সুপরিকল্পিতভাবে ঐক্য বিনষ্টের চেষ্টা চলছে - Alokitobarta
আজ : শুক্রবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুপরিকল্পিতভাবে ঐক্য বিনষ্টের চেষ্টা চলছে


মোহাম্মাদ আবুবকর সিদ্দীক ভুঁইয়া:সুপরিকল্পিতভাবে ঐক্য বিনষ্টের চেষ্টা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের বিজয় ধরে রাখতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।প্রায় এক দশক নির্বাসনে থাকার পর জাস্ট নিউজের সম্পাদক ও মানবাধিকার সংস্থা রাইট টু ফ্রিডমের নির্বাহী পরিচালক সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে ফেরেন। এ উপলক্ষ্যে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জাতীয় প্রেস ক্লাব, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (একাংশ) এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (একাংশ), ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি ও সাংবাদিক সমবায় সমিতি লিমিটেড। এ সময় সাংবাদিক আনসারীকে ‘বাংলাদেশের হিরো’ বলে উল্লেখ করেন বিএনপি মহাসচিব।মির্জা ফখরুল বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের অত্যাচার-নির্যাতনে গত ১৫ বছরে অনেকেই নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। অনেকেই দেশছাড়া হয়ে দীর্ঘদিন নির্বাসনে থেকেছেন। তবে, দেশপ্রেমিক জনতা দেশের বাইরে থেকেও গণতন্ত্র রক্ষায় সংগ্রাম করে গেছে। ছাত্র-জনতার বিপ্লবে অর্জিত বিজয়কে ধরে রাখতে হবে। যাতে সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো যায়। তিনি বলেন, আমাদের কাছে, এই দেশের মানুষের কাছে, গণতন্ত্রের সংগ্রামের ক্ষেত্রে তিনি (আনসারী) হিরো। এ জন্য যে, অত্যাচার, নির্যাতনে আমরা যখন হতাশ হয়ে পড়তাম মাঝে মাঝে, তখন তিনি আমাদের মাঝে আশার আলো জাগিয়ে তুলতেন। এ জন্যই আমাদের সবার কাছে তিনি নিঃসন্দেহে হিরো।

অনুষ্ঠানে মুশফিকুল ফজল আনসারী বলেন, স্বৈরাচার মুক্ত করে দেশের মানুষ এখন মুক্ত বাতাসে বসবাস করছেন। দেশটাকে নতুন করে স্বাধীন করতে গত ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে যারা জীবন দিয়েছেন তাদেরকে তিনি স্মরণ করেন। বলেন, নতুন করে স্বাধীনতা আনতে ছাত্র-জনতা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। তবে, বেশ আগে থেকেই কিন্তু বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো আন্দোলন করে আসছে। একটা পর্যায়ে যার সমাপ্তি করেছে ছাত্র-জনতা। তিনি বলেন, এখনো ষড়যন্ত্র কিন্তু থেমে নেই। তাই আমাদেরকে ঐক্য ধরে রাখতে হবে। কারণ, স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দোসররা এখনো বসে নেই। তাই, এ আন্দোলনে কার ভূমিকা কম বা বেশি ছিল তা নিয়ে আমাদের তর্ক করার সময় এখন নয়।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সরকারি কর্মকর্তা সমিতির নেতা ড. নেয়ামত উল্যাহ, বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব অ্যাডভোকেট গোবিন্দচন্দ্র প্রামাণিক, বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী নূর খান লিটন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, সৈয়দ আবদাল আহমদ, বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভুঁইয়া, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি এম আব্দুল্লাহ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাবেক সভাপতি এলাহী নেওয়াজ খান সাজু, কবি আব্দুল হাই শিকদার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি শহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক খুরশিদ আলম প্রমুখ।জাস্টনিউজবিডি ডটকমের সাবেক প্রধান প্রতিবেদক খালিদ হোসেন, জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক সাঈদ খান ও নিজস্ব প্রতিবেদক মোহাম্মদ মোস্তফার নেতৃত্বে সম্পাদক মুশফিকুল ফজল আনসারীকে সংবর্ধনা জানানো হয়।

Top