জামায়াতের রাজনীতি সাংগঠনিক কাঠামো তা অত্যন্ত বিজ্ঞানসম্মত
মু.এবি সিদ্দীক ভুঁইয়া :বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং সরকারের পাশাপাশি জামায়াতের রাজনীতি নিয়েও কথা বলেন তিনি।রোববার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমি জামায়াতের রাজনীতি সমর্থন করি না। কিন্তু তাদের যে সাংগঠনিক কাঠামো তা অত্যন্ত বিজ্ঞানসম্মত। নিজেরা নিজেরা পড়ালেখা করে ও পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। সেজন্যই বলি রাজনীতির জায়গায় রাজনীতি থাকুক। আপনারা গবেষণা করুন। থিংক ট্যাংক হিসেবে কাজ করুন।তিনি আরও বলেন, তাদের ছাত্রশিবিরের স্টাডি সেল আছে। তাদের প্রত্যেককে লেখাপড়া করতে হয়। নিজেরা বই-পত্রিকা প্রকাশ করে। জ্ঞানের চর্চা ছাড়া সফল হতে পারবেন না।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ)। সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে ও শাহাদাত বার্ষিকী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী মাহবুব আলমের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক ড. নূরুল আমিন বেপারী, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী, সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম কাগজি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফর ভাই, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কামরুল আহসান, অধ্যাপক সামসুল আলম সেলিম, ডা. আবু নাসের প্রমুখ।মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ক্ষমতাসীন সরকার দেশপ্রেমিক নয়, ওরা বর্গী। সেজন্যই দেশের টাকা লুটে বিদেশে নিয়ে যাচ্ছে। ক্ষমতাসীনরা আজ দুর্নীতিতে আকণ্ঠ নিমজ্জিত।তিনি বলেন, জাতি এখন দ্বিধা বিভক্ত। জিয়াউর রহমান তো নিজে রাজনীতিতে আসেননি। তাকে নিয়ে আসা হয়েছিল। ৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তার নেতৃত্ব দেখে ৭৫ সালে সৈনিকেরা তাকে ফের দায়িত্ব দিয়েছিলেন।বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করা হয়েছে। মানুষ আর ভোট দিতে যায় না।