খাল দখলমুক্ত করতে এটা আমাদের নিয়মিত অভিযানের অংশ - Alokitobarta
আজ : শুক্রবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খাল দখলমুক্ত করতে এটা আমাদের নিয়মিত অভিযানের অংশ


মোহাম্মাদ মুরাদ হোসেন:বর্তমান সময়ে দেশের সবচেয়ে সমালোচিত খালের জায়গা দখল করে গড়ে তোলা সাদেক এগ্রোর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। এসময় সাদেক এগ্রোর আশপাশে রামচন্দ্রপুর খালের জায়গা ভরাট করে গড়ে ওঠা রিকশা গ্যারেজও উচ্ছেদ করা হয়।বৃহস্পতিবার দুপুরে উত্তর সিটি কর্পোরেশন অঞ্চল-৫ এর নির্বাহী কর্মকর্তা মোতাকাব্বীর আহমেদ ও মাহবুব আলম এর নেতৃত্বে এ উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়।অভিযানের বিষয়ে মোতাকাব্বীর আহমেদ বলেন, রামচন্দ্রপুর খালের দুই ধারে যারা অবৈধ দখলদার ছিলো তাদের বিরুদ্ধে আমাদের এ অভিযান। খালের জায়গা পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সিটি করপোরেশন থেকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর আগেও এখান থেকে উত্তর সিটির মেয়র ট্রাক স্ট্যান্ড সরিয়েছেন এবং বহুতল ভবন ভেঙ্গেছেন। খাল দখলমুক্ত করতে এটা আমাদের নিয়মিত অভিযানের অংশ।

তিনি আরও বলেন, আজকের অভিযানে দেখেছেন রামচন্দ্রপুর খালের তীর দখল করে স্থাপনা করা হয়েছে। সেই স্থাপনা দখল উচ্ছেদ করা হয়েছে। কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়, সবাইকে আইন মেনে ব্যবসা করতে হবে। কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান নয়। আমাদের অভিযান অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে। সাদেক এগ্রোর মালিককে ঈদের আগেও আমরা নোটিশ দিয়েছি। অবৈধ স্থাপনা থাকলে সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। আমরা ঈদের আগে উচ্ছেদ অভিযান চালাই নি। কারণ এর ফলে বাজারে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হতো। আমরা এমনটা চাই নি বলে উচ্ছেদে যাই নি। সেই নোটিশেরও এগ্রো ফার্মের মালিক কোনো তোয়াক্কা করেননি।

এছাড়াও, খালের ৩০ ফিটের ভেতরে কোনো স্থাপনা থাকতে পারবে না এই নীতিমালা রয়েছে। জমির মালিক কাগজ দেখিয়েছেন ৪ শতাংশের কিন্তু দখল করেছেন এক বিঘা। আর আমরা উচ্ছেদ করেছি অবৈধ স্থাপনা জমির মালিককে না। খালের ভেতরের যে অংশ আছে সেটা আমরা উচ্ছেদ করেছি।উত্তর সিটি করপোরেশনের এই কর্মকর্তা বলেন, অভিযানে একজন জমির মালিক এসেছিলো। সাদেক এগ্রোর মালিক বা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে কেউ আসে নি। আর সাদেক এগ্রোকে গত ১৮ জুন নোটিশ করা হয়েছে যেন খালে বর্জ্য না ফেলে। কিন্তু তারা কোনো সহযোগিতা করেনি। আমরা খালের অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করছি। এরপর আমরা পরবর্তীতে আমরা খাল পরিস্কার অভিযান চালাব।

Top