খসড়ার অঙ্গীকারে জুলাই সনদকে সর্বোচ্চ আইনি ভিত্তি দেওয়ার প্রস্তাব
মোহাম্মাদ আবুবকর সিদ্দীক ভুঁইয়া :খসড়ার অঙ্গীকারে জুলাই সনদকে সর্বোচ্চ আইনি ভিত্তি দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর প্রতিটি বিধান, প্রস্তাব ও সুপারিশ সাংবিধানিক ও আইনগতভাবে বলবৎ হিসাবে গণ্য হবে।বহু কাঙ্ক্ষিত ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’-এর সমন্বিত খসড়া চূড়ান্ত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সনদের যেসব সুপারিশ অবিলম্বে বাস্তবায়নযোগ্য, সেগুলো আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগেই সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন হবে।ফলে এর বৈধতা, প্রয়োজনীয়তা, কিংবা জারির কর্তৃত্ব সম্পর্কে কোনো আদালতে প্রশ্ন তোলা যাবে না। সনদের কোনো বিধান, প্রস্তাব বা সুপারিশের ব্যাখ্যাসংক্রান্ত যে কোনো প্রশ্নের চূড়ান্ত মীমাংসার এখতিয়ার সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের ওপর ন্যস্ত থাকবে। সনদের কপি শনিবার রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছে। দলগুলোকে ২০ আগস্ট বুধবার বিকাল ৪টার মধ্যে মতামত জানাতে বলা হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের আলোকে এটি চূড়ান্ত হবে। সনদের খসড়ায় তিনটি অংশ আছে। প্রথম অংশে সনদের পটভূমিতে ৫টি প্রস্তাবনা, দ্বিতীয় অংশে ঐকমত্য হওয়া ৮৪টি সিদ্ধান্ত এবং তৃতীয় অংশে ৮টি অঙ্গীকার রয়েছে। আবার ঐকমত্য হওয়া ৮৪টির মধ্যে ১৩টি নোট অব ডিসেন্ট (ভিন্নমত) রয়েছে। এর মধ্যে ৯টিতে নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। যার মধ্যে রয়েছে-প্রধানমন্ত্রী হলে দলীয় পদে থাকা যাবে না।
অঙ্গীকারনামা : সনদের সমন্বিত খসড়ায় অঙ্গীকারনামায় বলা হয়েছে, ‘১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ হতে ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর পর্যন্ত দেশে কার্যত কোনো সংবিধান ছিল না। এরপরও ওই সময়ের সব কার্যক্রম মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ১৯৭২ সালের সংবিধানে সন্নিবেশিত করে আইনি ও সাংবিধানিক বৈধতা দেওয়া হয়। একইভাবে যেহেতু ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর গণ-অভ্যুত্থানোত্তর সময়ে প্রধান বিচারপতি পদত্যাগ করে উপরাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথগ্রহণ, অতঃপর অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি পদের দায়িত্ব গ্রহণ এবং পরবর্তীতে প্রধান বিচারপতি পদে ফিরে যাওয়াসংক্রান্ত কোনো আইনি কাঠামো না থাকা সত্ত্বেও রাজনৈতিক দল ও জোটগুলোর রূপরেখা ও অঙ্গীকারের ভিত্তিতে ওই ধরনের কার্যাবলিকে বৈধতা দিয়ে পরবর্তী সংসদ গণ-অভ্যুত্থানে প্রদত্ত জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটিয়ে সাংবিধানিক কনভেনশন এবং গণতন্ত্রকে সংহত করে;’ খসড়ায় আরও বলা হয়, ‘উল্লিখিত গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, জনগণের ইচ্ছার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ এবং সাংবিধানিক কনভেনশন বজায় রেখে ২০২৪ সালের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে জনগণের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিয়ে আমরা নিম্নস্বাক্ষরকারীগণ এই মর্মে অঙ্গীকার করছি-১) জনগণের অধিকার ফিরে পাওয়া এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সুদীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে হাজারো মানুষের জীবন ও রক্তদান এবং অগণিত মানুষের সীমাহীন ক্ষয়ক্ষতি ও ত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময়ে অর্জিত সুযোগ এবং জনআকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হিসাবে ঐকমত্যের ভিত্তিতে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের দলিল হিসাবে জাতীয় সনদের পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন করব। ২) রাষ্ট্রের মালিক জনগণ। তাদের অভিপ্রায় সর্বোচ্চ আইন এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় প্রতিফলিত হয় রাজনৈতিক দলের মাধ্যমে। এ অবস্থায় রাজনৈতিক দল সম্মিলিতভাবে জুলাই সনদ প্রণয়ন করেছি। তাই সনদের সব বিধান, নীতি ও সিদ্ধান্ত সংবিধানে অন্তর্ভুক্তকরণ নিশ্চিত করব। এক্ষেত্রে বিদ্যমান সংবিধান বা অন্য কোনো আইনে ভিন্নতর কিছু থাকলে সেই ক্ষেত্রে এই সনদের বিধান/প্রস্তাব/সুপারিশ প্রাধান্য পাবে। ৩) সনদের কোনো বিধান, প্রস্তাব বা সুপারিশের ব্যাখ্যাসংক্রান্ত যে কোনো প্রশ্নের চূড়ান্ত মীমাংসার এখতিয়ার বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের ওপর ন্যস্ত থাকবে। ৪) প্রতিটি বিধান, প্রস্তাব ও সুপারিশ সাংবিধানিক ও আইনগতভাবে বলবৎ হিসাবে গণ্য হবে। ফলে এর বৈধতা, প্রয়োজনীয়তা, কিংবা জারির কর্তৃত্ব সম্পর্কে কোনো আদালতে প্রশ্ন তোলা যাবে না। ৫) সনদে উল্লিখিত দেশের সামগ্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা তথা সংবিধান, বিচার ব্যবস্থা, নির্বাচন, জনপ্রশাসন, পুলিশি ব্যবস্থা ও দুর্নীতি দমন ব্যবস্থার বিষয়ে যেসব প্রস্তাব/সুপারিশ লিপিবদ্ধ রয়েছে সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য সংবিধানের প্রয়োজনীয় সংশোধন, সংযোজন, পরিমার্জন, লিখন ও পুনর্লিখন এবং বিদ্যমান আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধন, পরিবর্তন, পরিমার্জন, লিখন, পুনর্লিখন বা নতুন আইন প্রণয়ন, প্রয়োজনীয় বিধি প্রণয়ন বা বিদ্যমান বিধি ও প্রবিধির পরিবর্তন বা সংশোধন করব। ৬) গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য জনগণের নিরবচ্ছিন্ন সংগ্রাম এবং বিশেষত; ২০২৪ সালের অভূতপূর্ব গণ-অভ্যুত্থানের ঐতিহাসিক তাৎপর্যকে সাংবিধানিক তথা রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়া হবে। ৭) সম্মিলিতভাবে ঘোষণা করছি, রাষ্ট্র ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানকালে সংঘটিত সব হত্যাকাণ্ডের বিচার, শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান ও শহীদ পরিবারসমূহকে যথোপযুক্ত সহায়তা প্রদান এবং আহতদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসনে ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে। ৮) এই সনদের যেসব সুপারিশ অবিলম্বে বাস্তবায়নযোগ্য, সেগুলো কোনো প্রকার কালক্ষেপণ না করেই পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়ন করবে।
যেসব বিষয়ে একমত : রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দীর্ঘ আলোচনায় ৮৪টি বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে। তবে এর মধ্যে ১৪টি সিদ্ধান্তে নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছে বিভিন্ন দল। এর মধ্যে ৯টি নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছে বিএনপি। ঐকমত্যে পৌঁছানো বিষয়গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-রাষ্ট্রভাষা, নাগরিকত্ব ও সংবিধান। এছাড়াও রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি এবং মৌলিক অধিকার। যেসব মৌলিক প্রস্তাবে সম্মিলিতভাবে ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলো হলো-১. সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি। ২. নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ, ৩. রাষ্ট্রপতির ক্ষমা-সম্পর্কিত বিধান, ৪. বিচার বিভাগ বিকেন্দ্রীকরণ-(ক) সুপ্রিমকোর্টের বিকেন্দ্রীকরণ, (খ) উপজেলা পর্যায়ে অধস্তন আদালতের সম্প্রসারণ। ৫. জরুরি অবস্থা ঘোষণা, ৬. প্রধান বিচারপতি নিয়োগ, ৭. সংবিধান সংশোধন, ৮. প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদকাল, ৯. নির্বাচন কমিশন গঠন, ১০. পুলিশ কমিশন গঠন, ১১. নাগরিকের মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ-সম্পর্কিত প্রস্তাব। এছাড়া বাকি ৯টি বিষয়ে নোট অব ডিসেন্টসহ (ভিন্নমত) সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এগুলো হলো-১. সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৭০ সংশোধন, ২. প্রধানমন্ত্রীর একাধিক পদে থাকার বিধান, ৩. সরকারি কর্মকমিশন, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, দুর্নীতি দমন কমিশন এবং ন্যায়পাল নিয়োগের বিধান সম্পর্কিত (এর আগে সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের বাছাই কমিটি নামে প্রস্তাবিত ছিল (যা পূর্বে ‘জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল’ বা ‘এনসিসি’ নামে প্রস্তাবিত ছিল)। ৪. সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব (সংখ্যা বৃদ্ধি, নির্বাচন পদ্ধতি ইত্যাদি); ৫. দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্ট (উচ্চকক্ষের গঠন, সদস্য নির্বাচনের পদ্ধতি, এখতিয়ার ইত্যাদি), ৬. রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি, ৭. তত্ত্বাবধায়ক সরকার, ৮. রাষ্ট্রের মূলনীতি, ৯. রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও দায়িত্ব [অনুচ্ছেদ ৪৮(৩)]। তবে এসব প্রস্তাবে কোন কোন দলের ভিন্নমত রয়েছে সনদে তার উল্লেখ থাকবে।
সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রে সংসদের উভয় কক্ষের (নিম্নকক্ষ ও উচ্চকক্ষ) দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সমর্থন প্রয়োজন হইবে। তবে সুনির্দিষ্ট কতগুলো অনুচ্ছেদ যেমন ৮, ৪৮, ৫৬, ১৪২ এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা, (যেটি সংবিধানে যুক্ত হবে তা) সংশোধনের ক্ষেত্রে গণভোটের প্রয়োজন হবে। এক্ষেত্রে ৩০টি দল ও জোট একমত। জরুরি অবস্থা ঘোষণার ক্ষেত্রে ১৪১ক অনুচ্ছেদ সংশোধনের সময় ‘অভ্যন্তরীণ গোলযোগের’ শব্দগুলোর পরিবর্তে ‘রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, রাষ্ট্রীয় অখণ্ডতার প্রতি হুমকি বা মহামারি বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ’ শব্দগুলো প্রতিস্থাপিত হবে। (২) জরুরি অবস্থা ঘোষণার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতিস্বাক্ষরের পরিবর্তে মন্ত্রিসভার অনুমোদনের বিধান যুক্ত করা হবে। জরুরি অবস্থা ঘোষণা সম্পর্কিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে বিরোধীদলীয় নেতা অথবা তার অনুপস্থিতিতে বিরোধীদলীয় উপনেতার উপস্থিতি অন্তর্ভুক্ত করা হবে। রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি অংশে ‘সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার, গণতন্ত্র এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সম্প্রীতি’ উল্লেখ থাকবে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি : রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে সংসদের উভয় কক্ষের (নিম্নকক্ষ ও উচ্চকক্ষ) সদস্যদের গোপন ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে নির্বাচিত হবেন। এক্ষেত্রে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছে।
রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও দায়িত্ব : রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় ভারসাম্য আনয়নের লক্ষ্যে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৪৮(৩) সংশোধনীর প্রস্তাব করে কারও পরামর্শ বা সুপারিশ ছাড়াই নিজ এখতিয়ারবলে রাষ্ট্রপতি নিম্নলিখিত পদে নিয়োগ প্রদান করতে পারবেন : (১) জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্য, (২) তথ্য কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্য, (৩) বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ, (৪) আইন কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্য, (৫) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, (৬) এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্য। তবে ৫ ও ৬ নং ক্রমিকের বিষয় বিএনপিসহ কয়েকটি দল নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার : একজন ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রীর পদে সর্বোচ্চ মেয়াদ ১০ বছর থাকতে পারবেন। তবে প্রধানমন্ত্রীর একাধিক পদে থাকার বিধান, যেমন একইসঙ্গে দলীয় প্রধানের পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন না, এরূপ বিধান সংবিধানে যুক্ত করা হবে। ভিন্নমত রয়েছে বিএনপিসহ তিনটি দল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ হবে অনধিক নব্বই দিন। তবে দৈব-দুর্বিপাকজনিত কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব না হলে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার আরও সর্বোচ্চ ত্রিশ দিন দায়িত্ব পালন করতে পারবে।
দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা : একটি দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা থাকবে। নিম্নকক্ষ (জাতীয় সংসদ) এবং উচ্চকক্ষ (সিনেট) ১০০ (একশত) সদস্য নিয়ে নিয়ে গঠিত হবে। নিম্নকক্ষের নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষের ১০০ (একশত) জন সদস্য নির্বাচিত হবেন। দলগুলো নিম্নকক্ষের সাধারণ নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশের সময় উচ্চকক্ষের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে। তালিকায় কমপক্ষে ১০% নারী প্রার্থী থাকিতে হইবে। এক্ষেত্রে ভিন্নমত দিয়েছে বিএনপি।