মতিউর ও তার পরিবার যদি আদালতের আদেশ অমান্য করেন যে সাজা হতে - Alokitobarta
আজ : শুক্রবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মতিউর ও তার পরিবার যদি আদালতের আদেশ অমান্য করেন যে সাজা হতে


মোহাম্মাদ আরিফ হোসেন :জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যের নামে থাকা ৩৪.০২ একর জমি ও আটটি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া ১১৬টি পৃথক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে থাকা ১৩ কোটি ৪৪ লাখ ৩৬ হাজার ৪৭১ টাকা ও শেয়ারবাজারে থাকা ২৩টি বিও অ্যাকাউন্ট অবরুদ্ধের আদেশ দেওয়া হয়েছে। আদালত মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ১৪ ধারা এবং দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিধিমালা-২০০৭ এর বিধি ১৮ অনুযায়ী স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক (অ্যাটাচ) এবং অস্থাবর সম্পত্তি অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করার নির্দেশ দেন।আদালত আদেশ দেওয়ায় এখন সম্পত্তিগুলো যে অবস্থায় আছে সে অবস্থায় থাকবে। প্রয়োজন মনে করলে দুদক রিসিভার নিয়োগ করতে পারবে। তবে আদালতের আদেশ অমান্য করে মতিউর রহমান বা তার পরিবার সম্পত্তিগুলো যদি বিক্রি বা ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা উত্তোলন করেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং আইনে মামলা করার বিধান রাখা হয়েছে। এ আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি তিন বছরের কারাদণ্ড। এছাড়া দুদক আইনেও তাদের বিরুদ্ধে মামলা হতে পারে। ওই আইনেও সাজা সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ড।

গত ৪ জুলাই প্রথম ও ১১ জুলাই দ্বিতীয় দফায় দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত মতিউর ও তার পরিবারের সম্পত্তিগুলো জব্দ ও ব্যাংক হিসাবগুলো অবরুদ্ধের আদেশ দেন।আবেদনে দুদকের উপ-পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন উল্লেখ করেন, মতিউর রহমানের সম্পত্তির অনুসন্ধানকালে জানা যাচ্ছে, তিনি ও তার পরিবারের সদস্যদের মালিকানাধীন স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন। যেটি করতে পারলে অত্র অনুসন্ধানের ধারাবাহিকতায় মামলা দায়ের ও বিচার শেষে সাজার অংশ হিসেবে অবৈধভাবে অর্জিত সম্পত্তি সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্তকরণসহ সব উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হবে। তাই সুষ্ঠু অনুসন্ধান ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের স্থাবর সম্পত্তিসমূহ ক্রোক (জব্দ) করা একান্ত প্রয়োজন।

দ্বিতীয় দফায় জব্দ হওয়া স্থাবর সম্পত্তি
দ্বিতীয় দফায় জব্দের আদেশ দেওয়া স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে ২ হাজার ৩৬৭ শতক বা ২৩.৬৭ একর জমি এবং রাজধানীর মিরপুরে থাকা চারটি ফ্ল্যাট। এসব জমি ঢাকার সাভার, ময়মনসিংহ, গাজীপুর, নরসিংদী ও নাটোরের বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে বলে নথি থেকে জানা গেছে।

কার নামে কত জমি
জব্দ হওয়া জমির মধ্যে সবচেয়ে বেশি রয়েছে মতিউরের ভাই এম এ কাইউম হাওলাদারের নামে। মেসার্স গ্লোবাল সুজ লিমিটেডের পক্ষে তার নামে রয়েছে ৮৯২ শতাংশ জমি। এছাড়া মতিউর-লায়লা দম্পত্তির ছেলে আহমেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণবের নামে রয়েছে ৫১৫.৮৩ শতাংশ (৫.১৬ একর) জমি। এ দম্পতির মেয়ে ফারজানা রহমান ইপ্সিতার নামে পাওয়া গেছে ১৮৮.৪৯ শতাংশ জমি। মতিউরের আপন ভুবন শুটিং স্পটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনোয়ার হোসেনের নামে রয়েছে ১৬৬.৭২ শতাংশ জমি।এছাড়া মতিউরের নামে থাকা ১৫২ ও স্ত্রী লায়লা কানিজের নামে থাকা ২৩৯.১৩ শতাংশ জমি রয়েছে জব্দের তালিকায়। এদিকে মতিউর-লায়লার নামে যৌথভাবে থাকা ৪৮.১৬ শতাংশ এবং মতিউর-লায়লা-অর্ণবের নামে যৌথভাবে থাকা আরও ৪৫.১৬ শতাংশ জমিও রয়েছে জব্দের আদেশ হওয়া স্থাবর সম্পত্তির তালিকায়।

কোথায় কত জমি
মতিউর ও তার পরিবারের সদস্য এবং তাদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে ঢাকার সাভারে ২৬.৬১ শতাংশ, ময়মনসিংহের ভালুকায় ১ হাজার ৬২ শতাংশ, গাজীপুরে ৮৭৫.৯৫ শতাংশ, নরসিংদীর শিবপুরে ২৩৬ শতাংশ এবং নাটোরের সিংড়ায় ১৬৬ শতাংশ জমি রয়েছে।

গাজীপুরে শুটিং স্পট ও ভালুকায় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান
জব্দ আবেদনের নথি সূত্রে জানা যায়, মতিউর ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে গাজীপুরে রয়েছে একটি শুটিং স্পট। আপন ভুবন নামের এ শুটিং স্পটটি ৬৩৬.৩৬ শতাংশ বা ৬.৩৬ একর জমির ওপর অবস্থিত। এসব জমির মধ্যে ১৫২ শতাংশ জমি খোদ শুটিং স্পটের নামে দলিল করা। শুটিং স্পটের বাকি ৪৮৪.৩৬ শতাংশ জমি মতিউর পরিবারের সদস্যের নামে।এছাড়া ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ী মৌজায় রয়েছে মেসার্স গ্লোবাল সুজ লিমিটেড নামক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। এ কোম্পানির নামে রয়েছে ৬৬ শতাংশ জমি এবং কোম্পানির পক্ষে মতিউরের ভাই এমএ কাইউম হাওলাদারের নামে রয়েছে ৮৯২ শতাংশ বা ৮.৯২ একর জমি।

জব্দ হয়েছে ৪ ফ্ল্যাট
রাজধানীর মিরপুরের মাজার রোডে শেলটেক বিথীকা টাওয়ারে মতিউরের স্ত্রী লায়লা কানিজের নামে থাকা চারটি ফ্ল্যাট ও গাড়ি পার্কিং স্পেস রয়েছে জব্দের খাতায়। এ চারটি ফ্ল্যাটের প্রতিটির আয়তন ১৮১২ বর্গফুট। এ ফ্ল্যাটগুলো ২০২০ সালের ২৯ ডিসেম্বর কেনা হয়।

অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করা অস্থাবর সম্পদ
অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করা অস্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে- ১১৬টি পৃথক অ্যাকাউন্টে থাকা ১৩ কোটি ৪৪ লাখ ৩৬ হাজার ৪৭১ টাকা এবং শেয়ারবাজারে থাকা ২৩টি বিও অ্যাকাউন্ট। এসব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট মতিউর, তার পরিবারের সদস্য, আত্মীয় ও ব্যবসায়িক অংশীদারদের নামে খোলা হয়েছিল।বিশেষ প্রতিবেদন, দুদক, আদালত, দুর্নীতি, দুর্নীতি মামলা, এনবিআরসম্পত্তি জব্দ-অবরুদ্ধ, আইন অমান্য করলে যে সাজা হতে পারে মতিউর পরিবারের

২৩টি ব্যাংকে তাদের নামে ছিল ১১৩টি অ্যাকাউন্ট। এরমধ্যে সোনালী ব্যাংকে ৬টি, এনআরবিসি ব্যাংকে ২টি, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকে ১২টি, জনতা ব্যাংকে ১টি, ব্র্যাক ব্যাংকে ৬টি, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড (এসসিবি) ব্যাংকে ২টি, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে ১টি, মার্কেন্টাইল ব্যাংকে ২টি, আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে ৬টি, কমিউনিটি ব্যাংকে ১টি, ডাচ বাংলা ব্যাংকে ২টি, সাউথইস্ট ব্যাংকে ১টি, মিডল্যান্ড ব্যাংকে ১টি, ইউসিবি ব্যাংকে ১টি, ফাস্ট সিকিউরিটি ব্যাংকে ১৫টি, ওয়ান ব্যাংকে ৩৯টি, ইউনিয়ন ব্যাংকে ২টি, এসবিএসি ব্যাংকে ১টি, এক্সিম ব্যাংকে ১টি, অগ্রণী ব্যাংকে ৪টি, মধুমতি ব্যাংকে ২টি, ঢাকা ব্যাংকে ৪টি ও স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকে রয়েছে ১টি অ্যাকাউন্ট। এ ছাড়া মুঠোফোনে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান (এমএফএস) বিকাশে ৩টি অ্যাকাউন্ট আছে।

এছাড়া শেয়ারবাজারে থাকা ১২টি প্রতিষ্ঠানে ২৩টি বিও অ্যাকাউন্টের সন্ধান পেয়েছে দুদক। এরমধ্যে রয়েছে- আইল্যান্ড সিকিউরিটিজ লিমিটেডে ৪টি, রুপালী ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেডে ১টি, শাহজালাল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডে ২টি, আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডে ২টি, ইমতিয়াজ হোসাইন সিকিউরিটিজ লিমিটেডে ৪টি, শান্তা সিকিউরিটিজ লিমিটেডে ৩টি, বাংলাদেশ ফাইন্যান্স সিকিউরিটিজ লিমিটেডে ২টি, ইবিএল সিকুরিটিজ লিমিটেডে ১টি, সিটি ব্রোকারেজ লিমিটেডে ১টি, লঙ্কাবাংলা সিকিউরিটিজ লিমিটেডে ১টি, এআইবিএল ক্যাপিটাল মার্কেট সার্ভিস লিমিটেডে ১টি এবং সোনালী সিকিউরিটিজ লিমিটেডে ১টি অ্যাকাউন্ট।প্রথম দফায় জব্দের আদেশ দেওয়া সম্পত্তিগুলোর মধ্যে ছিল- বরিশালের মুলাদী উপজেলায় মতিউরের নামে থাকা ১১৪ শতাংশ জমি। তার প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজের নামে থাকা নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মরজাল ইউনিয়নের ৫২২.৫২ শতাংশ জমি ও মতিউরের ছেলে আহম্মেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণবের নামে থাকা ২৭৫.৮৫ শতাংশ জমি।এছাড়া সেদিন জব্দের আদেশ দেয়া সম্পত্তির মধ্যে আরও রয়েছে- নরসিংদীর রায়পুরায় মতিউর-লায়লা দম্পতির মেয়ে ফারজানা রহমান ইন্সিতার ১০৬.৫৬ শতাংশ জমি ও ঢাকার বসুন্ধরায় ৫ কাঠা জমির ওপর বহুতল ভবন। মতিউরের দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী আখতারের নামে বসুন্ধরায় ৫ কাঠা জমি। এসব স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে মতিউর ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা মোট জমির পরিমাণ দাঁড়ায় ১০.৩৫ একর বা ১ হাজার ৩৫ শতাংশ।জব্দের মধ্যে ছিল- মতিউরের স্ত্রী লায়লা কানিজের নামে বসুন্ধরার তিনটি ফ্ল্যাট এবং দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী আখতার শিবলীর নামে জিগাতলার একটি ফ্ল্যাট।

জব্দ ও অবরুদ্ধ সম্পত্তি ফেরত পেতে করণীয়
মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ১৫ (১) ধারায় বলা হয়েছে, ১৪ ধারার অধীন আদালত কোনো সম্পত্তি অবরুদ্ধকরণ বা ক্রোক আদেশ প্রদান করলে, অভিযুক্ত ব্যক্তি বা সত্তা ব্যতীত অন্য কোনো ব্যক্তি বা সত্তার উক্ত সম্পত্তিতে কোনো স্বার্থ থাকলে তিনি বা উক্ত সত্তা উহা ফেরত পাওয়ার জন্য অবরুদ্ধকরণ বা ক্রোক আদেশ প্রচারের তারিখ থেকে ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে আদালতে আবেদন করতে পারবেন।
ক্রোক বা অবরুদ্ধ হওয়া সম্পত্তিগুলো ফেরত পেতে হলে আদালতে আবেদন করতে হবে মতিউর ও তার পরিবারকে। আদালতের আদেশ ছাড়া সম্পত্তি বিক্রি বা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উত্তোলন করলে তাদের সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

আদালত শুনানির সুযোগ দেবেন
মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ১৫ (৩) ধারায় বলা হয়েছে, ১৪ এর উপ-ধারা (৫) এ যা কিছুই থাকুক না কেন, এই ধারার অধীন সম্পত্তি ফেরত পাওয়ার জন্য আদালত কোনো আবেদনপ্রাপ্ত হলে আবেদনকারী, তদন্তকারী সংস্থা ও অভিযুক্ত ব্যক্তি বা সত্তাকে শুনানির সুযোগ প্রদান করবেন এবং শুনানি অন্তে, প্রয়োজনীয় কাগজাদি পর্যালোচনাক্রমে ও রাষ্ট্র কর্তৃক বর্ণিত সম্পত্তিতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মানিলন্ডারিং বা সম্পৃক্ত অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ততার গ্রহণযোগ্য সন্দেহের কোনো কারণ উপস্থাপন না করলে, উপ-ধারা (১) এর অধীন দাখিলকৃত আবেদনকারীর আবেদন সম্পর্কে আদালত সন্তুষ্ট হলে অবরুদ্ধকরণ বা ক্রোক আদেশ বাতিলক্রমে সম্পত্তিটি, আদেশে উল্লিখিত নির্ধারিত সময়ের মধ্যে, আবেদনকারীর অনুকূলে হস্তান্তরের আদেশ প্রদান করবেন।

সম্পত্তির অবরুদ্ধকরণ বা ক্রোক আদেশের বিরুদ্ধে আপিল
মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ১৬ (১) ধারায় বলা হয়েছে, এই আইনের অধীন আদালত কোনো সম্পত্তির অবরুদ্ধকরণ বা ক্রোক আদেশ প্রদান করলে উক্তরূপ আদেশের বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি বা সত্তা ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে হাইকোর্ট বিভাগে আপিল করতে পারিবেন।

উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো আপিল দায়ের করা হলে আপিল আদালত পক্ষবৃন্দকে, শুনানির জন্য যুক্তিসঙ্গত সময় দিয়ে, শুনানি অন্তে যেইরূপ উপযুক্ত মনে করবে সেইরূপ আদেশ প্রদান করতে পারবেন।ধারা ১৪ এর অধীন কোনো সম্পত্তির বিষয়ে আদালত কর্তৃক প্রদত্ত অবরুদ্ধকরণ বা ক্রোক আদেশের বিরুদ্ধে কোনো সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি বা সত্তা আপিল করলে এবং আপিল আদালত কর্তৃক ভিন্নরূপ কোনো আদেশ প্রদান করা না হলে আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উক্তরূপ অবরুদ্ধকরণ বা ক্রোক আদেশ কার্যকর থাকবে।

অবরুদ্ধকরণ বা ক্রোক আদেশ লঙ্ঘনের দণ্ড
মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৫ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি এই আইনের অধীন কোনো অবরুদ্ধকরণ বা ক্রোক আদেশ লঙ্ঘন করলে তিনি অনধিক ৩ (তিন) বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা অবরুদ্ধকৃত বা ক্রোক আদেশকৃত সম্পত্তির মূল্যের সমপরিমাণ অর্থ দণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।এ বিষয়ে দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বলেন, মতিউর ও তার পরিবারের দুই দফায় স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক এবং আস্থাবর সম্পত্তি অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মতিউর ও তার পরিবার যদি আদালতের আদেশ অমান্য করেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডালিং আইনে মামলার বিধান রয়েছে। এই আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি তিন বছরের কারাদণ্ড। এছাড়া দুদক আইনেও তাদের বিরুদ্ধে মামলা হতে পারে। এই আইনেও সর্বোচ্চ শাস্তি তিন বছরের কারাদণ্ড। আদালতের আদেশ অমান্য করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Top