এনএসআই পরিচয়ে ভুয়া নিয়োগের অভিযোগে ছয়জনকে আটক করা হয়েছে - Alokitobarta
আজ : শুক্রবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এনএসআই পরিচয়ে ভুয়া নিয়োগের অভিযোগে ছয়জনকে আটক করা হয়েছে


মো.ইমন হাওলাদার:গাজীপুর মহানগরের টঙ্গীতে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) ভুয়া অফিসের সন্ধান মিলেছে। এই সংস্থায় বিভিন্ন পদে চাকরি দেওয়া, প্রশিক্ষণ ও বদলি করার নামে প্রতারণার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ায় জড়িত থাকার অভিযোগে ছয়জনকে আটক করা হয়েছে।একইসঙ্গে চাকরিরত দুই নারী ভিকটিমকেও উদ্ধার করা হয়েছে।সোমবার (১৩ মে) বিকেলে গাজীপুর মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের দক্ষিণ বিভাগ সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরে।মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (দক্ষিণ) উপকমিশনার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খান জানান, এনএসআইয়ের তথ্যের ভিত্তিতে গাজীপুর মহানগর গোয়েন্দা (দক্ষিণ) বিভাগ এবং এনএসআইয়ের যৌথ অভিযানে গাজীপুর মহানগরের টঙ্গী পশ্চিম থানা এলাকার ভাদাম পশ্চিম পাড়ার শহীদ মিয়ার পাঁচতলা বিল্ডিংয়ের ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে উল্লিখিত ছয় আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এরা হলেন নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ থানার রণচণ্ডি-উত্তর পাড়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে লিয়ন ইসলাম (২৫), একই গ্রামের এবাইদুল হকের ছেলে মোজাহিদুল ইসলাম পায়েল (২৩), একই থানার ঘনচণ্ডি দক্ষিণ পাড়া গ্রামের রিয়াজুল ইসলামের মেয়ে রজিয়া সুলতানা (২২), একই থানার দক্ষিণ সোনাপুরী গ্রামের লিয়ন ইসলামের স্ত্রী রিপা আক্তার (৩৬), রাশিদুল ইসলামের মেয়ে রিখা মনি (১৭) ও লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা থানার দই খাওয়া গ্রামের মৃত আনসার আলীর ছেলে হুমায়ূন কবির প্রিন্স (৩৬)। তারা সবাই গাজীপুর মহানগরের টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন ভাদাম এলাকায় শহীদুল ইসলামের বাড়ির ভাড়াটিয়া।

নাজির আহমেদ খান জানান,প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা স্বীকার করেন, এনএসআইয়ের পরিচয়ে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে নিরীহ মানুষের কাছ থেকে টাকাপয়সা হাতিয়ে নিচ্ছিলেন তারা।

প্রতারকচক্রের সদস্যরা ফেসবকু আইডি ব্যবহার করে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ভিকটিমকে ঘটনাস্থলে নিয়ে আসতেন। এরপর এনএসআইয়ের প্রশিক্ষণ প্রদান এবং নিয়োগপত্র ও ভুয়া আইডি কার্ড দিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় পোস্টিং ও বদলি করতেন। তারা প্রশিক্ষণকালে নিজেদের তৈরি বিধি মোতাবেক পদোন্নতি ও শাস্তিও দিতেন। এমন প্রতারণার শিকার দুই তরুণীকে কথিত অফিসটি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

ওই দুই তরুণী জানান, প্রতারক চক্রের সদস্যরা তাদের চাকরি দেওয়ার জন্য ওই স্থানে পাঁচ-ছয় মাস প্রশিক্ষণ দিচ্ছিলেন। তাদের বিভিন্ন জেলায় পদোন্নতি দিয়ে পোস্টিং দেওয়ার কথা জানান। এজন্য তারা ১৫ থেকে ১৭ লাখ টাকা দিয়েছেন। চাকরিপ্রার্থী একটি গ্রুপকে ভুয়া পোস্টিং অর্ডার দিয়ে সব টাকা হাতিয়ে নেন প্রতারকরা। ঘটনাস্থল থেকে প্রশিক্ষণ মডিউল, বই, প্রশিক্ষণ এয়ার পিস্তল, কম্পিউটার, ল্যাপটপসহ বিভিন্ন সামগ্রী উদ্ধার করা হয়।পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

Top