সফলভাবে অর্থ উদ্ধার করতে পারলেই এসব প্রতিষ্ঠান কমিশন হিসেবে নির্ধারিত একটি অংশ পাবে - Alokitobarta
আজ : বুধবার, ৮ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদঃ
আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু আর সে রাষ্ট্র নির্মাণের মূল চালিকাশক্তি শিক্ষক সমাজ আমরা কেন এই গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের অফিসের সামনে আজকে দাঁড়ালাম? একটা সুন্দর সুষ্ঠু নির্বাচন যাতে আমরা উপহার দিতে পারি,সে ব্যাপারে আপনাদের সহযোগিতা চাই দ্রুত তদন্তের নির্দেশ,জোর করে পদত্যাগ করানো শিক্ষকদের মানবেতর জীবনযাপন নির্বাচন নিয়ে ‘গভীর ষড়যন্ত্র’ হচ্ছে সজাগ থাকুন হজযাত্রী নিবন্ধনের সুবিধার্থে পাসপোর্টের মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ শিথিল করেছে মাউশি মহাপরিচালকের আবেদন,পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা ,বদলি ও পদায়ন নিয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি এককভাবে সরকার গঠন করবে

সফলভাবে অর্থ উদ্ধার করতে পারলেই এসব প্রতিষ্ঠান কমিশন হিসেবে নির্ধারিত একটি অংশ পাবে


মু.এবি সিদ্দীক ভুঁইয়া:সফলভাবে অর্থ উদ্ধার করতে পারলেই এসব প্রতিষ্ঠান কমিশন হিসেবে নির্ধারিত একটি অংশ পাবে।ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার পরিবার এবং ১০টি শিল্পগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকা বিদেশে পাচার করা অর্থ উদ্ধারে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তির নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।সোমবার (৬ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। বৈঠকে পাচার করা অর্থ উদ্ধারের জন্য নিয়োজিত গভর্নরের উপদেষ্টা ফারহানুল গনি চৌধুরী, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) নির্বাহী পরিচালক মফিজুর রহমান খান চৌধুরী, বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, পাচার করা অর্থ শনাক্ত, উদ্ধার ও দেশে ফেরত আনার জন্য প্রশাসনিক এবং আইনি সহায়তা দিতে সক্ষম এমন আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে চুক্তি করতে পারবে ব্যাংকগুলো। যেসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করবে এমন সম্ভাব্য বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের নামও জানানো হয় বৈঠকে। তবে ব্যাংকগুলো চাইলে আন্তর্জাতিকভাবে স্বনামধন্য অন্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও চুক্তি করতে পারবে যারা প্রশাসনিক ও আইনি সহায়তা দিতে পারবে। এসব প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় পাচার হওয়া অর্থের উৎস শনাক্ত ও সংশ্লিষ্ট দেশের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে অর্থ ফেরত আনার প্রক্রিয়া সহজ হবে বলে মনে করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

জানা যায়, সভায় শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের পাশাপাশি আরও ১০ শিল্প গোষ্ঠীর অর্থ পাচারের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে বিএফআইইউ। ১০টি গ্রুপ হলো—এস আলম গ্রুপ, বেক্সিমকো গ্রুপ, নাবিল গ্রুপ, সামিট গ্রুপ, ওরিয়ন গ্রুপ, জেমকন গ্রুপ, নাসা গ্রুপ, বসুন্ধরা গ্রুপ, সিকদার গ্রুপ ও আরামিট গ্রুপ। এর বাইরে আরও যেসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান অর্থ পাচার করেছে, তা বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। এসব অর্থে গন্তব্য কোথায় তা–ও জানানো হয়। এ জন্য অন্য দেশ কী ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে, তা তুলে ধরে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোকেও একই পথ অনুসরণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

সভা শেষে ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ওমর ফারুক খান সাংবাদিকদের বলেন, বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরাতে আন্তর্জাতিক আইন ও সম্পদ পুনরুদ্ধার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কয়েকটি ব্যাংক নেতৃত্ব দেবে, অন্য ব্যাংকগুলো তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে। এরপর বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি সম্পন্ন করে টাকা ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, দেশ থেকে যেসব অর্থ পাচার হয়েছে, তা উদ্ধারে ব্যাংকগুলোকে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করতে বলা হয়েছে। কাদের সঙ্গে চুক্তি করা যায় ব্যাংকগুলোর পক্ষ থেকে জানতে চাইলে সম্ভাব্য ৬ থেকে ৭টি প্রতিষ্ঠানের নাম বলা হয়। আবার ব্যাংকগুলো নিজস্ব চিন্তায় যদি কোনো দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান থাকে, যারা পাচার করা অর্থ উদ্ধারে কাজ করে, তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করতে পারবে বলে জানানো হয়। এসব প্রতিষ্ঠান আগ্রহী হলে প্রাথমিকভাবে চুক্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিএফআইইউর সূত্রে জানা গেছে, শেখ পরিবার এবং ১০ শিল্প গোষ্ঠীর ব্যাংক ঋণে অনিয়ম, কর ফাঁকি, অর্থপাচারসহ নানা অনিয়ম অনুসন্ধানে কাজ করছে সরকার গঠিত ১১টি তদন্ত দল। ইতোমধ্যে শেখ পরিবারসহ ১১টি শিল্প গ্রুপের পাচার করা বিপুল পরিমাণ অর্থ এবং পাচারের টাকায় বিদেশে গড়ে তোলা বিপুল পরিমাণ সম্পদের খোঁজ পেয়েছে। আদালত ও আর্থিক গয়েন্দা সংস্থা এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ৫৭ হাজার ২৬০ কোটি টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ ও শেয়ার জব্দ করা হয়েছে।

Top