আমরা কেন এই গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের অফিসের সামনে আজকে দাঁড়ালাম?



মোহাম্মাদ আবুবকর সিদ্দীক ভুঁইয়া :আমরা কেন এই গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের অফিসের সামনে আজকে দাঁড়ালাম? আসলে আমরা আওয়ামী লীগের অফিসের সামনে দাঁড়াইনি। আমরা দাঁড়িয়েছি সে বিল্ডিংয়ের সামনে—যে বিল্ডিংয়ে বসে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করা হয়েছে, শাহবাগ গণহত্যা চালানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে, শুধু তাই না, বায়তুল মোকাররমে কোরআন শরিফগুলো পুড়িয়ে দিয়ে, ফুটপাতের দোকানগুলো পুড়িয়ে দিয়ে কওমি মাদরাসার বাচ্চাদের নামে চালিয়ে দেওয়া হয়েছে।মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর)রাজধানীর ওসমান বিন হাদি বলেন,শহীদ আবরার ফাহাদ অ্যাভিনিউতে ইনকিলাব মঞ্চ কর্তৃক আয়োজিত‘ভারতীয় আধিপত্যবাদবিরোধী সংগ্রামে অগ্রসেনা শহীদ আবরার ফাহাদের শাহাদাতবার্ষিকী ও আগ্রাসনবিরোধী মুক্তির মোনাজাত’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। শুধু জুলাই গণহত্যা, পিলখানা গণহত্যা, শাপলা চত্বর গণহত্যা নয়; গত ১৫ বছর যত মন্দিরে, যত উপাসনালয়ে হামলা হয়েছে, যত ধরনের আগুন লাগানো হয়েছে, ষড়যন্ত্র হয়েছে, প্রত্যেকটা খুনি শেখ হাসিনা এবং তার স্বামী দিল্লির নির্দেশে করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান বিন হাদি।
হাসিনার ফাঁস হওয়া কলরেকর্ডের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই কলরেকর্ড থেকে বোঝা যায় মেট্রোরেল থেকে শুরু করে, বিটিভি ভবন ও সেতু ভবনসহ বিভিন্ন স্থাপনায় হাসিনার নির্দেশেই হামলা ও অগ্নিকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। এতে বোঝা যায়, শুধু জুলাই গণহত্যা নয়, গত ১৫ বছরে যত মন্দিরে হামলা হয়েছে, যত উপাসনালয়ে হামলা হয়েছে, যত ধরনের আগুন লাগানো হয়েছে ও ষড়যন্ত্র হয়েছে প্রত্যেকটা খুনি হাসিনা এবং তার স্বামী দিল্লির নির্দেশে করা হয়েছে।ইনকিলাব মঞ্চের এই মুখপাত্র কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ভবনটিকে গুঁড়িয়ে না দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য বার্তা হিসেবে ‘ফেরাউনের দেহের মতো’ সংরক্ষণ করার আহ্বান জানান।তিনি বলেন, ভবনটির সামনে পিলখানা, শাপলা ও জুলাই গণহত্যার ঐতিহাসিক ভয়াবহতার ছবি বড় করে টাঙানো হবে, যেন মানুষ ইতিহাসের ভয়াবহতা স্মরণ রাখতে পারে।ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আবদুল্লাহ আল জাবেরের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব ফাতিমা তাসনিম জুমা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ইনকিলাব মঞ্চ আহ্বায়ক নূর মোহাম্মদ, রায়হান আহমেদ, ফজলে রাব্বি প্রমুখ।
বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন,বাংলার এই মাটিতে কোনো আগ্রাসন স্থায়ী হতে পারে না।শহীদ আবরার ফাহাদের মতো তরুণরা ছিলেন স্বাধীনতার চেতনার প্রতীক, ভবিষ্যতেও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দেশের পক্ষে এমন হাজার আবরার দাঁড়াবে।শহীদ আবরার ফাহাদকে শ্রদ্ধা জানিয়ে আধিপত্যবিরোধী ও সব ধরনের আগ্রাসন-বিরোধী আন্দোলনের আহ্বান জানান বক্তারা।পিলখানা, শাপলা চত্বরসহ সব হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করার অনুরোধ জানিয়ে তারা বলেন, শহীদদের রক্তের ওপর দিয়ে যারা সরকারে আছেন তাদের শহীদদের সঙ্গে গদ্দারি করা ঠিক হবে না।রজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যে তারা বলেন, রাজনৈতিক মতবিরোধ থাকবেই, তবে ভারতের আধিপত্যবাদের বিপক্ষে দাঁড়ানো এবং দেশের ওপর যেসব অন্যায় হয়েছে সেগুলোর বিচার করার ব্যাপারে ঐকমত্য থাকা জরুরি।অনুষ্ঠান শেষে সব শহীদের মুক্তির জন্য মোনাজাত পরিচালনা করেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান বিন হাদি।