সচিবালয়ে নতুন করে অস্থিরতা
মোহাম্মাদ রফিকুল ইসলাম:সচিবালয়ে সহকারী সচিব, সিনিয়র সহকারী সচিব, উপ-সচিব এবং যুগ্নসচিব পদে পদোন্নতির জন্য ক্যাডার বহির্ভূতদের এক তৃতীয়াংশ পদ সংরক্ষণের লক্ষ্যে সচিবালয় কর্মচারীদের দাবির প্রেক্ষিতে গত ৬ নভেম্বর আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় ১৯ দিন অতিবাহিত হলেও উক্ত সভার কার্যবিবরণী এখনো অনুমোদন হয়নি। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও অর্থ বিভাগের প্রতিনিধি নানা অজুহাতে কালক্ষেপণ ও তালবাহানা অব্যাহত রাখায় কর্মচারীদের মনে ক্ষোভ, হতাশা ও অস্থিরতার সৃষ্টি হয়েছে। পরে অর্থ বিবাগের যুগ্মসচিব ড, নাদিরা সুলতানার রুমে দেখা করার চেষ্টা করলে তিনি রুমের দরজা বন্ধ করেদেন।গতকাল সোমবার বেলা ১১টায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কয়েক শতাধিক কর্মচারী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সংগঠিত হয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের (এপিডি) দপ্তরে ক্ষোভ ও হতাশার কথা জানান। পরবর্তীতে অর্থ বিভাগে গিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের ক্ষোভের কথা জানান এবং বিষয়গুলো আশু নিরসনের জন্য অনুরোধ করেন। বাংলাদেশ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদনাম পরিবর্তন সংক্রান্ত গত ১৪ আগস্টের প্রস্তাবের ওপর এখনো কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। বিধি অনুবিভাগের চাহিদা মোতাবেক স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রস্তাব প্রণয়ন না করায় কর্মচারীদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে। বিষয়টি দ্রুত সুরাহা না করা হলে কর্মচারীদের ক্ষোভ দিন দিন বাড়তে থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।
সহকারী সচিব পদে ২২৪টি প্রাপ্য পদ রয়েছে। এছাড়া সিনিয়র সহকারী সচিব-৫৬টি, উপসচিব-৫৯টি এবং যুগ্ম-সচিব পদে ৩১টি পদ রয়েছে। খসড়া কার্যবিবরণীতে পদ সংরক্ষণের জন্য সম্ভাব্য সুপারিশ করা হয়েছে- সহকারী সচিব-৬৪টি, সিনিয়র সহকারী সচিব-১১টি, উপসচিব-৬টি। বর্তমানে সংরক্ষিত পদ রয়েছে সহকারী সচিব-২৯২টি, সিনিয়র সহকারী সচিব-৭৮টি ও উপসচিব ৯টি। এছাড়া জাতীয় নবম পে-স্কেল ঘোষণা, পূর্বের ন্যায় টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পুনবর্হাল, মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ন্যায় সচিবালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সচিবালয় ভাতা, ১০০ ভাগ পেনশন পুনবর্হাল এবং পেনশন গ্র্যাচুইটির হার ১:৫০০ টাকা অবিলম্বে বাস্তবায়নের জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।