পোশাক রফতানি ৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে



মোহাম্মাদ আবুবকর সিদ্দীক ভুঁইয়া:যা দেশের সামগ্রিক রফতানি আয়েও প্রতিফলিত হয়েছে। তৈরি পোশাক খাতে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি দেখা দিয়েছে কারণ বেশিরভাগ ক্রেতাই নতুন করে কোনো অর্ডার দিচ্ছে না। তারা এখন অতিরিক্ত ২০ শতাংশ রেসিপ্রোক্যাল শুল্কের একটি অংশ বাংলাদেশি সরবরাহকারীদের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।রফতানিকারকদের পক্ষে এই অতিরিক্ত চাপ বহন করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। কারণ তারা ইতোমধ্যেই প্রাথমিক শুল্ক সমন্বয় এবং উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধির প্রভাবসহ বিভিন্ন ধরনের চাপে রয়েছে। এছাড়া, বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং অন্যান্য বাজারেও কঠিন প্রতিযোগিতার মুখে পড়েছে, কারণ চীনা ও ভারতীয় প্রস্তুতকারকরা যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এইসব বাজারে রফতানি বাড়ানোর চেষ্টা করছে।যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ধাক্কার প্রভাবে বছরের সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রফতানি ৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
এই ধীরগতি আগামী দুই থেকে তিন মাস অব্যাহত থাকতে পারে। তবে আন্তর্জাতিক ক্রেতারা নতুন শুল্ক কাঠামোর সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারলে রপ্তানি আবারও পুনরুদ্ধার হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ সময়টায় রফতানিকারকদের ধৈর্য্য সহকারে ক্রেতাদের যে কোন ধরনের চাপ মোকাবেলা করতে হবে বলে জানিয়েছে বিকেএমইএ।