শেখ হাসিনার ফেরত সংক্রান্ত চিঠির জবাব দেয়নি ভারত - Alokitobarta
আজ : শুক্রবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শেখ হাসিনার ফেরত সংক্রান্ত চিঠির জবাব দেয়নি ভারত


মহাব্বাতুল্লাহ:সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে বাংলাদেশ যে চিঠি দিয়েছে ভারতকে, তার জবাব এখনও দেয়নি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ তথ্য দেন।তৌহিদ হোসেন বলেন, শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতের কাছে যে চিঠি দেওয়া হয়েছিল, তার জবাব এখনও পাইনি।দিল্লিতে হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনাদের মতো আমিও এটা পত্রিকার মাধ্যমে জেনেছি। আমাদের কী করার আছে?ছাত্র–জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এরপর এখন পর্যন্ত সেখানেই অবস্থান করছেন তিনি।এর আগে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে (আইসিটি) শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণ-অভ্যুত্থানের সময়ে হত্যাকাণ্ড, গত ১৬ বছরে গুম-ক্রসফায়ার, পিলখানা হত্যাকাণ্ড ও শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ডের ম‌তো মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। জোরপূর্বক গুমের মামলায় শেখ হাসিনাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আইসিটি। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি আসামিদের গ্রেপ্তার করে হাজির করার নির্দেশও দিয়েছে আদালত।

এরপর গত ২৩ ডিসেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে ভারতের কাছে চিঠি দেয় বাংলাদেশ। তবে বুধবার হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ভারতে শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে নয়াদিল্লি।প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশজুড়ে বিক্ষোভের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করা শেখ হাসিনা ভারতে থাকলেও তিনি যোগাযোগবিহীন অবস্থায় রয়েছেন। ৫ আগস্ট ভারতের হিন্দন বিমানঘাঁটিতে আসেন তিনি। পরে দিল্লির একটি নিরাপদ বাসস্থানে তাঁকে সরিয়ে নেওয়া হয় বলে জানা গেছে।এ বিষয়ে অবগত কয়েকজনের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাতে ভারতে অবস্থান করতে পারেন, সেই পথ সুগম করতে সম্প্রতি তাঁর ভিসার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। তাঁকে ভারতে আশ্রয় দেওয়া নিয়ে ওঠা গুঞ্জন নাকচ করে তাঁরা বলেন, শরণার্থী ও আশ্রয় দেওয়ার মতো বিষয়গুলো বিবেচনার ক্ষেত্রে ভারতে কোনো সুনির্দিষ্ট আইন নেই।

অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই বিক্ষোভে জোরপূর্বক গুম ও হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট বিভাগ ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শেখ হাসিনাও রয়েছেন তাদের মধ্যে। ফলে এ মুহূর্তে তাঁর বৈধ কোনো বাংলাদেশি পাসপোর্ট নেই। তবে বিগত সরকারের অনেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের নিয়ম ভেঙ্গে দ্বৈত নাগরিকত্ব ছিল। তবে শেখ হাসিনার পরিবারের বাকি সদস্যদের দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকলেও, তাঁর দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকার কোনো তথ্য এখন পর্যন্ত প্রকাশ পায়নি।

Top