এনবিআরের ১৭ কর্মকর্তার সম্পদের হিসাব চেয়েছে দুদক - Alokitobarta
আজ : বুধবার, ১৯শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এনবিআরের ১৭ কর্মকর্তার সম্পদের হিসাব চেয়েছে দুদক


মোহাম্মাদ মহাব্বাতুল্লাহ মাহাদ : যাদের সম্পদের হিসাব চাওয়া হয়েছে তারা হলেন-এনবিআরের আয়কর নীতি বিভাগের সদস্য মো. লুৎফুল আজিম ও কেএম বদিউল আলম, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (সিআইসি) মো. আলমগীর হোসেন, যুগ্ম কমিশনার মো. তারিক হাসান, অতিরিক্ত কমিশনার সাধন কুমার কুণ্ডু, কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার কাজী মো. জিয়াউদ্দিন, রেলওয়ে কাস্টমসের কমিশনার মো. কামরুজ্জামান, বৃহৎ করদাতা ইউনিট (ভ্যাট)-এর অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুর রশিদ মিয়া, কর অঞ্চল-১৬-এর উপকর কমিশনার মোহাম্মদ শিহাবুল ইসলাম, কর অঞ্চল-৮-এর অতিরিক্ত কর কমিশনার মির্জা আশিক রানা।এছাড়াও বিসিএস কর একাডেমির যুগ্ম কর কমিশনার মোহাম্মদ মোরশেদ উদ্দিন খান,কর অঞ্চল ১৬-এর উপকর কমিশনার মোনালিসা শাহরিন সুস্মিতা, নিরীক্ষা গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর (ভ্যাট)-এর অতিরিক্ত কমিশনার হাসান তারেক রিকাবদার, অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ মামুন মিয়া, গোয়েন্দা ইউনিটের অতিরিক্ত কমিশনার সাহেলা সিদ্দিক, কর আপিল ট্রাইব্যুনালের কমিশনার লোকমান আহমেদ এবং কর অঞ্চল ৩-এর কমিশনার এমএম ফজলুল হকের সম্পদের হিসাব চেয়েও চিঠি পাঠানো হয়েছে।জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ঊর্ধ্বতন পর্যায়ের ১৭ কর্মকর্তার সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। প্রাথমিক অনুসন্ধানে এই কর্মকর্তাদের অবৈধ সম্পদের তথ্য-প্রমাণ পাওয়ার পর তাদের বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী নোটিশ জারির সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন মঙ্গলবার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

দুদক মহাপরিচালক বলেন, দুদকের অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এসব কর্মকর্তার নামে বা তাদের পক্ষে অন্য কারও নামে এমন সম্পদের খোঁজ মিলেছে যা বৈধ আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এ কারণে তাদের সম্পদ ও দায়-দেনার হিসাব বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।এর আগে গত ২৯ জুন এনবিআরের ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরুর ঘোষণা দেয় দুদক। পরে ১ জুলাই আরও পাঁচজন এবং ৩ জুলাই আরও পাঁচজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের কথা জানানো হয়।

প্রসঙ্গত, জুন মাসে এনবিআরে সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে আন্দোলন শুরু হয়। এনবিআরের চেয়ারম্যানের অপরসারণ দাবিতে এক সপ্তাহের কলমবিরতি, অবস্থান কর্মসূচি ও সবশেষ দুই দিনের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ পালনের পর কাজে ফেরেন আন্দোলনকারীরা।এনবিআরে টানা আন্দোলনের মধ্যে ‘কমপ্লিট শাটডাউনের’ কর্মসূচিতে নড়েচড়ে বসে সরকার। এনবিআরের সেবা ‘অত্যাবশ্যকীয়’ ঘোষণা করে আন্দোলনরতদের কাজে যোগ দিতে কঠোর হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

এর মধ্যেই আন্দোলনরত ১৬ এনবিআর কর্মকর্তার ‘দুর্নীতির’ তথ্যানুসন্ধান শুরুর তথ্য দেয় দুদক। আর সংকট সমাধানে পাঁচ উপদেষ্টাকে নিয়ে উপদেষ্টা কমিটি গঠন করার কথা জানায় সরকার। নানা নাটকীয়তার মধ্যে পরে ব্যবসায়ীদের বেশ কয়েকটি সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন অর্থ উপদেষ্টা। ওই বৈঠকে ‘ইতিবাচক আশ্বাসের’ ভিত্তিতে ব্যবসায়ী সমিতির নেতাদের মধ্যস্থতায় এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ শাটডাউন কর্মসূচি তুলে নিলে পরদিন কাজে যোগ দেন এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এরপর থেকে আন্দোলনে জড়িতদের সাময়িক বরখাস্ত করাসহ বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

Top