রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিটি বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানো প্রায় অসম্ভব - Alokitobarta
আজ : বুধবার, ১৯শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিটি বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানো প্রায় অসম্ভব


জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক,আলোকিত বার্তা :গত বছরের ৬ অক্টোবর কয়েকটি সংস্কার কমিশন গঠন ও চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠনের পর দেশে চলছে ‘সংস্কারের নামে রাষ্ট্র মেরামত! বিভিন্ন বিষয়ে সংস্কারে ঐকমত্য গড়তে মাসের পর মাস ধরে প্রায় ৪০টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জাতীয় ঐক্য কমিশনের সংলাপ চলছে। ‘নানা মুনির নানা মত’ প্রবাদের মতো প্রত্যেক দল নিজেদের সুবিধামতো নিজস্ব চিন্তা ও বিশ্বাসের জায়গা থেকে ভিন্ন ভিন্ন মতামত দিচ্ছে; সে মতামত পুঁজি করে নির্বাচনের প্রস্তুতির সময়ক্ষেপণ চলছে। কোন দলের জনসম্পৃক্ততা কতটুকু, ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার পদে প্রার্থী হলে নির্বাচিত হতে পারবেন কি-না, সেদিকে কমিশনের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। সবার মতামত নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানোর লক্ষ্যে ‘ঘোড়ার ডিম’ এর উদ্দেশে ছুটছে ঐকমত্য কমিশন। অথচ বিপরীত মেরুতে থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিটি বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানো প্রায় অসম্ভব।রাস্তা সংস্কার-কাজ চলছে, সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখিত’ সাইনবোর্ডের সাথে কমবেশি সবাই পরিচিত। সড়ক মেরামত ও পুল-কালভার্ট নির্মাণ-সংস্কারের জনসাধারণের জন্য এই সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে রাখা হয়। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের সময় সংস্কারের অজুহাতে ‘রাষ্ট্র সংস্কার-কাজ চলছে, সব দলের মতামতে সংস্কারের পর নির্বাচন হবে’-সাইনবোর্ড ভোট দেয়ার জন্য মুখিয়ে থাকা মানুষের সামনে ঝুলিয়ে রেখেছে জাতীয় সংস্কার কমিশন। ঈদ উপলক্ষে ব্যবসায়ীরা পণ্য বিক্রিতে মূল্যছাড়ের বিজ্ঞাপনে ‘ধামাকা’ অফার দেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন,সংস্কার ইস্যুতে ঐকমত্য কমিশনের উচিত ছিল জনসম্পৃক্ততা রয়েছে এমন দলগুলোর মতামতকে প্রাধান্য দেয়া। এ ক্ষেত্রে নব্বই-পরবর্তী নির্বাচনে যে দলগুলোর আসন যেমন ছিল সেভাবে মতামত গ্রহণ করা যেত। কিন্তু কমিশন সব দলের মতামতের ভিত্তিতে সংস্কারের বাহানায় নির্বাচন যাতে পেছানো যায় সে চেতনা নিয়েই সংলাপ চালাচ্ছে। মূলত অন্তর্বর্তী সরকারের সময় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠা, যারা নির্বাচন হলে তেমন সুবিধা করতে পারবে না সে দলগুলো নানা ইস্যুতে ভিন্নমত পোষণ করে সংস্কার কর্মসূচিতে বিলম্বিত করার কৌশল নিয়েছে। আর প্রশাসনের ভেতরে যারা অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ দুই থেকে পাঁচ বছর বাড়ানোর চেতনা ধারণ করছেন তারা সংস্কার বৈঠকে ভিন্নমত দিয়ে সংস্কারের সিদ্ধান্ত দীর্ঘায়িত করছেন। অথচ নির্বাচন কমিশনে চলছে একেবারে উল্টো ঘটনা। নির্বাচন কমিশন নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন কার্যক্রমের ঘোষণা দেয়ার পর ১৪৭টি রাজনৈতিক দল প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ নিবন্ধনের আবেদনপত্র জমা দেয়। অথচ জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) অধিক গুরুত্ব দেয়া হলেও অন্য দলগুলোকে তেমন পাত্তাই দেয়া হচ্ছে না।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের বৈঠকের ষষ্ঠ দিনের আলোচনায় গতকাল ৩২টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। কমিশনের সহসভাপতি প্রফেসর আলী রীয়াজের সভাপতিত্বে বৈঠকে পাঁচটি আলোচনার বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে। সেগুলো হলোÑ রাষ্ট্রের মূলনীতি, দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট সংসদের উচ্চকক্ষের নির্বাচন পদ্ধতি, জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল-এনসিসি গঠন কাঠামো, প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পদ্ধতি, নারী প্রতিনিধিত্ব।জাতীয় সনদ তৈরিতে রাজনৈতিক দলগুলোকে ছাড় দেয়ার আহ্বান জানিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি প্রফেসর ড. আলী রীয়াজ বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো এখনো ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারছে না। ঐক্যবদ্ধভাবে যেভাবে জুলাইয়ে আন্দোলন করা হয়েছে, সনদ তৈরিতেও সবাই ঐক্যবদ্ধ হতে পারবেÑ আমি বিশ্বাস করি।

জানতে চাইলে গণদলের চেয়ারম্যান এ টি এম গোলাম মাওলা চৌধুরী বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সিদ্ধান্ত গ্রহণে কালক্ষেপণ হচ্ছে। আমরা ছোট দল হিসেবে গুরুত্ব পেয়েছি, এতে খুশি। তবে বেশির ভাগ ইস্যুতে সবাই একমতে পৌঁছানো কঠিন। সব দলের ঐকমত্যে পৌঁছে নির্বাচনের আয়োজনের সম্ভাবনা ক্ষীণ দেখিছি। কারণ একেক দল একেক মতামত দিচ্ছে। বিশেষ করে বাম দলগুলো প্রতিটি বিষয়ে ভিন্নভিন্ন মত দিচ্ছে। এভাবে সব দল ঐকমত্যে পৌঁছাতে চাইলে বছরের পর বছর পেরিয়ে যাবে।

সংস্কার কমিশনগুলোর বেশির ভাগই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রস্তাবনা তুলে ধরেছে। অতঃপর গঠন করা হয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। ১৩ ফেব্রুয়ারি গঠিত এ কমিশন ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কাজ শুরু করে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সভাপতি ও সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান প্রফেসর ড. আলী রীয়াজকে এই কমিশনের সহসভাপতি করা হয়। এর আগে দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে বিদেশে বসবাসরত মার্কিন নাগরিক আলী রীয়াজকে হায়ারে এনে সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান করা হয়। মূলত সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিককে প্রধান করে সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠনের ঘোষণা দেয়া হয়। কিন্তু অনুমতি না নিয়ে এমন ঘোষণা দেয়ায় তিনি বেঁকে বসেন। অতঃপর ওই পদে আলী রীয়াজকে বসানো হয়। ঐকমত্য কমিশনের অন্যান্য সদস্য জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফররাজ হোসেন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান বিচারপতি এমদাদুল হক এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান। মূলত দুজন ছিলেন লোকচক্ষুর অন্তরালে আর দু’জন এনজিওকর্মী। এদের সঙ্গে দেশের মানুষ ও রাজনৈতিক দলগুলোর সম্পর্ক নেই। তারা দেশের রাজনৈতিক দল ও ভোট দেয়ার জন্য মুখিয়ে থাকা মানুষের মনন বুঝতে ব্যর্থ হচ্ছেন; নাকি কারো অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন বোঝা মুশকিল। এ কমিশন বিভিন্ন দলের সঙ্গে সংলাপ করছে ধারাবাহিকভাবে। দলগুলোর প্রস্তাবনা বিশ্লেষণ করে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে বহু নির্বাচনী প্রশ্নের মতো প্রশ্নপত্র পাঠানো হয় এবং একমত হলে ‘টিক’ দেয়ার অনুরোধ করা হয়। কমিশনে রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের সুবিধামতো প্রস্তাব দেয়। বিশেষ করে যেসব দল নির্বাচন হলে ভোট পাবে না তারা সব বিষয়ে সংস্কারের পর নির্বাচনের দাবিতে অটল। বিশেষ করে এনসিপি ও জামায়াত সংস্কারের পর নির্বাচন দাবিতে ঐকমত্য পোষণ করে। কিন্তু বিএনপি ও দলটির শরিক দলগুলো স্বল্প সংস্কার করে নির্বাচন দাবি করে। এ নিয়ে মতভেদ সৃষ্টি হয়। ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দাবি করা বিএনপিকে উদ্দেশ করে জামায়াতের আমির বলেন, ‘কোনো কোনো দল নির্বাচনের জন্য অস্থির হয়ে পড়েছে’। বিএনপির পক্ষ থেকে উল্টো বলা হয়, ‘নির্বাচনের কথা শুনলে অনেকের গায়ে জ্বালাপোড়া শুরু হয়’। বিশেষ করে নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপির সারা দেশে সাংগঠনিক ভীত তৈরির জন্য সময়ের প্রয়োজন এবং নিষিদ্ধ থাকা জামায়াতের জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধিতে সময়ের প্রয়োজন। সে লক্ষ্যে বিপরীত মেরুর এনসিপি ও জামায়াত বিলম্বে নির্বাচনের পক্ষে জোরালো অবস্থান নেয়। অন্তর্বর্তী সরকারের ভেতরে যাদের দীর্ঘদিন ‘ক্ষমতা ভোগের খায়েশ’ তারাও সংস্কারের নামে নির্বাচন বিলম্বের চেষ্টায় মরিয়া হয়ে ওঠে। এদিকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে অংশ নিয়েছেন এমন একাধিক নেতা জানান, এ কমিশন চলছে কার্যত কেতাবি ঢংয়ে। সবার মতামত চাওয়া হয়, সবাই মতামত দেয়। এই মতামত নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানো প্রায় অসম্ভব। কারণ যারা অন্তর্বর্তী সরকারের সময় গুরুত্ব পাচ্ছেন অথচ নির্বাচনে তেমন সুবিধা করতে পারবেন না তারা সংস্কার ইস্যুতে অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ দীর্ঘায়িত করার চেষ্টায় নানা ইস্যুতে ভিন্নমত দিচ্ছেন। কারণ নির্বাচন হলে তাদের তেমন খোঁজ-খবর থাকবে না, গণমাধ্যমও গুরুত্ব দেবে না। তাই অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ দীর্ঘ করে যতটুকু সম্মান মর্যাদা ভোগ করা যায়Ñ এই কৌশল। আর ঐকমত্য কমিশনে যারা রয়েছেন তারাও মুরুব্বির মতো কেতাবি ঢংয়ে চলছেন।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে গতকালও রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমির দোয়েল হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের ষষ্ঠ দিনের আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের পর বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাৎ হোসেন সেলিম বলেন, ‘ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা হতাশাজনক। কারণ কমিশন যথাযথ সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। তারা ধারাবাহিক ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। এভাবে আলোচনা হলে জুলাইয়েও শেষ হবে না।জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেন, ‘মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হিসেবে সংবিধানে আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম সংযোজন করতে হবে। আর সমাজতন্ত্রের পরিবর্তে সাম্য ও মানবিক মর্যাদার বিষয়টি সংযোজন করতে হবে।এ দাবির বিরোধিতা করে সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন,মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত মূলনীতি পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই।কারণ,শুধু স্বাধীনতা-বিরোধীরা ছাড়া সবাই এর পক্ষে।বিদ্যমান মূলনীতি সমুন্নত রেখে নতুন কিছু যুক্ত করা যেতে পারে। আর আলোচনায় কোনো পয়েন্টে একমত না হলে জনগণের ওপর ছেড়ে দিতে হবে। তিনি জোর করে কোনো কিছু চাপিয়ে না দিতে ঐকমত্য কমিশনের প্রতি আহ্বান জানান।

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী বলেন,সংবিধান ও রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি নিয়ে আলোচনায় ঐকমত্যে পৌঁছা সম্ভব হয়নি।আমরা বলেছি,সমাজতন্ত্রের পরিবর্তে সাম্য ও মানবিক মর্যাদার বিষয়টি যুক্ত করতে হবে। ধর্মনিরপেক্ষতা বাদ দিয়ে ধর্মীয় মূল্যবোধের কথা উল্লেখ করতে হবে। বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন,সংবিধানের মূলনীতি পরিবর্তনের বিষয়ে একমত হওয়া যায়নি। যেহেতু বিষয়টি মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণার সঙ্গে সম্পর্কিত,তাই আমরা মনে করি,এ বিষয়ে আরো আলোচনা হতে হবে।জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের সংলাপের ষষ্ঠ দিনের প্রথম পর্ব শেষে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, সংবিধানের মূলনীতি ও সাংবিধানিক পদগুলোতে নিয়োগের বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত ঐকমত্যে পৌঁছানো যায়নি।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে যারা অংশ নিচ্ছেন তাদের বেশির ভাগ নেতাই জানান,বেশির ভাগ ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারছে না। বাহাত্তরের সংবিধানের চার মূলনীতির মধ্যে দুটির সংশোধনীতে দুই শিবিরে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। বিদ্যমান চার মূলনীতি জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার মধ্যে সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে দ্বিমত রয়েছে ডান ও বাম দলগুলোর। ডানপন্থী দলগুলোর যুক্তি, সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশ হিসেবে সংবিধানে এ দুটি মূলনীতি থাকতে পারে না। অপরদিকে, বাম দলগুলোর অভিমত এই চার মূলনীতির সঙ্গে প্রয়োজনে নতুন কিছু সংযুক্ত করতে তাদের আপত্তি নেই। ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে ত্রিমুখী ধারা স্পষ্ট। তবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, সংবিধানের নতুন একটি বডি চাচ্ছেন। রাষ্ট্রীয় সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের ক্ষেত্রে যেসব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের জন্য নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান আইন রয়েছে; তার মধ্যে সংস্কার করা হোক এবং সেখানে সার্চ কমিটি গঠন করে দেয়া হোক। সংবিধান ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগের প্রস্তাবে বিএনপির দ্বিমত রয়েছে।

Top