চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড - Alokitobarta
আজ : মঙ্গলবার, ১৮ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড


মু.এ বি সিদ্দীক ভুঁইয়া:অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম সফরে এসে বেশকিছু পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড.মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড। এই বন্দরের বিভিন্ন টার্মিনাল বিদেশি কোম্পানির হাতে দেওয়ার যে প্রক্রিয়া চলছে সে বিষয়ে সরকারের মনোভাবের বিষয়টিও তিনি স্পষ্ট করেছেন। আশপাশের দেশগুলোর অর্থনীতির জন্যও এই বন্দর গুরুত্বপূর্ণ। এটি ব্যবহারের সুযোগ পেলে নেপাল, ভুটান এমনকি সেভেন সিস্টার্সও (ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাত রাজ্য) লাভবান হবে। বাংলাদেশও উপকৃত হবে।চট্টগ্রাম নগরীর সবচেয়ে বড় ও প্রধান সমস্যা জলাবদ্ধতা পর্যায়ক্রমে শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসার সরকারের ইচ্ছার কথাও জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। বিশেষায়িত হাসপাতালের জন্য চট্টগ্রামের স্বাস্থ্যসেবা যে বিঘ্নিত হচ্ছে সেই বিষয়টিও বাদ যায়নি তার পরিকল্পনা থেকে। সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হচ্ছে কালুরঘাটে কর্ণফুলী তৃতীয় সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন। দক্ষিণ চট্টগ্রামের বোয়ালখালীসহ বিভিন্ন উপজেলার কোটি মানুষের স্বপ্নের বাস্তবায়ন হতে চলেছে এই সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মধ্য দিয়ে।

বুধবার চট্টগ্রাম সফরে এসে ড. ইউনূস প্রথমেই যান চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শনে। সকালে বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি-৫) পরিদর্শনের পর বন্দর ও নৌপরিবহণ খাতের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড। যদি হৃৎপিণ্ড দুর্বল হয়, কোনো ডাক্তারই তা আর ভালো করতে পারে না। তাই একে বিশ্বমানের করতে হবে। তিনি বলেন, এই বন্দর শুধু বাংলাদেশের হৃৎপিণ্ড নয়, বরং তা হয়ে উঠতে পারে এই অঞ্চলের দেশগুলোর জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগস্থল। তাই নেপাল, ভুটান কিংবা সেভেন সিস্টার্স সবার জন্য এটি একটাই হৃৎপিণ্ড। নেপালের তো সমুদ্রবন্দর নেই, আমাদের এই হৃৎপিণ্ডের মাধ্যমে তাদের চলতে হবে। আমরা সেই সংযোগ তৈরি করতে চাই। তিনি আরও বলেন, হৃৎপিণ্ডে যুক্ত হলে শুধু তারা নয়, আমরাও উপকৃত হব। এটি কোনো দয়াদাক্ষিণ্য নয়, পারস্পরিক লাভের বিষয়। যারা এই সংযোগ থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন রাখবে, তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরকে আন্তর্জাতিকমানের বন্দরে উন্নীত করতে অন্তর্বর্তী সরকার বিশ্বের খ্যাতিমান বন্দর ব্যবস্থাপনা সংস্থাগুলোকে আমন্ত্রণ জানিয়ে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এটি আমাদের জন্য একটি বড় সুযোগ। যদি সরকারের পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়িত হয়, তাহলে দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হবে। বাংলাদেশের অর্থনীতি বদলাতে হলে চট্টগ্রাম বন্দরই আমাদের আশা। এটি ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।

ড. ইউনূস বলেন, দুনিয়ার সব জিনিস এত দ্রুত পালটে যাচ্ছে, আমাদের এখানে এটা পালটায় না কেন? এটা আজকের প্রশ্ন না। একজন চট্টগ্রামবাসী হিসাবে এ পথে আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে দেখা যায়, বিশেষ করে যখন গাড়ি চলে না, আটকে যায়, কী হলো-ট্রাকে ভর্তি রাস্তা, মাল খালাস করতে পারছে না। এদিকে প্লেন মিস করে ফেলব কিনা, এই দুর্ভাবনা। কাজেই এটা সম্পর্কে চিন্তা না করে উপায় নেই। কথাবার্তা বলেছি, মাঝে মাঝে লেখালেখি করেছি। এবার যখন সুযোগ পেয়েছি, প্রথমদিন থেকেই চেষ্টা করছি এটার দিকে নজর দেওয়ার, কীভাবে এটাকে পরিবর্তন করা যায়।

তিনি বলেন, লুৎফে সিদ্দিকীকে (বিশেষ সহকারী) দায়িত্ব দিলাম, এটা তোমার দায়িত্ব, যেমনে পার মেরে-ধরে এটাকে সোজা করতে হবে। এটাকে সত্যিকার বন্দর হিসাবে তৈরি করতে হবে। আমরা খুবই ইমপ্রেসড, যেগুলো ছবি এখানে দেখাল, ভালো লাগে, গর্ব লাগে। কিন্তু দুনিয়া তো এখানে আটকে নেই, দুনিয়া এর থেকে বহুদূর চলে গেছে। স্ক্রিনে বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দর এবং বর্তমানে বিশ্বের বন্দর পাশাপাশি দেখালে বোঝা যেত আমরা কোথায় পড়ে আছি। আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। এজন্য আমি পরিবর্তনের জন্য চাপ দিচ্ছি। আমি বলেছি বন্দরের পরিচালনার দায়িত্ব বিশ্বের শীর্ষ অপারেটরদের হাতে তুলে দিতে। আশা করি সবাই একদিন বুঝবে। এ সময় নৌপরিবহণ উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম মনিরুজ্জামানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জলাবদ্ধতা শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসা হবে : চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা চলতি বর্ষা মৌসুমেই যাতে আগের তুলনায় অর্ধেকে নিয়ে আসা যায় এবং ক্রমান্বয়ে শূন্যে নামিয়ে আনা যায় সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন প্রধান উপদেষ্টা। বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে ‘চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন’ বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন। সভায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, জেলা প্রশাসন ও সিডিএসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে প্রধান উপদেষ্টা জলাবদ্ধতা নিরসন বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও অভিজ্ঞতার কথা শোনেন। বক্তব্যে তিনি বলেন, চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা খুবই জটিল সমস্যা। এই সমস্যা নিরসনের মাধ্যমে অন্যান্য শহর ও জেলা উৎসাহিত হবে, তাই চট্টগ্রামকে এ কাজে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। চট্টগ্রাম শহরের যে সক্ষমতা রয়েছে অন্য অনেক শহরের সেই সক্ষমতা নেই। জলাবদ্ধতা থেকে চিরতরে বের হয়ে আসতে হবে বলে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা অনেক রকম থিওরিটিক্যাল আলোচনা করেছি। সেসব আর করতে চাই না, আমরা চাই জলাবদ্ধতার সমস্যা থেকে চিরতরে বের হয়ে আসতে। কিন্তু সেটা একবারেই হবে না, তাই আমাদের ক্রমান্বয়ে অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে হবে। এ বছর যেহেতু বর্ষা মৌসুম ইতোমধ্যে এসে গেছে। তাই এবার সমস্যা পুরোপুরি সমাধান সম্ভব হবে না। কিন্তু গত কয়েক মাসে সিটি করপোরেশনসহ স্থানীয় সরকারের অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো সম্মিলিতভাবে যে প্রচেষ্টা চালিয়েছে তাতে যদি এ বছর আশানুরূপ ফল না আসে তাহলে তো সবকিছু মনে হবে জলে গেল।

সভায় উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহণ ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, শিক্ষা উপদেষ্টা সিআর আবরার, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীরপ্রতীক, প্রধান উপদেষ্টার স্পেশাল এনভয় লুৎফে সিদ্দিকী, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন, এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।

বিশেষায়িত হাসপাতালের জন্য ২৩ একর জমি প্রদান : চট্টগ্রাম হার্ট ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে হাসপাতাল নির্মাণের জন্য ২৩ একর জমি বরাদ্দ পেল কর্তৃপক্ষ। নগরীর পাহাড়তলী থানার দক্ষিণ কাট্টলী এলাকায় হাসপাতাল নির্মাণের জন্য এই জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ সম্মেলন কক্ষে হার্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও এশিয়ান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুস সালামের কাছে জমির নিবন্ধিত দলিল হস্তান্তর করেন প্রদান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। কাট্টলী এলাকায় নির্মিতব্য হাসপাতালে আধুনিক ক্যাথল্যাব, ওপেন হার্ট সার্জারি ইউনিট, ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ), সিসিইউ, কার্ডিওলজি এবং কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগ স্থাপন করা হবে। দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত হৃদরোগীদের জন্য থাকবে বিশেষ সেবার ব্যবস্থা। চট্টগ্রামে আধুনিক হৃদরোগ সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ২০২২ সালের ২৫ মে যাত্রা শুরু করে চট্টগ্রাম হার্ট ফাউন্ডেশন। নগরীর গোলপাহাড় মোড়ে একটি ভাড়া করা ভবনে বহির্বিভাগের সেবা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে এই প্রতিষ্ঠান।

কালুরঘাট রেল ও সড়ক সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর : দক্ষিণ চট্টগ্রামের বাসিন্দাদের বহুল কাঙ্ক্ষিত কালুরঘাট রেল ও সড়ক সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই সেতুটি চট্টগ্রাম নগরীর সঙ্গে বোয়ালখালী ও পটিয়া উপজেলার একাংশের যোগাযোগের মাধ্যম। এছাড়া এই সেতু বন্দর নগরীর সঙ্গে কক্সবাজারের রেল যোগাযোগেরও অন্যতম সংযোগ। দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় বাসিন্দারা নতুন একটি সেতুর জন্য আন্দোলন করে আসছিল। বিগত সরকারের সময় গৃহীত প্রকল্পটি অবশেষে আলোর মুখ দেখল। সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হওয়ায় এ অঞ্চলের মানুষের মাঝে নতুন করে আশার সঞ্চার হয়েছে। নতুন কালুরঘাট সেতু নির্মাণে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১১ হাজার ৫৬০ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। এদিকে দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হওয়ায় আনন্দে উদ্বেলিত দক্ষিণ চট্টগ্রামবাসী। এ উপলক্ষ্যে আজ সকাল ৯টায় কালুরঘাট সেতুর পশ্চিম প্রান্ত থেকে বোয়ালখালীর সর্বস্তরের নাগরিক সমাজ আনন্দ মিছিল বের করার কথা রয়েছে।

বুধবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, কালুরঘাট ব্রিজে আমার অনেক স্মৃতি। এই সেতুর ঐতিহাসিক গুরুত্ব অনেক। আজ এখানে বোয়ালখালীর বাসিন্দাও উপস্থিত। কালুরঘাট সেতু তাদের বহুল আকাঙ্ক্ষিত। এটি তৈরি হয়ে গেলে চট্টগ্রামবাসীর বহু কষ্টের অবসান হবে।

নিজ গ্রাম বাথুয়ায় ড. ইউনূস : হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি জানান, বুধবার বিকালে ১৮ বছর পর চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের বাথুয়া গ্রামে বাবার ভিটায় পা রাখেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় তিনি তার নিকটাত্মীয় ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কুশল-বিনিময় করেন। তখন তিনি চাটগাঁইয়া (চট্টগ্রামের) ভাষায় বলেন, ‘বঅত দিন পর গ্রামত আসিদ্দি। ছোড বেলায় এডেই আছিলাম। এডে ওগগো বট গাছ আসিলো; বট গাছর নিচে আড বইসতো, তহন আডত আইসতাম। ছোড বেলার স্রিতি বিয়াগগিন মনত পরের। এনডে আই ক্লাস থ্রি পর্যন্ত মহাজইন্নে বাপর ইস্কুলুত পরালেখা গইজ্জি। ইয়ার পরে আর বাপে আরে শঅরত লইগেইয়িগুই। তারপর আর সব পরালেখা শঅরত।’ অর্থাৎ বহুদিন পর গ্রামে এসেছি। ছোটবেলায় এখানেই ছিলাম। এখানে একটি বটগাছ ছিল; বটগাছের নিচে হাট বসত, তখন হাটে আসতাম। ছোটবেলার সব স্মৃতি মনে পড়ছে। এখানে ক্লাস থ্রি পর্যন্ত মহাজন বাপের স্কুলে পড়াশোনা করেছি। এরপর আমার বাবা আমাকে শহরে নিয়ে যায়। তারপর সব লেখাপড়া শহরে।

বিকাল ৪টা ৫৮ মিনিটে তিনি তার বাপের ভিটা হাজী মোহাম্মদ দুলা মিয়া সওদাগর বাড়িতে আসেন। সেখানে তিনি ২২ মিনিট অবস্থান করেন। এরপর বিকাল ৫টা ২০ মিনিটে তিনি তার পিতামহ হাজী মোহাম্মদ নজু মিঞা সওদাগর বাড়ির অদূরে নূরালী বাড়ি উপ-ডাকঘরসংলগ্ন কবরস্থানে শায়িত দাদা-দাদির কবর জিয়ারত করেন। এরপর কোনো প্রকার ফুল, ব্যানার, পতাকা ও স্লোগান ছাড়াই প্রায় ৭ মিনিটের মতো তার নিকটাত্মীয় ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কুশল বিনিময় করে উপস্থিত সবার কাছ থেকে বিদায় নেন। ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রটোকল ভেঙে চাচা হাজী মো. শফিকে বুকে টেনে নেন।

Top