শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র, দ্বিতীয় আমিরাত দেশে রেমিট্যান্স আসায়
মোহাম্মাদ আবুবকর সিদ্দীক ভুঁইয়া:গত তিন মাসে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি বৈদেশিক মুদ্রা এসেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। এরপরেই রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের অবস্থান।বাংলাদেশ ব্যাংক(বিবি)এমন তথ্য দিয়েছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স আসা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। এতে বৈদেশিক মুদ্রা আসার দিক থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ছাড়িয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র।২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর- এই তিন মাসের প্রবাসীদের পাঠানো অর্থের বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে দেখা যায়,এই সময়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১৪০ কোটি মার্কিন ডলার বাংলাদেশে এসেছে।এরপরেই রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি থেকে এসেছে ৯৯ কোটি ডলার।বাংলাদেশে রেমিট্যান্স আসা দেশগুলোর শীর্ষে রয়েছে সৌদি আরব,মালয়েশিয়া,যুক্তরাজ্য,কুয়েত, ইতালি,ওমান,কাতার ও সিঙ্গাপুর।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাব অনুসারে, আগস্টে যুক্তরাষ্ট্র থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ২৯ কোটি ৩৪ লাখ মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে সেটা ৩৪ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৩৯ কোটি ডলার।তবে গত কয়েক মাসে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা বাংলাদেশী প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠানো বাড়িয়ে দিয়েছেন।অক্টোবরে বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির দেশটি থেকে ৫০ কোটি ডলার এসেছে। সেপ্টেম্বরের তুলনায় যা ২৮ শতাংশ বেশি।আর নভেম্বরে ৫১ কোটি ১৯ লাখ মার্কিন ডলার এসেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে।গত পাঁচ মাসে রেমিট্যান্স বেড়েছে ৩০০ কোটি মার্কিন ডলার আর রফতানি বেড়েছে ২৫০ কোটি ডলার-এমন তথ্য জানিয়ে গত ১১ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড.আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু হয়নি, এখনো কেন্দ্রীয় ব্যাংকে চার মাসের রিজার্ভ রয়েছে।তবে সতর্ক থাকতে হবে।গভর্নর বলেন,টাকা-পাচার ও ব্যাংকিং খাতে সুশাসন ফিরে আসায় অর্থনীতি মোটামুটি স্থিতিশীল রয়েছে।’
প্রবাসে বাংলাদেশীদের রাজনৈতিক পরিচয়ে বিভাজন সবচেয়ে বড় সঙ্কট বলেও মন্তব্য করেন আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন,সবাইকে বাংলাদেশের পক্ষে লবিং করতে হবে, নয়তো রাজনৈতিকভাবে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো অসম্ভব।তিনি বলেন,ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স আনতে ২ দশমিক ৫ শতাংশ প্রণোদনা দেয়ায় বছরে সরকারের সাত হাজার কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে।
সূত্র : ইউএনবি