সাত দফা দাবিতে জামায়াতসহ ইসলামী দলগুলোর যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গে এনসিপি যাবে না - Alokitobarta
আজ : মঙ্গলবার, ১৮ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাত দফা দাবিতে জামায়াতসহ ইসলামী দলগুলোর যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গে এনসিপি যাবে না


নুর নবী জনী : সাত দফা দাবিতে জামায়াতসহ ইসলামী দলগুলোর যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গে এনসিপি যাবে না । এ মুহূর্তে বড় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কোনো জোট নয় বরং স্বতন্ত্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে এগোবে তার দল। তিনি বলেন, এনসিপি নিম্নকক্ষে নয় শুধু উচ্চকক্ষে পিআর চায়। তাই জামায়াতে ইসলামীসহ যেকটি দল পিআর ইস্যুতে যুগপৎ আন্দোলন করছে, তাদের সঙ্গে আমরা নেই। অন্তর্বর্তী সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সক্ষমতার অভাবেই আওয়ামী লীগ বিভিন্ন স্থানে মিছিল করতে পারছে। আওয়ামী লীগ নানাভাবে সংগঠিত হচ্ছে, সরকারের ভেতর থেকেই তাদের সহায়তা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে দল হিসাবে তাদের বিচার কাজ শুরু করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) কোনো জোটভুক্ত আন্দোলনে নয়, সম্পূর্ণ নিজস্ব লক্ষ্য নিয়ে এগোবে বলে জানিয়েছেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, সংসদের নিম্নকক্ষে নয়, উচ্চকক্ষে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি (পিআর) চায় এনসিপি। শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগের আবু সাঈদ মিলনায়তন কেন্দ্রে এনসিপির সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

এনসিপির নিবন্ধনের নিশ্চয়তা আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এনসিপি শেষ পর্যন্ত কি প্রতীক বরাদ্দ পাবে তা এখনো জানা যায়নি। তবে দলের নিবন্ধন পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত। কারণ নিবন্ধন পাওয়ার জন্য যেসব শর্ত পূরণ করতে হয় তার সবই পূরণ করা হয়েছে। এছাড়া প্রতীক হিসাবে শেষ পর্যন্ত শাপলাই পাওয়া যাবে।

সংস্কারের আইনি ভিত্তি এবং জাতীয় ও গণপরিষদ নির্বাচন একই সঙ্গে অনুষ্ঠিত হওয়া প্রয়োজন উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির জন্য গণপরিষদের বিকল্প নেই। গণপরিষদ ও জাতীয় নির্বাচন আমরা যেহেতু একসঙ্গে চাচ্ছি, তাই যৌথ নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য আমরা সবাইকে নির্দেশনা দিয়েছি। অক্টোবরের মধ্যে উপজেলা পর্যায়ে আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে আবারও মাঠে নামবে এনসিপি।’

নিজেদের দলীয় কাঠামোর বিষয়ে তিনি বলেন, আগামী অক্টোবরের মধ্যে সমন্বয় কমিটি থেকে দেশব্যাপী আহ্বায়ক কমিটি গঠনের ব্যাপারে আমরা আশাবাদী। এছাড়া দুর্নীতির বিরুদ্ধে সামাজিকভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানাই।

দলের সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, জোট ও গণপরিষদের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। স্থানীয় নেতাকর্মীরা আমাদের বলেছেন, আওয়ামী দোসররা এখনো ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাই তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই। সভায় দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সমন্বয় কমিটির নেতারা অংশগ্রহণ করেন।

হেফাজতের আমিরের সঙ্গে এনসিপির শীর্ষ নেতাদের সাক্ষাৎ : কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। এনসিপির পক্ষ থেকে এই সাক্ষাৎকে ‘অনানুষ্ঠানিক সৌজন্য সাক্ষাৎ’ উল্লেখ করে বলা হয়েছে, সেখানে কোনো রাজনৈতিক আলোচনা হয়নি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার বাংলাদেশে এ সাক্ষাৎ হয়। সূত্র বলছে, একই দিন হেফাজত আমিরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদও। এ বিষয়ে বিএনপির কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

জানা যায়, হেফাজতের আমিরের সঙ্গে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্য সচিব আখতার হোসেনের নেতৃত্বে দলটির কয়েকজন নেতার একটি প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করে। হেফাজতের মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমানও এ সময় উপস্থিত ছিলেন। কয়েক দিনের জন্য ঢাকায় এসেছেন হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী। এনসিপির দুজন নেতা গণমাধ্যমকে বলেন, হেফাজতের আমির সাধারণত ঢাকায় আসেন না, চট্টগ্রামের হাটহাজারীতেই থাকেন। বিভিন্ন দল-সংগঠনের প্রধানদের সঙ্গে গত এক বছরে এনসিপির নেতাদের সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েছে। কিন্তু হেফাজতের আমিরের সঙ্গে তাদের সরাসরি সাক্ষাতের সুযোগ সেভাবে হয়নি।এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সাক্ষাতে আমরা হেফাজতে ইসলামের আমিরের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিয়েছি। সেখানে কোনো রাজনৈতিক আলোচনা হয়নি।

Top