একশ আসন ছেড়ে দেবে জামায়াত
মোহাম্মাদ মহাব্বাতুল্লাহ মাহাদ :অনেকগুলো দলের সঙ্গে নির্বাচনকেন্দ্রিক সমঝোতা করতে আলোচনা শুরু হয়েছে। এমনও হতে পারে, ঐক্য হওয়া দলগুলোকে কমবেশি একশ আসন ছেড়ে দেওয়া লাগতে পারে।সেক্ষেত্রে জামায়াতে ইসলামী ২০০ আসনেই ইলেকশন করবে ইনশাআল্লাহ। তিনি জামায়াতের প্রতিটি কর্মীকে এখন নির্বাচনী মাঠে নেমে পূর্ণ শক্তিতে কাজ করার আহ্বান জানান।তিনি বলেন, যারা একসময় ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তাদের সবাইকে এখন আবার সক্রিয় হয়ে দেশের জন্য ভূমিকা রাখতে হবে। শুক্রবার সকালে খুলনার সোনাডাঙ্গা থানাধীন আল ফারুক সোসাইটি মিলনায়তনে খুলনা মহানগরী ইসলামী ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে সদস্য পুনর্মিলনী (১৯৭৭-২০২৫) অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক সংসদ সদস্য মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার মাধ্যমে পূর্ণ নির্বাচনী প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
‘সম্প্রীতির টানে শিকড়ের পানে’-এ স্লোগানকে সামনে রেখে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মিয়া গোলাম পরওয়ার স্মৃতিচারণ করেন। তিনি খুলনার ছাত্রশিবির নেতা শহীদ আমিনুল ইসলাম বিমান, মুন্সী আব্দুল হালিম, আমানুল্লাহ আমান, শেখ রহমত আলী, আবুল কাশেম পাঠান ও সাংবাদিক শেখ বেলাল উদ্দিনের নাম উল্লেখ করে বলেন, তাদের ত্যাগ ও অবদান আমাদের রাজনীতির ইতিহাসে এক উজ্জ্বল অধ্যায়। খুলনা মহানগরী ছাত্রশিবিরের সভাপতি আরাফাত হোসেন মিলনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি রাকিব হাসানের পরিচালনায় প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চল সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা জেলা আমীর মাওলানা এমরান হুসাইন, মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর অধ্যাপক নজিবুর রহমান ও সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন মহানগরী ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি শেখ কামরুল আলম, অ্যাডভোকেট শেখ আব্দুল ওয়াদুদ, অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুস, গোলাম মোস্তফা আল মুজাহিদ প্রমুখ।
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, জাতীয় নির্বাচন সামনে। এখন থেকে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে নির্বাচনের কত আগে আমি ছুটি নিয়ে বাড়ি যেতে পারব। এটাই মোক্ষম সময় সিদ্ধান্ত নেওয়ার। ফ্যাসিস্ট আমাদের গর্তে ঢোকাতে চেয়েছিল, আল্লাহ তাআলা তাদেরই গর্তে দিয়ে ইসলামী আন্দোলনকে মর্যাদার আসনে বসিয়েছে। ক্ষমতাকে আল্লাহর দান উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ক্ষমতায় কে যাবে বা যাবে না, সেটির মালিক আল্লাহ। তাই ক্ষমতার দম্ভ দেখানো উচিত নয়। কেউ কেউ মনে করেন তারা ক্ষমতায় চলে গেছেন। এমন দম্ভ করা ঠিক না।’ তিনি আরও বলেন, পৃথিবীর ৯১টি দেশে পিআর চালু আছে, এর ৬-৭টি পদ্ধতি রয়েছে। বাংলাদেশের জন্য কোন পদ্ধতি উপযোগী-তা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হতে পারে।
মিয়া গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, খুলনাসহ যেসব ময়দানে শিবিরের রক্ত ঝরেছে, সেসব স্থানেই ইসলামের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছে। শিবির অতীতকে হারিয়ে যেতে দেয় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, এদেশে ইসলামী আদর্শ বাস্তবায়নে যার যতটুকু অবদান রয়েছে তার যথাযথ মূল্যায়ন শিবির করছে। ছাত্রজীবনে যারা দায়িত্বশীল ছিলেন, আগামী নির্বাচনে তারা বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে পারবেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, যে যে পেশায়ই আছেন না কেন, অন্তত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পেশা/চাকরির পাশাপাশি নির্বাচনী কার্যক্রমে নিজেদের সম্পৃক্ত রাখার চেষ্টা করুন।