আগামী মাস থেকে শুরু হচ্ছে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি
মোহাম্মাদ মুরাদ হোসেন:আগামী মাস থেকে শুরু হচ্ছে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি। এ কর্মসূচির আওতায় ৫৫ লাখ পরিবার প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল পাবে। প্রতি কেজি চালের মূল্য হবে ১৫ টাকা। আগস্টে শুরু হয়ে এ কর্মসূচি চলবে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। তবে ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে কর্মসূচি বন্ধ থাকবে। মঙ্গলবার সচিবালয়ে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির বৈঠক শেষে খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার এ তথ্য জানান।জানা যায়, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি সম্প্রসারণ করা হয়েছে এ বছর। গত বছরের তুলনায় ৫ লাখ বেশি পরিবার এ কর্মসূচির আওতায় আসছে।অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশিদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেন, গতবার ৫০ লাখ পরিবারকে চাল দেওয়া হয়েছিল। এবার অর্থ উপদেষ্টা সেটিকে ৫৫ লাখে উন্নীত করেছেন। ৫৫ লাখ পরিবার ৩০ কেজি করে চাল পাবে ছয় মাস। আগস্ট, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর পর্যন্ত চাল পাবে। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে একটি পরিবার ১৫ টাকা কেজি দরে মাসে ৩০ কেজি করে চাল পাবে। ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাস বিরতি দিয়ে ফের ফেব্রুয়ারি-মার্চে চাল বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্য উপদেষ্টা।
চালের বাজারের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে উপদেষ্টা বলেন, বাজার স্থিতিশীল রাখার জন্য বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম নিতে হয়। শুধু মনিটরিংয়ে কাজ হয় না। বর্তমানে বাজারে সরকারও ক্রেতা হিসাবে রয়েছে। কেনাকাটা শেষ হওয়ার সঙ্গে আগস্ট থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি শুরু হবে। বাজার ঠিক রাখতে সরকারি মজুত বাড়ানোর পাশাপাশি বেসরকারি পর্যায়ে আমদানির সুযোগ সৃষ্টি করা হবে বলে জানিয়েছেন আলী ইমাম মজুমদার।
সরকারি ভান্ডারে ১৩ লাখ টনের মতো খাদ্য মজুত থাকতে হয়। এই কর্মসূচির ফলে তা কিছুটা কমে যাবে। সেজন্য আমন মৌসুমে বন্যা হতে পারে-এমন আশঙ্কায় চার লাখ টন চাল আমদানির চিন্তা করছি-যোগ করেন খাদ্য উপদেষ্টা। তিনি বলেন, গতবার প্রাইভেট সেক্টরকে ১৫ লাখ টন চাল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। এনেছিল ৫ লাখ টনেরও কম। এবার বেসরকারি পর্যায়ে ৫ লাখ টন চাল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হবে।
বৈঠকে বলা হয়, বোরো মৌসুমে সাড়ে তিন লাখ টন বোরো ধান সংগ্রহের লক্ষ্য ছিল। এই সময়ের মধ্যে ৩ লাখ ৭৬ হাজার টন ধান সংগ্রহ হয়েছে। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৬ হাজার টন বেশি সংগ্রহ হয়েছে। এছাড়া সাড়ে ৯ লাখ টন চাল সংগ্রহ হয়েছে। ১৪ লাখ টন টার্গেট আছে। আগস্টের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে চাল সংগ্রহ শেষ হবে।