জয় ও তারেক রহমানের বক্তব্যের মধ্যে কোনো পার্থক্য দেখছি না - Alokitobarta
আজ : বুধবার, ১৯শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জয় ও তারেক রহমানের বক্তব্যের মধ্যে কোনো পার্থক্য দেখছি না


নুর নবী জনী : বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা এত দিন যাদের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন, সেগুলো দক্ষিণপন্থিদের ভোট ছিল। এক সময় আপনারা মৌলবাদীদের পক্ষে বক্তব্য দিয়েছিলেন। এখন তার বিপক্ষে কথা বলছেন কেন? এত দিন মৌলবাদীদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে, কিন্তু তারা এখন তা বুঝতে শিখেছে। মৌলবাদীদের সঙ্গে এত বছর প্রতারণা করা হয়েছে। তাদের দাবি দাওয়া কেউ বাস্তবায়ন করে নাই।তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হোক—এটাই আমাদের প্রত্যাশা।ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে জয় বলেছিলেন, কোনো অবস্থাতেই যেন মৌলবাদী উত্থান না হয়। এখন একই কথা তারেক রহমানও বলছেন। জয়ের বক্তব্য ও তারেক রহমানের বক্তব্যের মধ্যে আমি কোনো পার্থক্য দেখছি না।শুক্রবার (২২ আগস্ট) শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে আয়োজিত ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের ৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এসব কথা বলেন তিনি। বিগত ৫৩ বছরে যারা ক্ষমতায় এসেছে, তারা কোনো প্রতিশ্রুতিই বাস্তবায়ন করতে পারেনি। আপনারা দেখবেন ইতোমধ্যে যেই দলগুলো ক্ষমতায় গিয়েছিল, তারা ক্ষমতায় যাওয়ার আগে নির্বাচনের আগে যতগুলি ইশতেহার দিয়েছে, সেসব ইশতেহারে সমস্ত দফাগুলো বাস্তবায়ন করতে পারে নাই। তারাই আগামীতে ক্ষমতায় যাওয়ার চিন্তা ভাবনা করছে।

মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, দক্ষিণ উত্থান হচ্ছে, আজকে মৌলবাদের উত্থান হচ্ছে, গতকালকে দেখলাম আমাদের মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব মন্দিরে গিয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন। সেখানে ধর্মের ব্যাপারে ইসলামের ইঙ্গিত করে বর্তমান ইসলামী শাসনের ব্যাপারে তিনি ইঙ্গিত করেছেন। আমি বলবো, ৯২ শতাংশ মুসলমানের দেশে ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে—এতে আশ্চর্যের কিছু নেই। বরং না হলে সেটাই আশ্চর্যের। তিনি আসন্ন নির্বাচনে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতির দাবি জানান।ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের সভাপতি ইউসুফ আহমাদ মানসুরের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। সমাবেশ শেষে একটি র‍্যালি বের করা হয়।

Top