কোটা নিয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সমঝোতায় আসা উচিত
মোহাম্মাদ রফিকুল ইসলাম :সরকারি চাকরিতে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সমঝোতা করার প্রস্তাব দিয়েছেন সরকার দলীয় সংসদ সদস্য (এমপি) মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম। তবে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরির নিয়োগে কোটা প্রথা বহাল রাখতে উচ্চ আদালতের রায়কে ধন্যবাদ জানান সরকার দলীয় আরেক সংসদ সদস্য শাজাহান খান।বৃহস্পতিবার (২০ জুন) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।এসময় ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা যুদ্ধ করেছিলাম এ প্রজন্মকে একটি সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার জন্য।
তারা কেন আন্দোলন করছে, সেই ভাষা আমাদের বুঝতে হবে। সেটা অনুধাবন করে আমাদের সমঝোতার মাধ্যমে মিটমাট করতে হবে।যাতে এ আন্দোলনটা জনগণকে আমাদের পক্ষ থেকে সরিয়ে নিয়ে না যায়। কারণ এ প্রজন্মের কাছে একদিন আমরা ক্ষমতা হস্তান্তর করব।তিনি বলেন, এ ঘাটতি বাজেট পূরণে ঋণ নিতে না পারলে উন্নয়ন কাজ বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু আমরা সেটা হতে দেব না। অতীতেও আমরা ঘাটতি বাজেট নিয়ে আলোচনা করেছি। কাজের গুণগত মান নিয়ে অনেক প্রশ্ন আছে। উন্নয়ন সঠিকভাবে না হলে তা ধরে রাখতে পারব না। এখানে অনেক অভিযোগ আছে। যারা ঠিকাদার আছেন, তাদের কাজের মান অত্যন্ত খারাপ। গ্রামাঞ্চলে মানুষ দেখে, ঠিকাদাররা কাজ নিয়ে দুই-তিন বছর ফেলে রাখে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণের কাজ এত নিম্নমানের যে এক বছর যেতে না যেতে পলেস্তারা খুলে পড়ে, সেখানে রড দেখা যায়। আমাদের শিক্ষার্থীরা এসব দেখে আমাদের নিয়ে কি ভাববে? আমরা সংসদ সদস্যরা জনগণের প্রতিনিধি হয়ে আসছি। কিন্তু আমাদের সন্তানেরা দেখছে, ঠিকাদারদের কাজের মান খারাপ, কিন্তু আমরা সেটা বন্ধ করতে পারছি না।
সরকারের যে সম্পদ আছে, তার ৩০-৪০ ভাগ অপচয় হয় বলেও উল্লেখ করেন রফিকুল ইসলাম। ঠিকাদারদের অবহেলার কারণে এ সমস্যা হচ্ছে। ১৯৭১ সালে সাড়ে সাত কোটি মানুষের ৪০ ভাগ দারিদ্র্যসীমার নিচে ছিল। সেটা হলো তিন কোটির মত মানুষ। আজ ১৭ কোটি মানুষের ২০ ভাগ, সংখ্যায় কিন্তু সমান দাঁড়াচ্ছে। ওই তিন কোটি মানুষই দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে। এ মানুষগুলো দুই বেলা খেয়ে না খেয়ে কোনো মতে বাঁচছে। তাও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় এনে তাদের দুই বেলা খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ২০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৩০ হাজার টাকা করার প্রস্তাব দেন আওয়ামী লীগের আরেক সংসদ সদস্য শাজাহান খান। এ মুক্তিযোদ্ধা বলেন, ‘চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ছিল, তা বহাল রাখার রায় দিয়েছে হাইকোর্ট। এ জন্য হাইকোর্টকে ধন্যবাদ জানাই।’ তা পুনরায় চালুর জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানান তিনি।ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের ভাতা ১০ হাজার ও সদস্যদের ভাতা ৮ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করেন আওয়ামী লীগের এমপি শাজাহান খান।