সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিয়োগ বাণিজ্যে করার অভিযোগ ফায়ারের ডিজির বিরুদ্ধে
এবি সিদ্দীক ভূইঁয়া : সিন্ডিকেটের মাধ্যমে
নিয়োগ বাণিজ্যের করার অভিযোগ ফায়ারের ডিজির বিরুদ্ধে।জনমনের আনিত অভিযোগের কারনে সুষ্ঠ তদন্ত কমিশন গঠনের আবেদন টি করেন মোঃ মাসুম বিল্লাহ, জাতীয় নাগরিক পার্টি, বরিশাল জেলার যুগ্ম সমন্বয়কারী, সদস্য সচিব জাতীয় নাগরিক পেশাজীবি ফোরাম ঢাকা এবং ফাউন্ডার এবং এক্স কো-অর্ডিনেটর, কমিউনিটি অব বাংলাদেশী স্টুডেন্টস (সিবিএস) ইউ কে। অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে যাহা,
ডিজি জাহিদ এক বছর যাবৎ ফায়াস সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স প্রতিষ্ঠানে সিন্ডিকেট করিয়া একক আধিপত্য বিস্তার করিয়া আসিতেছেন। আধিপত্যের জোড়ে তিনি এই ফায়ার সার্ভিস এর সকল সেবা ক্ষেত্র থেকে প্রচুর টাকা হাতিয়ে নিতেছেন।টাকা ছাড়া তিনি কোন সেবাই তিনি প্রদান করেন না। টাকাই তার কাছে চূড়ান্ত কথা। একটি সেবা ধর্মী প্রতিষ্ঠানে এমন আচরন ফায়ার সার্ভিসের সেবা নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ হইতেছে জনসাধারণের মাঝে এবং সেবা গ্রহণকারী সকলে এই ডিজি জাহিদ সাহেবের অফিসকে এখন দূর্ণীতির সিন্ডিকেটের আতুরঘর নাম দিয়েছেন। দুর্নীতিবাজের উপুরি অর্থের কৌতুক প্রচলিত রয়েছে আঙ্গুর ফুলে কলাগাছ, আলাদিনের জাদুর চেড়াগ। সেই সব প্রবাদের জীবন্ত প্রতিমূর্তি ফায়ার সার্ভিসের ডিজি জাহিদ সাহেব। এখন বর্তমানে তিনি নিয়োগ, বদলী, টেন্ডার, কেনাকাটা, ফায়ার রিপোর্ট, সেফটি প্লান, ফায়ারের শুরু থেকে শেষ কার্যক্রম মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে প্রদান করেন। শুধু তাই নয়, সেবা ধর্মী প্রতিষ্ঠানের এম্বুলেন্সটাই হচ্ছে মূল। বিপদগ্রস্থ অসহায় মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষার স্থল, যেখানে গুণগতমানের সেবা পাওয়া যায়, ঠিক সেই জায়গা থেকেও কোটি কোটি টাকা বাণিজ্য করে অবৈধভাবে একটি নরমাল কোম্পানীকে দিয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন। ডিজি জাহিদ সাহেবের অফিসে বস্তাভর্তি টাকা নিজে সহ তাহার অফিসের কর্মচারী ও তাহার নিজস্ব লোক দিয়ে গুনেরছেন বলিয়া তাহার অফিসের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই দাবী করেছেন। ডিজি জাহিদ তাহার কর্মচারীর বক্তব্যে উল্লেখ আছে যে, জাহিদের অনৈতিক কাজে পেটোয়া বাহিনী কাজ করে। আর এই পেটোয়া বাহিনীকে প্রতি মাসে ডিজি অফিস থেকে খামে করে লক্ষ লক্ষ টাকা পেটোয়া বাহিনীর বাসায় পৌঁছে দেয় এবং পেটোয়া বাহিনীকে বলে, তোমাদের অবদানে আমি ফায়ার সার্ভিসে আসছি। শুধু তাই নয়, ডিজির স্টাফ অফিসার শামস আরমান, ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরে ১৫ বৎসর ধরে ঘাপটি মেরে রয়েছে। তিনি ডিজির সকল অনৈতিক কাজ বাস্তবায়ন করেন। তিনি সিন্ডিকেটের সদস্য সচিব। সভাপতি হচ্ছে মহাপরিচালক নিজেই। বর্তমানে মহাপরিচালকের ইন্দোনেই পূর্বের ন্যায় এখনও শামস আরমান আওয়ামীলীগ সময়ে যে দাপটগুলো দেখিয়েছিল ১৫ বছর যাবৎ ডিজির পা চেঁটে, এখন বহাল তবিয়তে রয়েছে। শামস আরমান যেখানে হত্যা মামলার আসামী থাকার পরেও এখনও বহাল রয়েছেন। কারণ ডিজির সকল অনৈতিক কাজে ডিজিকে কোটি কোটি টাকার অবৈধ লেনদেনের সহযোগিতা করেন, যার পরিপ্রেক্ষিতে শামস আরমান তার সিন্ডিকেট নিয়ে এখনও বহাল তবিয়তে আছেন। আর এ আরমানের সিন্ডিকেটকে কেউ কিছু বললে, তাকে ভয় ভীতি এবং হুমকি প্রদর্শন করিয়া থাকে এবং বদলি সাময়িক বরখাস্ত ও ইনক্রিমেন্ট হেলড্রাপ করার ঘটনা ঘটিয়েছে। এই সিন্ডিকেটের অনেক কালো টাকা রয়েছে। তাদের তো ২/৪ কোটি টাকা নয়। এই সিন্ডিকেট শতকোটি টাকার মালিক। আর এ সকল অনৈতিক কাজ জাহিদের নির্দেশে বাস্তবায়ন হচ্ছে। যদিও জাহিদ সরকার পরিবর্তনের পরপর পোয়াবারো হয়। কারণ তার নিয়োগটি হয়েছিল ১৯৯৫ সালে অর্থাৎ বিএনপি সরকারের আমলে। যদিও ডিজি জাহিদ কর্মকালজুড়ে উচ্ছিষ্ট চেটেছেন পুরো আওয়ামী জামানায়। হাসিনার মাফিয়াতন্ত্রই ছিল জাহিদের লুটতন্ত্র’র জন্য ছিলো তাপানুকূল। তিনি আওয়ামী লীগের প্রধান শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহেনাকে নিয়মিত টাকা সরবরাহ করিয়া সকল সময় টাকা আয়ের কর্মস্থল বেছে নিয়েছেন। ফলে মিডিয়ার কলম-ক্যামেরা তার সান্নিধ্যে গিয়ে হয়ে যেতো হিপ্টোনাইজড। ডিজি জাহিদ ৩০ বছরের কর্মজীবনে দূর্ণীতির তুঙ্গীয় অবস্থানে থাকলেও ছিলেন ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। জাহিদ বর্তমানে পট-পরিবর্তনের পর চলে যান আরও উঁচুতে।
বর্তমানে ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরে তার আশেপাশে ১৫/২০ বছর যাবৎ সদর দপ্তর এবং ঢাকার আশেপাশে কর্মরত রয়েছেন অনেক কর্মকর্তা ও কর্মচারী। তাদেরকে কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে সদর দপ্তর এবং ঢাকার আশেপাশে বহাল রেখেছেন। শুধু তাই নয় উপপরিচালক থেকে শুরু করে সহকারী পরিচালক পর্যন্ত লক্ষ কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব প্রেরণ করে। তখন ডিজি জাহিদ মন্ত্রণালয়ের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদেরকে বর্তমানে স্ব-রাষ্ট্র উপদেষ্টা লেঃ জেনারেল জাহাঙ্গীর হোসেন, উনার ভয়ভীতি দেখিয়ে মন্ত্রণালের কাঙ্ক্ষিত শাখা থেকে উনার প্রস্তাব বাস্তবায়ন করে নিয়ে আসেন এবং ডিজি জাহিদ এটাও বলেন, আমি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা স্টাফ অফিসার ছিলাম। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আমাকে বলে দিয়েছে, আমার কোনো কাজে কোনো উর্দ্ধতন কর্মকর্তা নাক গলালে উপদেষ্টা তাদেরকে বদলি করে দিবে।
ডিজি জাহিদ এই কথা দাবি করেন, আমি কাউকে ভয় পাই না। আমার অনেক পেটোয়া বাহিনী আছে। মন্ত্রণালয়ে এখন যারা আছে তারা তো শুধু চুনাপুটি, আমি উপদেষ্টা স্টাফ অফিসার ছিলাম। আমি অনেক কিছু জানি। উপদেষ্টা বলে দিয়েছে, যারা আমার কাজে বাঁধা দিবে তাদের নাম বললে, উপদেষ্টা তাদের বদলি করে দিবে। স্বরাষ্ট্র সচিব আমাকে কিছুদিন আগে ফায়ার ফাইটারকে মাঠে টিকানোর জন্য একটি তদবির দিয়েছিলো। আমি সেটা শুনিনি। ছেলেটা এমনিতেই মাঠে টিকে গেছে এবং মন্ত্রণালয় থেকে কিছু অফিসার লিস্ট দিয়েছিল। সেটাও আমি পাত্তাদেইনি। বরং আমি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে বলে, যারা এগুলো করতে চেয়েছিল, আমি তাদের নামে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা স্যারের কাছে অভিযোগ দিয়েছি। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা স্যার সাথে সাথে ব্যবস্থা নিয়েছেন। আর বাকিগুলো তো মাত্র চুনাপুটি। আমার সচিব গুনার টাইম নাই। এই বলে ডিজি জাহিদ মিথ্যাচার করে ফায়ার সার্ভিস ও সেনা সদরে ভয়ভীতি সৃষ্টি করিয়া সকলের মাঝে ত্রাস করিয়া আসিতেছেন ।
শুধু তাই নয়, বর্তমানে ফায়ারের ডিজি নিয়োগ অনৈতিকভাবে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সম্পূর্ণ করার জন্য উনি উনার পছন্দের লোকদের দিয়ে নিয়োগ কমিটি করেছে এবং উনার সিন্ডিকেট নিয়োগের মাঠে কাজ করতেছে, তিনি এটি বাস্তবায়ন করার জন্য সার্বক্ষণিক মাঠেই থাকেন। যেখানে উনি কমিটির কেউ না। তার সিন্ডিকেট খুব আনন্দিত হয়, যখন উনি মাঠে যায়। যেনো উনার সিন্ডিকেট নিয়োগের অনৈতিক কাজগুলো বাস্তবায়ন করতে পারে, সে সাহস জোগানোর জন্য উনি মাঠে যায়। তিনি শুধু মাঠেই সেরা নয়, তিনি অফিসেও সেরা। তার টেবিলে আসা ফাইলগুলো কারণে-অকারণে কয়েরিজ দিয়ে আটকে রাখছেন। এই মুহুর্তে শুধু ২৫টির মত ফাইল আটকে রেখেছেন। যার সঙ্গে গোপন বোঝাপরা হয় তাদের পজেটিভ নোট দিয়ে ছাড়েন। নয়তো ১ লাইনের নোট দিয়ে নেগেটিভ করে দেন। ঘুষের জন্যই তিনি ফাইল আটকে রাখেন। এজন্যই তাকে বলা হয়, কেতাদুরস্ত, সুদর্শন ‘স্মার্ট অফিসার’ হিসেবে খ্যাত। ডিজি জাহিদ শুধু দুর্নীতিবাজই নন, তিনি ধূর্তও বটে। বাকপটু এ দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা কথা ফুলঝুরিতে মুগ্ধ করেন উপদস্থ কর্মকর্তাদের। অথচ তার ব্যক্তিজীবন-জগৎ অত্যন্ত কুৎসিত আর অন্ধকার। বন্ধু সমাজে ‘প্লে-বয়’ হিসেবে পরিচিত।
তার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের মধ্যে অন্যতম অভিযোগ বিশেষ করে গুণগত মানের এম্বুলেন্স না দিয়ে, নরমাল কোম্পানীকে দিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ। বদলি, বাণিজ্য ও প্রশাসনিক দখল দায়িত্ব। অপারেশনাল কাজ বাদ দিয়ে ডিএডিদের অফিসে বসান। এডি ও ডিএডিদের পরিদর্শন চালু নতুন গ্রুপিংয়ের সৃষ্টি, রিপোর্ট তদন্তে হস্তক্ষেপ টাকা না দিলে ফায়ারের রিপোর্ট আটকে দেবে এবং ঐ কোম্পানীতে তার সিন্ডিকেটকে পাঠায় তাকে আনার জন্য, প্যাকেজ ও ট্রেনিংয়ে অংশ না নিয়ে অর্থ উত্তোলন, বই প্রকাশ ও অডিট আপত্তি ইত্যাদি।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, অব্যাহত দূর্ণীতির বিরুদ্ধে এই প্রেক্ষাপটে ফায়ার সার্ভিসের অভ্যন্তরে ও বাহিরে নানাবিধ প্রশ্ন উঠেছে। একজন ব্রিগেডিয়ার হয়ে এতদিন যাবৎ অনিয়ম, দুর্নীতি ও তার নিজস্ব সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কিভাবে বহাল তবিয়তে থাকেন? সরকারি দপ্তরের স্বচ্ছতা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় যেখানে জবাবদিহিতার দাবি উঠে, সেখানে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহিদ কামাল এই শৃঙ্খলা পরিপন্থি কি প্রশাসনিক ব্যর্থতা নয়?
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহিদ কামালকে নিয়ে জুলাই আন্দোলনে সংশ্লিষ্ট মহল প্রশ্ন তুলছে।
মোঃ মাসুম বিল্লাহ বলেন,
এমন একজন স্বৈরতান্ত্রিক কর্মকর্তাকে কবে জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে কি?
উপরোক্ত বিষয় গুলো বিবেচনা করিয়া দূর্নীতি দূর করিতে সচ্ছ তদন্ত কমিশন গঠন করিয়া তাহার ও পরিবারের সকলের সম্পদ বিবরণী ও সকল ব্যাংক এবং অন্যান্য হিসাব গ্রহণ করিয়া এবং কর্মস্থলের সকল পর্যায়ে নিরপেক্ষ তদন্ত করিয়া দেশ ও জনগনের মাঝে জবাব দিহিতার পরিবেশ সৃষ্টি করিতে সদয় মর্জি হয়।
ফায়ার সার্ভিস ডিফেন্স
(ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহিদ কামালের মুটোফোনে বার বার কল দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।