আগামী রমজানের আগেই নির্বাচন চায় জামায়াত - Alokitobarta
আজ : বুধবার, ১৯শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আগামী রমজানের আগেই নির্বাচন চায় জামায়াত


ডা.মুন্সী মুবিনুল হক:আগামী নির্বাচনের জন্য ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত অপেক্ষা করলে বর্ষা, বিভিন্ন ধরনের ঝড় ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কা তৈরি হতে পারে। তাই আগামী রমজানের আগেই নির্বাচন চায় জামায়াতে ইসলামী। বুধবার বাংলাদেশ সফররত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া ব্যুরোর ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি নিকোল এন চুলিকের সঙ্গে বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
রাজধানীর গুলশানের একটি বাসায় অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে আমিরে জামায়াতের সঙ্গে ছিলেন সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন এবং আমিরে জামায়াতের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মাহমুদুল হাসান।বৈঠক শেষে সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, তাদের সঙ্গে আমাদের খোলামেলা কথা হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবস্থা জানতে চেয়েছেন।আগামী ইলেকশন কখন হবে, কীভাবে হবে-এটা জানতে চেয়েছেন। তারা আরও জানতে চেয়েছেন সবগুলো দল রিফর্ম চাচ্ছে, সেই রিফর্ম কেমন হতে পারে এবং আমরা কী চাচ্ছি। আমরা যদি আগামীতে দেশের দায়িত্ব পাই তাহলে আমাদের ইকোনমিক পলিসি এবং ফরেন রিলেশনটা কেমন হবে? তারা আমাদের রিজিওনাল বা আঞ্চলিক বিভিন্ন বিষয় জানতে চেয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা এসব বিষয় নিয়ে তাদের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলেছি। তারা মাইনরিটি ইস্যু, উমেনস রাইটস, লেবার রাইটস নিয়ে কথা বলেছেন। আমরা তাদের এসব বিষয় নিয়ে কনভারসেশন করেছি। এর পাশাপাশি বলেছি, আমাদের দেশ এখন ‘ক্রিটিক্যাল জাংচার’-এ আছে; একটা ‘ক্রুশিয়াল টাইম পাস’ করছে। এ সময় আরও বলেছি, আমেরিকার পক্ষ থেকে যে ৩৭ শতাংশ ট্যারিফ ধার্য করা হয়েছে, এটা যেন তারা পুনর্বিবেচনা করেন এবং আমাদের এ অনুরোধ যেন তারা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে পৌঁছে দেন।জামায়াতে ইসলামীর আমির বলেন, আমরা আমাদের দলের ভেতরে গণতন্ত্র চর্চা করি এবং আমাদের দেশেও গণতন্ত্র চর্চা করতে চাই। এজন্য আমাদের যা করণীয় তা আমরা করব। উদাহরণস্বরূপ বলেছি, প্রত্যেকটা ক্রেডিবল ইলেকশনে আমরা অংশগ্রহণ করেছি। কম হোক, বেশি হোক সংসদে আমাদের সদস্য ছিলেন। অ্যাট দ্য সেইম টাইম ইলেকশন যখন বাংলাদেশে মৃতপ্রায় হয়ে গিয়েছিল এরশাদ সাহেবের সময়, তখনকার জামায়াতের আমির অধ্যাপক গোলাম আযম সাহেব ইলেকশনকে জীবন ফিরিয়ে দিয়েছিলেন কেয়ারটেকার সরকার ফর্মুলা প্রস্তাবের মাধ্যমে; যেটা পরবর্তীকালে বাংলাদেশের সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। কিন্তু দুঃখজনকভাবে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে দলীয় স্বার্থে এটাকে নির্বাসনে পাঠিয়ে দিয়েছিল। এখন আবার সারা জাতি এটা চাচ্ছে এবং আমরা আশা করি এটা আবার সংবিধানে সন্নিবেশিত হবে। আমরা আগামী নির্বাচনটা ফেয়ার ভিত্তিতে করতে চাই। ইতোমধ্যে আমরা তা বারবার বলেছি আপনারা জানেন। কেন চাই তাও আপনারা জেনেছেন।

তিনি বলেন, তারা (মার্কিন কর্মকর্তা) জানতে চেয়েছেন কখন এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। আমরা বলেছি, সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, এ বছরের ডিসেম্বর অথবা আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন দেবেন। আমরা আশা করি ইলেকশনটা এ সময়ের মধ্যেই হবে। তবে আগামী রমজানের আগে হলে ভালো হয়। জুনের দিকে নির্বাচন দিলে তখন বর্ষা, ঝড়-ঝাপটাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসতে পারে। তখন আবার ইলেকশনটা পিছিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দেবে। আমরা এজন্য চাচ্ছি ওই আশঙ্কার আগেই যাতে ইলেকশনটা হয়ে যায়।আওয়ামী লীগের বিচার প্রসঙ্গে আমিরে জামায়াত বলেছেন, জাতি ট্রমাটাইসড! এখনো হাসপাতালে অনেক আহত-পঙ্গুত্ববরণকারী পড়ে আছেন। এখনো শহিদদের মা-সন্তান-স্ত্রীরা কান্না করছেন। এই অবস্থায় আওয়ামী লীগের বিচার অবশ্যই হতে হবে। তবে আমরা সঠিক বিচার ও শাস্তি চাই।

Top