আদালত যখনই চাইবে তখনই শেখ হাসিনাকে ফেরত দিতে ভারতের প্রতি আহ্বান
মোহাম্মাদ আবুবকর সিদ্দীক ভুঁইয়া:আদালত যখনই চাইবে তখনই শেখ হাসিনাকে ফেরত দিতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশ হিসাবে ভারতের সঙ্গে সু-প্রতিবেশীসুলভ আচরণ পেতে চাই। আদালত যখনই চাইবে তখনই শেখ হাসিনাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিতে হবে।শুক্রবার সকালে নীলফামারী বড়মাঠে জেলা জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জামায়াতের আমির বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। দুই মাসের মধ্যেই তৎকালীন বিডিআরের সদর দপ্তরে চৌকস ৫৭ জন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়েছে। তাদের লাশ ভাসিয়ে দেওয়া হয় পিলখানার ড্রেনে। রাতে বাতি নিভিয়ে ঘাতকদের পিলখানা থেকে পালানোর সুযোগ করে দেওয়া হয়েছিল। এই ঘাতকদের পরিচয় জাতিকে জানতে দেওয়া হয়নি, ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে।
শফিকুর রহমান বলেন, স্বাধীনের পর ১০ জানুয়ারি করাচির কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশে আসেন। তিনি ফিরে এসে এ দেশের দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন। তার শাসনামলে যারা বিভিন্ন অপরাধ করেছিল, তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল। সে সময় শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার দফায় দফায় ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধীর তালিকা করেছিল। যার মাঝে বর্তমান এই বাংলাদেশের কারও নাম উল্লেখ ছিল না। যদি সত্যিই জামায়াতে ইসলামীর কোনো লোক সে সময়ে জড়িত থাকত তাহলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হতো। তারা অন্যায়ভাবে প্রায় ৪২ বছর পর জামায়াতের ১১ নেতাকে ফাঁসির নামে হত্যা করেছে।
জামায়াত আমির আরও বলেন, আওয়ামী লীগ জাতিকে ধোঁকা দিয়েছে, তারা জাতির ওপর জুলুম করেছে, মানুষ খুন করেছে, গণহত্যা চালিয়েছে, মানুষ গুম করে আয়না ঘর তৈরি করেছে, হাজারো মায়ের বুক খালি করেছে, ঘরবাড়ি তচনছ করেছে, মানুষের ইজ্জতের ওপর হামলা করেছে। অন্যায়ভাবে জামায়াতে ইসলামীর সব অফিস সিলগালা করে বন্ধ করে দিয়েছে। ঘরের মাঝেও আমাদের শান্তিতে থাকতে দেয়নি। তারা বিভিন্ন সময় আমাদের ধরে এনে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় যুক্ত করেছে।তিনি বলেন, আমরা চাই না বিনা বিচারে একজন মানুষকে হত্যা করা হোক। আর প্রতিটি অপরাধের বিচার হওয়া দরকার। বিচার না হলে অপরাধপ্রবণতা আরও বৃদ্ধি পাবে। আমরা দুর্নীতি করব না আর কাউকে দুর্নীতি করতেও দেব না।সম্মেলনে জেলা জামায়াতের আমির আব্দুস সাত্তার সভাপতিত্ব করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের সহ-সেক্রেটারি জেনারেল ও রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চল পরিচালক মাওলানা আব্দুল হালিম, রংপুর বিভাগীয় সেক্রেটারি মাওলানা হাবিবুর রহমান বেলাল, রংপুর টিম সদস্য আব্দুর রশিদ, জেলা বিএনপির সভাপতি আখম আলমগীর সরকার প্রমুখ।