বিভিন্ন প্রকল্প থেকে রাজস্ব খাতে নিয়োগের ঘটনা তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি করার নির্দেশ - Alokitobarta
আজ : বৃহস্পতিবার, ২০শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিভিন্ন প্রকল্প থেকে রাজস্ব খাতে নিয়োগের ঘটনা তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি করার নির্দেশ


মোহাম্মাদ নাসির উদ্দিন :স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে (এলজিইডি) বিভিন্ন প্রকল্প থেকে রাজস্ব খাতে নিয়োগের ঘটনা তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তিন মাসের মধ্যে এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। ‘পিএসসির মত ছাড়া তিন হাজার কর্মকর্তা নিয়োগ, এলজিইডির নিয়োগ বিধি তছনছ’, শিরোনামে ২৮ অক্টোবর প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্য নিয়ে হাইকোর্টে রিট দাখিল করেন দুজন আইনজীবী। পরে এ বিষয়ে শুনানি শেষে আদেশ দেন বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি মো. রাশেদুজ্জামান রাজা। রিটটি দাখিল করেন ব্যারিস্টার উম্মে আইমান ও ব্যারিস্টার মো. আরিফ চৌধুরী।

এলজিইডির উন্নয়ন প্রকল্প থেকে রাজস্ব খাতের ২৫৭ জনের নিয়োগ ও পদোন্নতির অনিয়মের প্রতিষ্ঠানটিকে (এলজিইডি) ১ নম্বর বিবাদী এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে ২ নম্বর বিবাদী করে রিটটি করা হয়। হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ পত্রিকায় প্রকাশিত অভিযোগ আমলে নিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে এলজিইডির চাকরির অনিয়মের বিষয়ে তদন্ত করতে আদেশ দেন। তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করতে তিন মাস সময় দিয়েছেন আদালত।এর আগে এলজিইডি বিভিন্ন প্রকল্প থেকে রাজস্ব খাতে নিয়োগ নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে ৩০ অক্টোবর একটি কমিটি করা হয়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী ৬ সদস্যবিশিষ্ট এই কমিটি করেছিলেন। কমিটিকে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে এ বিষয়ে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হলেও গত দেড় মাসেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

জানা যায়, দীর্ঘ ১৫ বছর রাজস্ব খাতে নিয়োগ নিয়ে চরম বৈষম্য দেখা দেয় এলজিইডিতে। প্রায় শতাধিক পদ থাকলেও নির্বাহী প্রকৌশলী পদে পদোন্নতি পাচ্ছেন না ২০০৬ সালে নিয়োগ পাওয়া সহকারী প্রকৌশলীরা।এ নিয়ে মারাত্মক অসন্তোষ তৈরি হয়েছে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে ভূমিকা রাখা প্রকৌশলীদের মধ্যে। বৈষম্যের শিকার কর্মকর্তারা বলছেন, সব সুযোগ-সুবিধা যেন প্রকল্প থেকে আসা কর্মকর্তাদের ঘিরে। মন্ত্রণালয়, হাইকোর্ট তদন্তের জন্য আদেশ দেওয়ার পরও পারস্পরিক সমঝোতার (অ্যামিকেবল সেটেলমেন্ট) ভিত্তিতে সমাধানের কথা বলে বছরের পর বছর সময়ক্ষেপণ করা হচ্ছে।

Top