বিআরটিসির নিজস্ব কারখানায় দুইটি বাস তৈরি করেছে
মোহাম্মাদ আবুবকর সিদ্দীক ভুঁইয়া :বিদেশ থেকে আমদানি করা যন্ত্রাংশের (চেসিস) উপর ভিত্তি করে নিজস্ব কারখানায় বাস তৈরি করছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কপোরেশন (বিআরটিসি)। এরই মধ্যে দুটি বাস তৈরির কাজ শেষ করেছে বিআরটিসি। প্রথম ধাপে আরও কয়েকটি বাস তৈরির প্রক্রিয়ায় রয়েছে।শনিবার (১ জুন) রাজধানীর মোহাম্মদপুরে অবস্থিত বাস ডিপোর নবনির্মিত ইয়ার্ড ও প্রধান ফটক উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপচারিতায় এ তথ্য জানান বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম। আরও বলেন, নিজস্ব কারখানায় তৈরি করা দুটি বাস বিমানবন্দরের শাটল রুটে ব্যবহার করা হবে।
[৩] বিদেশ থেকে আসা প্রবাসীদের জন্য তা বিশেষ সুবিধা হিসেবে থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, ৩০-৪০ জন যাত্রী একটি বাসে ভ্রমণ করতে পারবেন। যাত্রীদের লাগেজ রাখার জন্য বাসে সুব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
[৪] প্রথম ধাপে আরও কয়েকটি বাস তৈরির প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
[৫] চেসিস বানানোর সক্ষমতা এখনো আমাদের হয়নি জানিয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, তবে এই চেসিস বাদ দিয়ে পুরোপুরি একটি গাড়ি তৈরির শতভাগ সক্ষমতা বিআরটিসির রয়েছে।
[৬] শনিবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর বাস ডিপোর নবনির্মিত ইয়ার্ড ও প্রধান ফটক উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন তিনি।
[৭] বর্তমানে বিআরটিসির বহরে এক হাজার ৩৫০টি যাত্রীবাহী বাস রয়েছে উল্লেখ করে তাজুল ইসলাম বলেন; সুইডেন, জাপান, চীন, কোরিয়া ও ভারত থেকে এ সব কেনা হয়েছে।
[৮] এখন নতুন করে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে সংকুচিত প্রাকৃতিক গ্যাসে (সিএনজি) চালিত ৩৫০টি এবং ভারত থেকে ১০০টি বিদ্যুৎচালিত বাস কেনার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানিয়েছেন বর্তমানে বিআরটিসিকে লাভেরমুখ দেখানো চেয়ারম্যান।
[৯] ধীরে ধীরে আমাদের বাস আমরাই উৎপাদন করতে চাই বলে প্রত্যাশা করেন তাজুল ইসলাম।
[১০] তাজুল ইসলাম বলেন, ২০১২ সালে বন্ধ হয়ে যাওয়া গাজীপুরের সমন্বিত কেন্দ্রীয় মেরামত কারখানা পুনরায় চালু করা হয়েছে।
[১১] পুরনো মেশিনারিজ পরিবর্তন করে নতুন মেশিনারিজ সরঞ্জামযুক্ত কারখানার সক্ষমতা বহুগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে যোগ করেন তিনি।
[১২] তাছাড়া ঢাকার তেজগাঁওয়ের কেন্দ্রীয় মেরামত কারখানা আধুনিকায়ন করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এসব কারখানার কর্মীদের উন্নত প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে তোলা হয়েছে।