মুদ্রানীতিতে খুব বেশি পরিবর্তন আসছে না - Alokitobarta
আজ : শুক্রবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মুদ্রানীতিতে খুব বেশি পরিবর্তন আসছে না


মোহাম্মাদ আবুবকর সিদ্দীক ভুঁইয়া :মুদ্রানীতিতে খুব বেশি পরিবর্তন আসছে না।আগের মতোই সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি দেওয়া হতে পারে। তবে নীতি সুদহার বাড়বে। এতে ব্যাংক খাতে সুদহার আরও বেড়ে যেতে পারে। চাপে পড়বেন উদ্যোক্তারা।তবে কর্মসংস্থান কমে যাওয়ার ধাক্কা সামাল দিতে এসএমই খাতকে শক্তিশালী করার কৌশল থাকছে এবারের মুদ্রানীতিতে। সব ঠিক থাকলে নতুন মুদ্রানীতির খসড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের মঙ্গলবারের বোর্ড মিটিংয়ে অনুমোদন হতে পারে। রোববার বিকালে এ সংক্রান্ত এক বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বৈঠকে গভর্নর ছাড়াও ডেপুটি গভর্নর ও খাত সংশ্লিষ্টরা অংশ নেন।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, এবারের মুদ্রানীতিতে খেলাপি ঋণ আদায়ের বিষয়ে জোর দেওয়া হবে। এছাড়া মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে পথনির্দেশনা আসছে। কারণ গত মুদ্রানীতিতেও একই ঘোষণা দিয়েছিলেন গভর্নর। ইতোমধ্যে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনোটাই এখনো ঠিকমতো কাজ করছে না। কবে নাগাদ কাজ শুরু করবে তাও বলা যাচ্ছে না। তাই নীতি সুদ হার বৃদ্ধি, ক্রলিং পেগে অটল এবং খেলাপি ঋণ কমানোর মতো পূর্বনির্ধারিত সিদ্ধান্তই আবারও আসছে নতুন অর্থবছরের প্রথম ধাপের মুদ্রানীতিতে।কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, সংকোচনমূলক মুদ্রানীতির কারণে গত বছর দেশে কর্মসংস্থান কমেছে। এর প্রধান কারণ বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা ঠিকমতো ঋণ পাননি। এমন পরিস্থিতিতে দেশের কর্মসংস্থান ঠিক রেখেই সংকোচনের পথে হাঁটছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এজন্য এবারের মুদ্রানীতিতে এসএমই খাতকে শক্তিশালী করার পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এতে মূল্যস্ফীতিতে লাগাম টানার পাশাপাশি কর্মসংস্থানও বাড়তে পারে।সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, মার্কিন ডলারের পাশাপাশি স্থানীয় টাকার সংকট, বৈদেশিক লেনদেনে ভারসাম্যহীনতা এবং সুশাসনের অভাবে খেলাপি ঋণ বৃদ্ধির সঙ্গে নিয়ন্ত্রণহীন ব্যাংক খাত মোটাদাগে এই সবই হচ্ছে এখন দেশের আর্থিক খাতে প্রধান সমস্যা। এসব চ্যালেঞ্জ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা থাকতে হবে মুদ্রানীতিতে।সূত্র জানায়, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নতুন করে পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ কম। ব্যাংক ঋণের সুদহার এরই মধ্যে ৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ১৫ শতাংশ ছাড়িয়েছে। এরপরও নীতি সুদের হার বাড়িয়ে টাকাকে আরও দামি করে তোলা হতে পারে। এতে ঋণের সুদের হার আরও বাড়বে।

Top