দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি
মোহাম্মাদ মুরাদ হোসেন: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি। দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। এসব পরাজিত শক্তির নির্লজ্জ আচরণের বহিঃপ্রকাশ। বিশেষ করে সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পিটিয়ে মানুষ হত্যার ঘটনা মেনে নেয়া যায় না। তিনি বলেন, খাগড়াছড়িসহ পার্বত্য তিন জেলায় তথাকথিত আদিবাসী কর্তৃক বাঙালি মুসলিম যুবককে নির্মমভাবে হত্যা এবং টাংগাইল ও ফরিদপুরে নির্মাণাধীন প্রতিমা ভাঙচুর সেই চক্রান্ত্রের ফসল। আজ জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টির মাধ্যমে দেশকে আবারও অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা চলছে। এমতাবস্থায় দেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধভাবে এসব মোকাবেলা করতে হবে।গতকাল শুক্রবার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের উদ্যোগে জেলা প্রতিনিধিদের নিয়ে এক যৌথ সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর রামপুরাস্থ একটি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত প্রতিনিধি সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন, দলের সিনিয়র নায়েবে নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম, মহাসচিব প্রিন্সিনপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী, আলহাজ খন্দকার গোলাম মাওলা, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, মাওলানা আবদুল কাদের মেহেরপুরী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশারুফ আলম, মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, আফতাব উদ্দিন, কেএম আতিকুর রহমান, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, মুফতী এছহাক মুহাম্মদ আবুল খায়ের, আলহাজ জান্নাতুল ইসলাম। এছাড়াও সারাদেশ থেকে আগত ৮৭ টি সাংগঠনিক জেলা নেতৃবৃন্দ গুরুত্বপূর্ণ মতামত পেশ করেন।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, ঘুরে ফিরে যেন দুর্নীতিবাজরা ক্ষমতায় না আসতে পারে এ ব্যাপারে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তিনি সমমনা ইসলামী দলগুলোর সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখার উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, রাজনীতিতে একটি আদর্শিক পরিবর্তন অবশ্যই আনতে হবে। তিনি বৃহত্তর ঐক্যের স্বার্থে পারস্পারিক বিরোধীতা কমিয়ে আনতে জোর তাগিদ দেন।নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বলেন, দলকে তৃণমূল পর্যায়ে ঢেলে সাজাতে জেলা সভাপতি ও সেক্রেটারীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি বলেন, দলে প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে আসতে দাওয়াতী তৎপরাতা বৃদ্ধি করতে হবে। ইসলামী মনমানসিকতা সম্পূর্ণ ব্যক্তিবর্গকে দলে নিয়ে আসতে ভাবতে হবে। দলকে গণমুখি দলে পরিণত করতে যা যা করা লাগে তাই করতে হবে।