সার্ককে সক্রিয় করে তোলার মধ্য দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো লাভবান হতে পারে
মোহাম্মাদ রফিকুল ইসলাম : প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সার্ককে সক্রিয় করে তোলার মধ্য দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো লাভবান হতে পারে। প্রধান উপদেষ্টা হিসাবে শপথ গ্রহণের পরপরই আমি সার্ককে সক্রিয় করার বিষয়ে বলেছি। তবে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার কিছু ইস্যুর কারণে সার্ক সক্রিয় হচ্ছে না। তিনি বলেন, সার্ক আমার কাছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।বৃহস্পতিবার সাউথ এশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর রিজিওনাল কো-অপারেশন অনকোলজির (এসএফও) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস যুক্ত হন। এ সময় তিনি সার্ক ফেডারেশন অব অনকোলজিস্টসের (এসএফও) প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ডা. এবিএমএফ করিমের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং তার সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করেন। এ সময় নিজের ছোট ভাই বিশিষ্ট লেখক, সাংবাদিক, সমালোচক ও খ্যাতনামা টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব মুহাম্মদ জাহাঙ্গীরকে স্মরণ করেন অধ্যাপক ইউনূস। ভাইয়ের ক্যানসার শনাক্ত ও চিকিৎসার সময় তার পুরো পরিবারকে কী ভোগান্তির মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল, সেসব অভিজ্ঞতার কথা জানান তিনি। সেসময় ডা. করিম কীভাবে তার চিকিৎসায় সাহায্য করেছিলেন, সে কথাও উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ক্যানসার চিকিৎসায় যে প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রয়োজন, তা এখনো আমরা পাচ্ছি না। সার্ক যে ক্যানসার চিকিৎসাকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে-এটা অত্যন্ত জরুরি ও অনুপ্রেরণামূলক।
সার্ক প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, সার্ক আমার কাছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার কিছু ইস্যুর কারণে সার্ক সক্রিয় হচ্ছে না। তিনি বলেন, দুটি দেশের মধ্যকার সমস্যা অন্য দেশগুলোকে প্রভাবিত করা উচিত না। প্রতিবছর দক্ষিণ এশিয়ার নেতারা সাক্ষাৎ করলে, একসঙ্গে দাঁড়িয়ে ছবি তুললে গোটা বিশ্বের কাছে বার্তা যায় যে আমরা একসঙ্গে আছি। এটা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে বিশ্বের কাছে ইতিবাচকভাবে উপস্থাপন করবে এবং এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে। এ কনফারেন্সের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে সার্ক সক্রিয় করতে আবারও আহ্বান জানান ড. ইউনূস।