বহুল প্রত্যাশিত ‘ব্যাংক সংস্কার কমিশন’ গঠন হচ্ছে - Alokitobarta
আজ : শুক্রবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বহুল প্রত্যাশিত ‘ব্যাংক সংস্কার কমিশন’ গঠন হচ্ছে


মু.এ বি সিদ্দীক ভুঁইয়া:অবশেষে ব্যাংক খাতের দুর্বলতা চিহ্নিত করতে বহুল প্রত্যাশিত ‘ব্যাংক সংস্কার কমিশন’ গঠন হচ্ছে। রোববার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের বৈঠকে কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী এ খাতের দুর্বলতা দূর করা হবে। প্রায় ১৩ বছর পর এই কমিশন গঠন হতে যাচ্ছে। এর আগে সর্বশেষ ১৯৯৯ সালে ব্যাংক সংস্কার কমিটি গঠন হয়েছিল। ওই কমিটির প্রধান ছিলেন বর্তমান সরকারের পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তাদের বেশ কিছু সুপারিশ বাস্তবায়ন হলেও পরে এগুলো আইনে পরিণত হয়নি। ফলে সুপারিশগুলো উপেক্ষিতই রয়েছে। বিগত সরকারের আমলে ২০১২ সাল থেকে ব্যাংক খাতে জালজালিয়াতির বড় বড় ঘটনা প্রকাশ হতে থাকলে ব্যাংক সংস্কার কমিশন গঠন করার দাবি ওঠে। পরে এ দাবি আরও জোরালো হয়। সরকারের সাবেক দুই অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় ঘোষণা দিয়েও কমিশন গঠন করতে পারেননি। মূলত ব্যাংক খাতে ঘটে যাওয়া জালিয়াতি আড়াল করতেই গত ১৩ বছরেও কমিশন গঠন করেনি সরকার।ব্যাংক সংস্কার কমিটির পরিবর্তে এবার হচ্ছে ব্যাংক সংস্কার কমিশন। কমিটির চেয়ে কমিশন বেশি শক্তিশালী। যে জন্য সংশ্লিষ্টরা আশাবাদী সম্ভাব্য কমিশন ব্যাংক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হবে। বন্ধ হবে জালজালিয়াতি। কেলেঙ্কারির নায়করা শাস্তি পাবে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা।

সূত্র জানায়, কমিশনের কাঠামো কেমন হবে সেটি তৈরি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত ১৫ বছরে ব্যাংক খাতে সংঘটিত জালিয়াতির তদন্ত কী কমিশন করবে, নাকি কমিশন আইনি কাঠামো তৈরি করবে সে বিষয়ে এখনো কিছু হয়নি। অর্থ মন্ত্রণালয় ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে।ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সদ্য পদত্যাগী আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার কয়েক বছরের মধ্যেই ব্যাংক খাতে বড় বড় জালিয়াতির ঘটনা প্রকাশ পেতে শুরু করে। এরপরই স্বাধীন ব্যাংক সংস্কার কমিশন গঠনের দাবি ওঠে। পরে এ দাবি জোরালো হলেও সরকার কমিশন গঠন করেনি। এমনকি হয়নি জাতীয় পর্যায়ে কোনো কমিটিও। এ খাতের অবস্থা শোচনীয় হলে আইএমএফের চাপে সংস্কারের কিছু পদক্ষেপ নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কিন্তু এগুলোর কোনো ইতিবাচক প্রভাব ব্যাংক খাতে পড়েনি। গত ৫ আগস্ট সরকারের পতন হলে ৮ আগস্ট নতুন অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হয়। এ সরকার ব্যাংক সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দেয়। এর আলোকে কমিশন হঠন হচ্ছে।

সূত্র জানায়, ব্যাংক খাত এখন সবচেয়ে খারাপ সময় পার করছে। গত ১৫ বছরে ব্যাংকগুলোতে জালজালিয়াতি ও অনিয়মের ব্যাপক বিস্তার ঘটেছে। ঋণের আড়ালে মোটা অঙ্কের অর্থ ব্যাংক থেকে বেরিয়ে গেছে। যেগুলোর একটি অংশ বিদেশে পাচার হয়েছে। এসব ঋণ আদায় না হওয়ায় খেলাপি ঋণ বেড়ে যাচ্ছে। আগামী প্রান্তিকে আরও বাড়তে পারে। গ্রাহকদের আস্থা কমায় ব্যাংকগুলোতে আমানত কমেছে। বিতরণ করা ঋণ আদায় না হওয়ায় ও আমানত কমায় ব্যাংকগুলোতে তারল্য সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। ফলে ব্যাংকগুলো দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দ্বারস্থ হচ্ছে। সার্বিকভাবে ব্যাংক খাতের আর্থিক অবস্থাও ক্রমেই দুর্বল হয়েছে।এছাড়া প্রচলিত ব্যাংকিংয়ের পাশাপাশি এখন ডিজিটাল ব্যাংকিং বা অনলাইন ব্যাংকিং একটি বড় স্থান দখল করেছে। দেশি ব্যাংক ব্যবস্থা আন্তর্জাতিক ব্যাংক ব্যবস্থার সঙ্গে আরও বেশি সম্পৃক্ত হয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে ব্যাংক খাতের দুর্বলতা শনাক্ত করে সেগুলো সমাধান, সময়ের চাহিদা অনুযায়ী ব্যাংকিং সেবাকে সময়োপযোগী করতে ‘ব্যাংক সংস্কার কমিশন’ গঠনের দাবি জোরালো হয় দীর্ঘদিন ধরেই। এমনকি পদত্যাগী সরকারের দুই অর্থমন্ত্রীও কমিশন গঠনের কথা বলেছিলেন। জাতীয় বাজেট ঘোষণার সময় বাজেট বক্তৃতায়ও কমিশন গঠনের কথা বলেছিলেন। তারপরও গঠিত হয়নি কমিশন।

জানা গেছে, ব্যাংক খাত সংস্কারের জন্য কমিশন হলে এ খাতের অনিয়ম, দুর্নীতি ও দুর্বলতার চিত্র প্রকাশ্যে চলে আসত। এতে সরকারকে ব্যাপক সমালোচনার পাশাপাশি দুর্নামের মুখে পড়তে হতো। ওইসব গোপন করতেই ব্যাংক সংস্কার কমিশন গঠন হয়নি। বরং নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রেখে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমে সীমিত ও সহনীয় সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হলেও সুশাসনের অভাবে সেগুলোও আলোর মুখ দেখেনি।

২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহারে আর্থিক খাতে সংস্কারের অঙ্গীকার করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিদায়ি গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার নির্বাচনের আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন নির্বাচনের পর ব্যাংকে অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেবেন। এর আলোকে গত ৫ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় ব্যাংক, ব্যাংক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও খেলাপি ঋণ কমাতে রোডম্যাপ ঘোষণা করে। এতে ব্যাংক খাতে অনিয়ম, দুর্নীতি ও জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণ বিতরণ শূন্যে নামিয়ে আনার ঘোষণা দেয়। একই সঙ্গে খেলাপি ঋণ ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে ৮ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। এ লক্ষ্য অর্জনে ব্যাংকের পর্ষদ গঠন ও এমডি নিয়োগে এবং তাদের কাজের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে বিধি কঠোর করেছে। কিন্তু খেলাপি ঋণের প্রকৃত তথ্য আড়াল করেও তা কমানো যায়নি। বরং আরও বেড়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ব্যাংক খাতে সুশাসনের যে বড় ঘাটতি দেখা দিয়েছে এবং যেসব জালিয়াতি ঘটেছে তার সঙ্গে পদত্যাগী সরকারের ঘনিষ্ঠ লোকজনই জড়িত। এর মধ্যে ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার বেসরকারি খাতবিষয়ক উপদেষ্টা ও বেক্সিমকো গ্রুপের কর্ণধার সালমান এফ রহমান, এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলমসহ আরও অনেকে। অনিয়মের মাধ্যমে বেক্সিমকো গ্রুপ ৩০ হাজার কোটি, এস আলম গ্রুপ নিয়েছে ৫৫ হাজার কোটি, এ্যানন টেক্স ৬ হাজার কোটি, ক্রিসেন্ট লেদার ৫ হাজার কোটি, হলমার্ক ৪ হাজার কোটি, বেসিক ব্যাংক থেকে ৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছে। সিপিডির গবেষণায় গত ১৫ বছরে ২৪টি জালিয়াতির ঘটনায় ৯২ হাজার কোটি টাকার জালিয়াতি হয়েছে। এমন আরও অনেক জালিয়াতির ঘটনা রয়েছে। এসব আড়াল করতে বিদায়ি সরকার ব্যাংক সংস্কার কমিশন গঠন করেনি।

সূত্র জানায়, বর্তমান সরকারের পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের নেতৃত্বে ১৯৯৯ সালে সর্বশেষ ব্যাংক সংস্কার কমিটি গঠিত হয়েছিল। এ কমিটি ওই বছরের ডিসেম্বরে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে ব্যাংক খাতের সংস্কারের জন্য ছোট-বড় ও খুঁটিনাটি সবই ছিল। সুপারিশের কিছু কিছু কেন্দ্রীয় ব্যাংক সার্কুলার দিয়ে বাস্তবায়ন করেছিল। সেগুলো ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধনের সময় আর অন্তর্ভুক্ত করেনি। ফলে সেগুলো আর কার্যকর নেই। যেসব সুপারিশ বাস্তবায়িত হয়নি সেগুলোও পরে কার্যকরের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে কমিটির প্রতিবেদনটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের লাইব্রেরি ও সংশ্লিষ্ট বিভাগে পড়ে রয়েছে। এরপর থেকে ২৫ বছর ধরে ব্যাংক খাত সংস্কারে কোনো কমিশন বা কমিটি হয়নি।

সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ সরকারের প্রথম মেয়াদে ২০১২ সালে হলমার্ক কেলেঙ্কারির ঘটনা প্রকাশিত হলে ব্যাংক খাতে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়। এরপর আরও বড় ধরনের জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। হলমার্কের ঘটনার পরই দেশে প্রথম আবার ব্যাংক সংস্কার কমিশন গঠনের দাবি ওঠে। এরপর ব্যাংকিং খাতে একে একে বড় বড় দুর্নীতির চিত্র প্রকাশিত হতে থাকলে এ দাবি আরও জোরালো হয়। ওই সময় থেকে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি), ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি), সুশাসনের জন্য নাগরিকসহ (সুজন) বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদরা বিভিন্ন আলোচনায় ব্যাংক সংস্কারে কমিশন গঠনের সুপারিশ করেন।

২০১৪-১৫ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণার সময় তৎকালীন অর্থমন্ত্রী প্রয়াত এমএ মুহিত ব্যাংক কমিশন গঠনের কথা বলেছিলেন। এরপর তিনি ২০১৭ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি সোনালী ব্যাংকের বার্ষিক সম্মেলনে ব্যাংকিং কমিশন গঠনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। এছাড়া তিনি আরও একাধিকার এ কমিশন গঠনের কথা বললেও তা করতে পারেননি। ২০১৯ সালের জুনে বাজেট ঘোষণার সময় সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালও বাজেট বক্তৃতায় ব্যাংক সংস্কার কমিশন গঠনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনিও করতে পারেননি। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে সিপিডির এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশের সময় ব্যাংক সংস্কার কমিশন গঠনের প্রস্তাব করা হয়। এর আগে ২০১৬ সালের ২১ এপ্রিল সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) ও ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে টিআইবি এক অনুষ্ঠানে স্বাধীন ব্যাংকিং কমিশন গঠনের দাবি করে।

২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) ব্যাংক খাতের অনিয়ম, দুর্নীতি বন্ধে ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় ব্যাংকিং কমিশন গঠনের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন। এতে ব্যাংকের অর্থ আত্মসাৎ, ঋণে অনিয়ম, সুদ মওকুফ বিষয়ে তদন্ত এবং তা বন্ধের সুপারিশ প্রণয়নে কমিশনের সুপারিশ নেওয়ার কথা বলা হয়। একই সঙ্গে অর্থ পাচারের বিষয়েও তদন্ত করতে আবেদন করা হয় রিটে। সংগঠনটি তখন ব্যাংক খাতে আগের ২০ বছরের বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের তথ্য তুলে ধরে। সেই রিটের শুনানি শেষে ২০১৯ সালের নভেম্বরে হাইকোর্ট সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে বাংলাদেশ বাংককে নয় সদস্যের কমিটি গঠনের আদেশ দেন। এর ভিত্তিতে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ব্যাংকিং খাত সংস্কারে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানান। ওই সময়ে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত চিঠি কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পাঠানো হয়। এতে ব্যাংকিং খাতের অনিয়ম ও দুর্বলতা শনাক্ত করে সেগুলো প্রতিকারের বিষয়ে মতামত ও সুপারিশ করতে ব্যাংকিং খাতবিষয়ক কমিটি গঠনের কথা বলা হয়। এ চিঠি পাওয়ার পর কেন্দ্রীয় ব্যাংক আলোচ্য কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেয়। এর অংশ হিসাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস), বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টে (বিআইবিএম) চিঠি দেওয়া হয়। এর বাইরে আরও কয়েকজন সাবেক কেন্দ্রীয় ব্যাংকার ও বাণিজ্যিক ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের কাছে চিঠি দিয়ে মতামত চাওয়া হয়েছিল। তাদের মত পাওয়ার পর পর্যালোচনা করে কমিটি গঠনের প্রক্রিয়াটি চূড়ান্ত করার উদ্যোগ নিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।কিন্তু ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে নতুন করে হাইকোর্টে একটি রিট করা হয়। এতে বলা হয়, ব্যাংকিং খাতে অনিয়ম, দুর্নীতি প্রতিরোধ ও সংস্কারের লক্ষ্যে কমিটি গঠিত হলে প্রকৃতপক্ষে কাজ হবে না। এ খাত সংস্কার ও আইনি কাঠামো শক্তিশালী করতে স্থায়ী কমিশন গঠন করা দরকার। এ কমিশন সময় ও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় মতামত ও সুপারিশ করবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সেগুলো আমলে নিয়ে ব্যাংকিং খাত সংস্কার করবে। ফলে ওই কমিটি গঠনের কার্যক্রম থেমে যায়। ফলে গত ১৩ বছরেও কমিশন তো দূরের কথা কমিটিও গঠন করা সম্ভব হয়নি।

Top