সনদের আইনি ভিত্তি দিতে নভেম্বরেই গণভোট চাই - Alokitobarta
আজ : মঙ্গলবার, ১৮ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সনদের আইনি ভিত্তি দিতে নভেম্বরেই গণভোট চাই


মু.এবি সিদ্দীক ভুঁইয়া:আইনের ব্যত্যয় না হলে বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ জারি করবেন প্রধান উপদেষ্টা। তবে রাষ্ট্রপতি বিশেষ আদেশ দিতে পারেন না। এ সময় অধ্যাদেশ দিয়ে সাংবিধানিক পরিবর্তন সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বৈঠককালে জামায়াতের প্রতিনিধিদলে আরও উপস্থিত ছিলেন দলটির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম মাছুম ও রফিকুল ইসলাম খান।তাহের আরও বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট না হলে ফেব্রুয়ারির নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। আর নির্বাচনের দিন গণভোট হলে আইনগত জটিলতা তৈরি হবে। কিছু টাকা অতিরিক্ত খরচ হলেও দেশের কল্যাণে গণভোট আগে করা ছাড়া উপায় নেই। জনগণের চাপে বিএনপি গণভোটে রাজি হলেও দলটি একটা প্যাঁচ লাগিয়ে রেখেছে। বিএনপি জাতীয় নির্বাচন এবং গণভোট একসঙ্গে চায়। অথচ গণভোট আর জাতীয় ভোট আলাদা। গণভোটের মাধ্যমে রিফর্ম কমিটি আলাদা হবে।জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতে জাতীয় নির্বাচনের আগে নভেম্বরেই গণভোটের দাবি জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। পাশাপাশি বিশেষ আদেশের মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের দাবি করেছে। বুধবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠককালে দলটির নেতারা এ দাবি করেন। এছাড়া দলটির পক্ষ থেকে কয়েকজন উপদেষ্টাকে নিয়ে আপত্তি তোলা হয়েছে।বৈঠক শেষে জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, বিশেষ আদেশ এবং গণভোটের মাধ্যমে জুলাই সনদ বৈধতা পাবে। এই সনদ বাস্তবায়ন না হলে সবকিছু পণ্ডশ্রম হবে। আর জাতীয় ভোটের মাধ্যমে দেশ চলবে।তিনি বলেন, ‘বিএনপি অজুহাত দেখাচ্ছে গণভোটের সময় নেই। কিন্তু গণভোটের যথেষ্ট সময় আছে। নভেম্বরেই সেটা করা যাবে। এই গণভোট হলেই তাহলে জনগণের সিদ্ধান্ত নিয়ে জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে নির্বাচন হবে, নয়তো আগের মতোই হবে। জামায়াত চায় নভেম্বরের শেষে গণভোট হবে। পরে জাতীয় নির্বাচনের জন্য যথেষ্ট সময় থাকবে।জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, ‘প্রশাসন, পুলিশে ৭০ শতাংশ লোক একটি নির্দিষ্ট দলের প্রতিনিধিত্ব করে। তাদের দিয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। ফলে আগামী জাতীয় নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতে প্রশাসনে রদবদল করতে হবে। এক্ষেত্রে লটারির মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।’

কয়েকজন উপদেষ্টা নিয়ে আপত্তি : কয়েকজন উপদেষ্টাকে নিয়ে আপত্তি জানালেও তাদের নাম প্রকাশ করেনি জামায়াত। ডা. তাহের বলেন, ‘যারা উপদেষ্টা, তাদের ব্যাপারে বলেছি, সবার ব্যাপারে নয়। আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছি, আপনার প্রতি আমাদের আস্থা আছে। কিন্তু আপনার কিছু লোক আপনাকে বিভ্রান্ত করে। কোনো একটা দলের পক্ষে কাজ করে। তাদের ব্যাপারে আপনাকে হুঁশিয়ার থাকা দরকার।

বৈঠকে কোনো উপদেষ্টার অপসারণের দাবি তুলেছেন কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে তাহের বলেন, ‘আমরা এখন দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। সময় দিচ্ছি। যদি না হয়, তাহলে যা যা করার, সেগুলোর ব্যাপারে আমরা চিন্তা করব।তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনো দাবি তোলা হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যাপারে এখনো সুপ্রিমকোর্টে শুনানি হচ্ছে। জামায়াত সুপ্রিমকোর্টের রায়ের অপেক্ষায় আছে। সুপ্রিমকোর্টের রায়ে কোনো ব্যত্যয় না হলে অন্তর্বর্তী সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করছি।জামায়াতে ইসলামীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান উপদেষ্টা কী বলেছেন-এমন প্রশ্নের জবাবে আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা বলছেন যে উনি এগুলো নিয়ে গভীরভাবে চিন্তাভাবনা করছেন এবং যেটা করতে হবে, সেটি উনি করবেন, ইনশাআল্লাহ।

Top