সে লক্ষ্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে - Alokitobarta
আজ : বৃহস্পতিবার, ২০শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সে লক্ষ্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে


মোহাম্মাদ মুরাদ হোসেন: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আমরা এমন এক সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে কাজ করে যাচ্ছি যে সমাজে সব নাগরিকের অধিকারের নিশ্চয়তা থাকবে। সে লক্ষ্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মিরপুর-১৩ এর ৪ নং ওয়ার্ড কমিউনিটি সেন্টারে কাফরুল উত্তর থানা জামায়াতের উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র উপহার প্রদানকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।থানা আমির রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি হাফেজ আশিকুর রহমানের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমির আব্দুর রহমান মূসা ও সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম। আরও বক্তব্য দেন-শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি লস্কর মুহাম্মদ তাসলিম, ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি ডা. ফখরুদ্দীন মানিক, মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য শহিদ উল্লাহ, অধ্যাপক আনোয়ারুল করিম, শাহ আলম তুহিন প্রমুখ।

শফিকুর রহমান বলেন, আমাদের দেশের রাজনীতিতে একটি স্লোগান আছে যে, ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, আর দলের চেয়ে দেশ বড়। কিন্তু আমাদের দেশের প্রচলিত রাজনীতিতে এর কোনো প্রতিফলন লক্ষ্য করা যায় না। জামায়াতও রাজনৈতিক ময়দানে একই স্লোগান দিয়ে থাকে। কিন্তু এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হলো আমরা সে স্লোগান দিয়েই আমাদের দায়িত্ব শেষ করি না বরং তা যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য চেষ্টা করে থাকি। তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী একটি গণমুখী ও কল্যাণকামী রাজনৈতিক দল হিসাবে গণমানুষের কল্যাণে কাজ করার সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছে। আর মানুষের জন্য আমাদের এই কল্যাণকামিতা আগামী দিনেও অব্যাহত থাকবে-ইনশাআল্লাহ। তিনি দেশকে ইসলামি কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে সবাইকে একদফায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

জামায়াতের আমির বলেন, এখনো রাজধানীতে শীত জেঁকে বসেনি। কিন্তু আমরা সম্ভাব্য শীত মোকাবিলায় অগ্রিম প্রস্তুতির অংশ হিসাবে শীতবস্ত্র বিতরণ করছি। আমরা ভালো কাজের সব কৃতিত্ব নিতে চাই না বরং অন্যদের পথ দেখানোর চেষ্টা করছি মাত্র। আমরা আশা করব সবাই এই মহতী কাজে এগিয়ে আসবেন এবং বিপন্ন ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়াবেন। তিনি জামায়াতের কল্যাণকামী তৎপরতার কথা উল্লেখ করে বলেন, জামায়াত মানুষের কল্যাণের জন্য বিভিন্ন জনহিতকর প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছে। আমরা স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদ্রাসাসহ সাধারণ মানুষের জন্য মেডিকেল সার্ভিসও দিয়ে যাচ্ছি। আমরা অ্যাম্বুলেন্সসহ লাশবাহী গাড়ির সেবা দিয়ে থাকি।বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, জামায়াত ক্ষুধা, দারিদ্র্য, অপশাসন ও দুঃশাসনমুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা এমন এক সমাজ জাতিকে উপহার দিতে চাই, যেখানে মানুষে মানুষে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না। ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে সব মানুষ সমান নাগরিক অধিকার ভোগ করবেন। তিনি ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠায় সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।

Top