তাজুল ইসলামকে সবাই আধুনিক বিআরটিসির রুপকার হিসেবেই জানেন - Alokitobarta
আজ : শুক্রবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তাজুল ইসলামকে সবাই আধুনিক বিআরটিসির রুপকার হিসেবেই জানেন


মু.এ বি সিদ্দীক ভুঁইয়া:বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন বা বিআরটিসির গুরুত্বপূর্ণ ডিপো কল্যাণপুর বাস ডিপোর আধুনিক কাঠামো উদ্বোধন করেছেন বিআরটিসির চেয়ারম্যান মোঃ তাজুল ইসলাম। অবশ্য তাজুল ইসলামকে সবাই আধুনিক বিআরটিসির রুপকার হিসেবেই জানেন। দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও জনকল্যাণমুখী খাত বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন বা বিআরটিসি। আর এই প্রতিষ্ঠানের অন্যতম অংশীদার কল্যাণপুর বিআরটিসি বাস ডিপো। রোববার (২২ ডিসেম্বর) কল্যানপুর বাস ডিপোতে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক স্থাপনার উদ্বোধন করা হয়।শাখাটির সুদক্ষ ম্যানেজার (অপারেশন) মোঃ শাহরিয়ার বুলবুলের সুদক্ষ পরিচালনায় এগিয়ে চলেছে কল্যাণপুর বাস ডিপোটি। সেখানে ২.৮০ একর জায়গা জুড়ে রয়েছে বিশাল একটি মাঠ। যেখানে প্রশিক্ষণ ও উন্নয়নসহ বিভিন্ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় আধুনিক সাজে সজ্জিত করতে নতুন করে হাতে নেয়া হয়েছে বিশেষ কিছু কর্মসূচী। উদ্বোধনী প্রধান বিষয়গুলো হলোঃ ট্রেনিং ইনস্টিটিউট ও আধুনিক ক্লাসরুম। ওয়ার্কিং শেড এবং ইয়ার্ড। জ্বালানী শাখার নবনির্মিত ভবন (পিওএল)। বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী ইত্যাদি।

কারিগরি ওয়ার্কিং শেডঃ কল্যাণপুর ডিপোর ৩৬০/৪০ ফিট কারিগরি ওয়ার্কিং শেড নির্মাণ করে সুন্দর কর্মপরিবেশ তৈরি হয়েছে। এমনকি বৃষ্টি হলেও এখন কারিগররা এক সাথে ১৫/২০ টি গাড়ির মেরামত কাজ করতে পারেন। আর এই উন্নয়ন কাজে ব্যয় হয়েছে ৪০ লাখ ৭০ হাজার ৭২১ টাকা।পিওএল ভবনঃ ডিপোতে জ্বালানী শাখা বা পিওএল শাখায় ৬০/১৫ ফিট ৩ রুম বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ করা হয়। সেইসাথে ১২ হাজার ৩৬০ স্কয়ার ফিট ইয়ার্ড মেরামত ও সংস্কার করা হয়েছে। যেখানে ব্যয় হয়েছে ৪৬ লাখ ১ হাজার ১৭১ টাকা। এছাড়াও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, প্রশিক্ষণ কার্যক্রমসহ নানাবিধ কাজে তারা সবসময় তৎপর।পরিবেশ রক্ষায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিও পালন করেছে তারা।

অনুষ্ঠানে ডিপোর সাধারণ কর্মচারীদের মধ্য থেকে মতামত জানানোর জন্য বলা হয়। ঠিক এই সময়ে বাস্তবভিত্তিক ঝাঁঝালো অনুভূতি প্রকাশ করেন তারা। তাদের অনেকেই বলেন, স্যার আপনাদের সাহায্য ও মনোবলই আমাদেরকে শক্তি যোগায়। তারা বলেন, মোঃ তাজুল ইসলাম স্যার যতদিন আছেন-আমরা সন্তুষ্ট। আমাদেরকে আর বেতন ভাতার জন্য আন্দোলন করতে হয়নি। আমরা চাই, আপনি চলে গেলে যেনো সেই আগের দুর্দিন পুনরায় ফিরে না আসে।মূলত পুরাতন জরাজীর্ণ অপুষ্টিতে ভোগা বিআরটিসিকে আধুনিক সাজে সজ্জিত করতেই বিআরটিসির চেয়ারম্যান মোঃ তাজুল ইসলামের নির্দেশনায় ডিপো ম্যানেজার মোঃ শাহরিয়ার বুলবুল উপরোক্ত এজেন্ডা গুলো বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেন।

এ বিষয়ে বিআরটিসির চেয়ারম্যান মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের এই বিআরটিসি প্রতিষ্ঠানটি বহু পুরোনো। কিন্তু সেই ধরনের কোনো উন্নয়ন আমাদের চোখে পড়েনি। তাই আমরা পর্যায়ক্রমে সকল ডিপো, সকল প্রতিষ্ঠান রিকভারি করছি। আমাদের অধিকাংশ কাজ শেষের পথে। আশা করছি শীঘ্রই আমাদের বাকি কাজগুলো আমরা শেষ করতে পারবো।
অনুষ্ঠানের শেষে আয়োজন করা হয় শুদ্ধাচার প্রশিক্ষণ ও মতবিনিময় সভা। ডিপো ম্যানেজার মোঃ শাহরিয়ার বুলবুলের শুভেচ্ছা বক্তব্যের পর বিভিন্ন উর্ধ্বতন কর্মকতাগণ বক্তব্য রাখেন।

এ সময় অর্থ, হিসাব ও অপারেশন পরিচালক ড. অনুপম সাহা, কারিগরি পরিচালক-ব্রি. মোহাম্মদ মোবারক হোসেন মজুমদার, (পিএসসি) সহ অনেকেই বিআরটিসির উন্নয়নের সার্বিক চিত্র ও চেয়ারম্যানের একনিষ্ঠতার বাস্তবিক চিত্র তুলে ধরেন।বিশেষ করে বিআরটিসির চেয়ারম্যান মোঃ তাজুল ইসলাম দিকনির্দেশনা মূলক বক্তব্য রাখেন।

তিনি বলেন, বিআরটিসি একটি বিশাল প্রতিষ্ঠান। তাই চাইলে এখান থেকে দেশকে অনেক কিছু দেয়ার সুযোগ আছে। প্রয়োজন শুধু সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে পারা। আমি দায়িত্বে থাকা অবস্থায় আমার সর্বোচ্চটা করে যাচ্ছি। আমি চলে গেলে যেনো এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকে। কোনো ভাবেই যেনো থমকে না যায়। সে জন্য আপনাদেরই সজাগ থাকতে হবে।

Top