পাঁচ হাজার কোটি টাকা পাচারের অনুসন্ধান ‘গুম’ - Alokitobarta
আজ : শুক্রবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাঁচ হাজার কোটি টাকা পাচারের অনুসন্ধান ‘গুম’


মু.এ বি সিদ্দীক ভুঁইয়া:প্রশ্ন হয়ে দাঁড়ায়, অর্থ পাচারের সবগুলো এখতিয়ার যখন দুদকের এখতিয়ারে ছিলো, তখনই বা কি করেছে দুদক? মাফিয়া হাসিনা সরকারের অধীন দুদক তখন হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারের অনুসন্ধানগুলো হয় ‘গুম’ করেছে, কিংবা করেছে হত্যা। এসব অনুসন্ধান ‘ক্লু-লেস’ করার জন্য নথিপত্র পর্যন্ত বিনষ্ট করে ফেলা হয়েছে বলে জানা গেছে। পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার ক্ষেত্রে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তেমন কিছুই করার নেই! সংস্থাটির কর্তা ব্যক্তিদের জবানিতে এমন ন্যারেটিভ শোনা যাচ্ছে ইদানিং। প্রতিষ্ঠানটি তখনই এ ধরনের ভোল আওড়াচ্ছে যখন শেখ হাসিনা এবং তার লেসপ্যান্সারদের পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার প্রসঙ্গ এলো। বলা হচ্ছে, অর্থ পাচার নিয়ে কাজ করার তেমন কোনো এখতিয়ারই দুদকের নেই। তর্কের খাতিরে না হয় ধরেই নেয়া হলো যে, অর্থ পাচার সংক্রান্ত ২৭টি এখতিয়ারই দুদক থেকে কেড়ে নেয়া হয়েছে। একটি দৃষ্টান্ত টানা যেতে পারে।ধূর্ত শেখ হাসিনা কখনো নিজের ইমেজ বিল্ডিং এবং কখনো বৃহৎ ইস্যু ধামাচাপা দিতে নিজেই বাজারে ছেড়ে দিতেন বিভিন্ন ইস্যু। মিডিয়া সেগুলো নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়তো। সূক্ষ্ম চাল চেলে কথিত ইস্যুগুলো নিজেই ধামাচাপা দিতেন। ভিন্ন চাল চেলে বাহবা কুড়াতেন নিজেই। উচ্ছিষ্টভোগী মিডিয়ায় ধন্যি ধন্যি পড়ে যেতো শেখ হাসিনার। শেখ হাসিনার এমনই একটি ইস্যু ছিলো ‘অর্থ পাচার’। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৫৩ আসন নিশ্চিত করার ‘নির্বাচন’র বছর ছিলো ২০১৪ সাল। কথিত সেই নির্বাচনকে সামনে রেখে ২০১৩ সালে সামনে আনা হলো অর্থ পাচারের মাধ্যমে ‘মালয়েশিয়া-কানাডায় সেকেন্ড হোম’ করার ইস্যুটি। উদ্দেশ্য, ‘শেখ হাসিনার দুর্নীতিবিরোধী’ ইমেজ প্রচার। শেখ হাসিনার ওই এজেন্ডার মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়নের প্রকল্পের দায়িত্বে ছিলো দুদক। অনুগত আমলা বদিউজ্জামান কমিশনের শেষ সময় তখন। মালয়েশিয়া-কানাডায় অর্থ পাচার করেছেন, ‘সেকেন্ড হোম’ করেছেন- এমন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের একটি তালিকা করে ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। এই তালিকা অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে তথ্য-প্রমাণসহ দুদকে প্রতিবেদন পাঠায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সংস্থাটি। ওই তালিকায় অন্ততঃ ৫ হাজার কোটি টাকা মালয়েশিয়ায় পাচারের অভিযোগে ৬ ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ সম্বলিত একটি প্রতিবেদন ছিলো। তারা হলেন, সৈয়দা সুফিয়া খাতুন, নূর-এ-ইয়াসমিন ফাতিমা, এ.এস.এম. রফিকুল ইসলাম নোমান, মো: নূরুল ইসলাম, আবদুল্লাহ মোহাম্মদ জাবের এবং আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ জুবায়ের। তারা প্রত্যেকেই বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক। নামমাত্র জমি বন্ধক রেখে দুর্নীতিবাজ ব্যাংক কর্মকর্তাদের যোগসাজশে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণের নামে হাতিয়ে নিয়েছেন হাজার হাজার কোটি টাকা। এই অর্থের যৎ কিঞ্চিত প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করে বাকিটা পাচার করেন মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে। কিন্তু বৃহৎ এই পাচারের অনুসন্ধানটি দুদকের কতিপয় কর্মকর্তা এমন কায়দায় ‘গুম’ করে দেন, এর কোনো নথিই অবশিষ্ট রাখা হয়নি বলে জানা গেছে। বলাবাহুল্য, প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাংক লুটেরা নূরুল ইসলামের মালিকানাধীন ‘নোমান গ্রুপ’ভুক্ত। বছর দুই আগে এ প্রতিবেদক নূরুল ইসলামের কাছে জানতে চেয়েছিলেন তার বিরুদ্ধে অবৈধ অর্থ অর্জন এবং অর্থ পাচার অনুসন্ধানের শেষ পরিণতির কথা। দুদকের অনুসন্ধানের কথা স্বীকার করে মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম তখন বলেছিলেন, বিষয়টি অনেক আগের। এটি অনেক আগেই নিষ্পত্তি হয়ে গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, বিএফআইইউ’র প্রতিবেদনের ভিত্তিতে দুদক উপরোক্ত ব্যক্তিদের অর্থপাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করে। অনুসন্ধান প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংক থেকে তাদের বিষয়ে বহু রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা। এক পর্যায়ে সংস্থাটির উপ-পরিচালক (বর্তমানে পরিচালক) মো: মোরশেদ আলম ২০১৩ সালের ১৩ জুলাই নোমান গ্রুপের ৬ ব্যক্তিকে তলবি নোটিশ দেন। নোটিশের প্রেক্ষিতে মো: নূরুল ইসলামসহ তার স্ত্রী-সন্তানরা লিখিত জবাব দাখিল করেন। সেখানে তারা মালয়েশিয়ায় কোম্পানির জন্য অফিস ক্রয়, সেখানে ফ্যাক্টরি এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সম্প্রসারণের কথা স্বীকার করে প্রকারান্তে অর্থপাচারের অভিযোগকেই সুপ্রতিষ্ঠিত করেন।এরই মধ্যে দুদকে চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন শেখ হাসিনার আরেক অনুগত আমলা ইকবাল মাহমুদ। তার সময়ে নোমান গ্রুপের চেয়ারম্যান মো: নূরুল ইসলাম দুদকের এক মহাপরিচালকের মাধ্যমে ৩ কোটি টাকা খরচ করে অনুসন্ধানটি ৪ বছর ধামাচাপা দিয়ে রাখেন। এ সময় মোরশেদ আলমসহ ‘দুদক ম্যানেজ’র দায়িত্ব দেয়া হয় নোমান গ্রুপের কর্মচারী শহীদুল্লাহ চৌধুরীকে।

২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে ২০১৭ সালে ফের চাঙ্গা হয় ‘অর্থ পাচার’ ইস্যু। হাসিনার নির্দেশনায় দুদকও অন্যান্য নথির সঙ্গে সক্রিয় করে নোমান গ্রুপের অনুসন্ধান। এ সময় দুদকের তৎকালীন উপ-পরিচালক (বর্তমানে মরহুম) মো: জুলফিকার আলী ২০১৭ সালের ৩ মার্চ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নূরুল ইসলামসহ ৬ জনকে তলবি নোটিশ দেন। দিশেহারা নূরুল ইসলাম তখন ‘দুদক ম্যানেজ’র দায়িত্ব দেন বিশ্বস্ত কর্মচারী কাজী আশিকুর রহমান অপুকে। ততোদিনে দুদকের কমিশনার (অনুসন্ধান) নিযুক্ত হন হাসিনার আরেক অনুগত আমলা মোজাম্মেল হক খান। অপু এবং মোজাম্মেল হক খানের বাড়ি একই এলাকায় (মাদারীপুর)। অসুস্থ জুলফিকার আলীকে হাসপাতালে দেখতে যান নূরুল। কিন্তু উপ-পরিচালক জুলফিকার আলীর সততা ও দৃঢ়তার কাছে পরাস্ত হন। দুদক ম্যানেজে অপুর পরিবর্তে দায়িত্ব দেন আরেক বিশ্বস্ত কর্মচারী আবুল কাসেম চৌধুরীকে। ‘ম্যানেজ মাস্টার’ কাসেম চৌধুরীর সঙ্গে পূর্বসখ্যতা ছিলো শেখ হাসিনার তৎকালীন সামরিক সচিব মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন (বাচ্চু)র সঙ্গে। তার বাড়িও চট্টগ্রাম। ফুলের তোড়া নিয়ে কাসেমসহ নূরুল ইসলাম হাজির হন শহীদ মইনুল রোডস্থ জয়নুল আবেদীনের বাসায়। জয়নুল ফোন করেন দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) মোজাম্মেল হক খানকে। অতঃপর যা হওয়ার তা-ই হয়। নূরুল ইসলাম পরিবারের উদ্দেশ্যে দুদক থেকে ইস্যু হয়নি আর কোনো চিঠি। যবনিকাপাত ঘটে নোমান গ্রুপের পাঁচ হাজার কোটি টাকা পাচারের জ্বলজ্যান্ত অপরাধ। অবশ্য এর জন্য ব্যয়ও কম হয়নি নূরুল ইসলামের। মোজাম্মেল হক খান প্রতিষ্ঠিত ‘ওয়াজেদা কুদ্দুস ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন’র টিনের বাকসে নূরুল ইসলামকে ‘দান’ করতে হয়েছে অন্ততঃ ১০ কোটি টাকা। ভবনও নির্মাণ করে দিয়েছেন। এ কাজে নোমান গ্রুপের শহীদুল্লাহ চৌধুরী ও মুরাদুল ইসলাম কার্টনে করে কয়েক দফায় টাকা পৌঁছে দেন মাদারিপুর। অন্যদিকে কোটি টাকায় মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন বাচ্চুর নামে চট্টগ্রামে প্রতিষ্ঠিত ‘বীর বিক্রম জয়নুল আবেদীন উচ্চ বিদ্যালয়’র ৬ তলা ভবনের ফ্লোর নির্মাণ করে দেন সৈয়দা সুফিয়া খাতুন। ‘দানবীর’ হিসেবে এটির উদ্বোধন করেন আবার নূরুল ইসলাম। শুধু শেখ হাসিনার সামরিক সচিবই নন। ‘হোয়াইট কালার ক্রিমিনাল’ ব্যাঙ্ক লুণ্ঠনে যখন যাকে দরকার-কাছে টেনে নিয়েছেন তাকেই। মুখে ইসলামের নাম নিয়ে ওঠ-বস করেছেন চরম ইসলাম বিদ্বেষী ও ইসকন সদস্য মহিদুল হাসান চৌধুরী নওফেলের সঙ্গে। নওফেলকে মাসোহারা দিতেন নিয়মিত। আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক রেলমন্ত্রী মজিবুল হক, প্রধানমন্ত্রীর উচ্ছিষ্টভোগী সাবেক মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস, প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের জনবিভাগের সচিব সম্পদ বড়–য়া, শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়–য়া, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক সাবেক মন্ত্রী বীর বাহারদুর উশৈসিং ত্রিপুরাসহ বাঘা বাঘা আ’লীগ নেতা ছিলেন নূরুল ইসলামের দুর্বৃত্তপনার পার্টনার। শেখ হাসিনার করুণাদৃষ্টি পেতে নূরুল ইসলাম খরচ করেন কোটি কোটি টাকা। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস, শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন, ১৫ আগস্ট মৃত্যু দিবস, জন্মশত বার্ষিকীতে ডোনেট করেন ৩০ কোটি টাকা। শেখ হাসিনার হাত থেকে জাতীয় রফতানি ট্রফি, শেখ মুজিব শিল্প পুরস্কার-২০২২, সিআইপি (রফতানি) ট্রফি ইত্যাদি পদক গ্রহণে খরচ করেন কোটি কোটি টাকা।প্রতিবেদকের নিজস্ব অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে, ব্যাংক লুটেরা নূরুল ইসলাম পরিবারের ৬ সদস্যের নামে খোলা ৬টি অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে মালয়েশিয়ায় পাচার করেন কয়েক হাজার কোটি টাকা। হুন্ডির মাধ্যমেও পাঠান বহু অর্থ।

২০০২ সালে মালয়েশিয়া সরকার যখন ‘সেকেন্ডহোম’ কর্মসূূচি ঘোষণা করে, সেই সুযোগ কাজে লাগান তিনি। ২০০২ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত অর্থ পাঠান তিনি। এ অর্থে মালয়েশিয়ায় তিনি আড়াই শ’ বিঘার জমির ওপর পাম বাগান করেন। কেনেন এক ডজনের বেশি বাড়ি।
কুয়ালালামপুর জালান আমপাং পেট্রোনাস টুইন টাওয়ারের পাশে ‘মন্ট কিয়ারা’ এলাকায় ফ্ল্যাটও কেনেন বেশ কিছু। রিয়েল এস্টেট ব্যবসা শুরু করেন। কুয়ালালামপুরে শো-রুম দেন। দামি গাড়ি কেনেন বেশ কয়েকটি। ২০১৭ সালে শেখ হাসিনা আবারো অর্থ পাচার ইস্যু মাঠে ছাড়লে সতর্ক হয়ে যান নূরুল ইসলাম। বিক্রি করে দেন কিছু পাম বাগান ও কয়েকটি বাড়ি। ওই অর্থ দেশে ফেরত না এনে পাঠিয়ে দেন সিঙ্গাপুর, সউদী আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। সিঙ্গাপুর, দুবাই এবং পবিত্র মক্কা নগরীতে ‘বিনিয়োগ কোটা’য় ফ্ল্যাট ও বাড়ি কেনেন। এই তিন দেশে প্রতিমাসে নূরুল ইসলাম কিংবা তার সন্তান-নাতি নাতনিরা অবকাশ যাপনে যান।

মালয়েশিয়ায় ও আরব আমিরাতে অর্থ পাচারের প্রমাণস্বরূপ তার কন্যা স্বঘোষিত ‘ডেনিম কুইন’ নূর-ই-ইয়াসমিন ফাতিমার ভিডিওসহ বহু প্রমাণ প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, নূর-ই-ইয়াসমিন ফাতিমা মালয়েশিয়ায় তার ‘কিয়ারা ভিলা’য় অবস্থান করে বলছেন,‘এটি মালয়েশিয়ার ফেডারেল মন্ট কিয়ারায়। পাহাড় ঘেরা এলাকায় এই ‘কেয়ারা ভিলা’। তিনি জানাচ্ছেন, এর আগে আরেকটি ভবনের ২৫ তলায় প্রথম বসবাস করতেন তিনি। পিতা নূরুল ইসলামসহ সপরিবারে এখানে থাকেন তিনি। ঈদ উদযাপন করেন প্রতিবার। ফাতিমা বলেন, ‘এই ভবনটি আমার জন্য ভালো। ফেনি মুন কেয়ারা।…মালয়েশিয়ায় আমার বাসায়। লবি। সুইমিং পুল অলিম্পিক। অ্যাপার্টমেন্টগুলো ১০ তলা করে ২টি বিল্ডিং..।

ভিডিওতে দেখা যায়, ফাতিমা জানাচ্ছেন, ‘নিচে ৪টি আন্ডারগ্রাউন্ডে গ্যারেজ। তিনটি গাড়ি আছে। বিএম ডব্লিউ সেভেন সিরিজ।’ গাড়িগুলোকে তিনি সবচেয়ে কম দামি বলে দাবি করেন। জাগোয়ার, রেসওভার। ফাতিমা শখের ফিরিস্তি দিয়ে বলেন, ‘চায়না থেকে গাছ নিয়ে আসা হয়েছে। খুব সুন্দর বাতাস আছে। বাসার একটিই চরিত্র। চার দিকে পানি। পানি আর পানি। বাগান। সাদা ব্যারিকেড দিয়ে আন্ডারগ্রাউন্ডে যাওয়া যায়। এখানে ৪টি ভবন নিয়ে একটি বাড়ি। সোসাইটি। শৈল্পিক, সাংস্কৃতিক। আর্ট। সব মিলিয়ে অন্যরকম ইমেজ। সেকে- ভবন। চায়না থেকে আনা বনসাই গাছ। বয়স দেড়-দুইশ’ বছর।…ফ্ল্যাট বুকিং দেয়া হয়। মালয়েশিয়ার সবচেয়ে বড় আর্ট গ্যালারি। অলিম্পিক সাইজ সুইমিং পুল। সি লেভেল থেকে ১০ তলা উপরে পাহাড়ের ওপর ভবনগুলো করা হয়েছে। সাদা ও হলুদ বিল্ডিং। এসেট ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি।…এখানে স্ট্রাকচার। শিল্পকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। সেকেন্ড লার্জেস্ট আর্ট গ্যালারি এই ভবনের দোতলায়। যাকুজি। বাগান। জঙ্গল। সব ন্যাচারাল। বিশাল বড় জিম। নিচে কফিশপ। ক্যান্টিন। এই বিল্ডিংয়ের দোতলায় চিলন্ড্রেন স্কুল। মেইডরা সব বসে। প্রচুর ফিলিপাইন ও থাইল্যান্ডের মেয়ে ভরা।..’ তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন নূর-ই-ইয়াসমিন ফাতিমা। ‘হ্যালো ব্রাদার ! ও কাহা হ্যায় ?

Top