কর্মসূচি সীমাবদ্ধ রাখবে আওয়ামী লীগ। গণহত্যা দিবস ও স্বাধীনতা দিবসেও শ্রদ্ধাঞ্জলির মধ্যে কর্মসূচি সীমাবদ্ধ থাকবে। মুজিববর্ষের মূল কর্মসূচি কেন্দ্রীয় গণজমায়েত বাতিল করা হলেও জেলা উপজেলা পর্যায়ে স্বাভাবিক কর্মসূচির আয়োজন করা হবে।সোমবার (৯ মার্চ) রাতে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভা শেষে আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা যায়।সূত্র জানায়, করোনা ভাইরাসের কারণে মুজিববর্ষ উদযাপনে গণজমায়েতের অনুষ্ঠান বাতিলের পাশাপাশি আগামী ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস ও ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের কোনো আলোচনা সভা না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শুধুমাত্র শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলীর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে দলীয় কর্মসূচি। মুজিববর্ষ উপলক্ষে বেতার ও টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ রাখবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বেতার, টিভি, অনলাইনসহ সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুজিববর্ষের তাৎপর্য তুলে ধরার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
সূত্র আরো জানায়, ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী মুজিববর্ষে শুরুতে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধ বেদীতে ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলী, দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি পতিনিধি দল এই কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। সেখানে কোনো আলোচনা সভা হবে না। তবে বছরব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মুজিববর্ষ উদযাপন হবে এবং স্বাভাবিকভাবে কর্মসূচির আয়োজন করা হবে।গণজমায়েত না থাকলেও লাইটিং ও সাজসজ্জা থাকবে। করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে মুজিববর্ষের মূল অনুষ্ঠানের যে প্রস্তুতি, সেটা বড় আকারে আয়োজন করা হবে। ওই অনুষ্ঠানে বিদেশি অতিথিদের আমন্ত্রণ জানানো হবে।সভায় আরো সিদ্ধান্ত হয় মুজিববর্ষ উপলক্ষে দেশের প্রত্যেক গৃহহীনকে একটি করে ঘর করে দেওয়ার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।এদিকে আগামী এপ্রিল মাস থেকে আওয়ামী লীগের কমিটির মেয়াদোত্তীর্ণ জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে যে দলীয় সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে তা আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ওই সব সম্মেলন কার্যক্রম শুরু করা হবে। তবে করোনা সস্পর্কে জনসাধারণকে সতর্ক এবং জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে লিফলেট করে সারা দেশে বিতরণ করার জন্য সিদ্ধান্ত হয়।