আমার শক্তি জনগণ, জনগণ যতদিন চাইবে ক্ষমতায় থাকব - Alokitobarta
আজ : শনিবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আমার শক্তি জনগণ, জনগণ যতদিন চাইবে ক্ষমতায় থাকব


মোহাম্মাদ আবুবকর সিদ্দীক ভুঁইয়া : আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাম ৯০ ডিগ্রি ঘুরে গেছে। বিশেষ করে যারা অতি বাম, সব সময় মনে করি-তারা প্রোগ্রেসিভ দল, তারা খুবই গণমুখী দল ইত্যাদি। সেখানে আমার প্রশ্ন হচ্ছে, ঠিক আছে তারা আমাকে উৎখাত করবে, তাহলে পরবর্তী সময়ে কে আসবে? সেটা কি ঠিক করতে পেরেছে? সেটাই আমার প্রশ্ন।প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমার শক্তি জনগণ। জনগণ যতদিন চাইবে ক্ষমতায় থাকব। মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। এজন্য যত চক্রান্ত আর বাধা আসুক, আমরা বিজয় নিয়ে আসি। এখানে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটছে। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে থাইল্যান্ড সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে প্রথমে প্রধানমন্ত্রী লিখিত বক্তব্যে থাইল্যান্ড সফরের বিস্তারিত তুলে ধরেন। পরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের অংশগ্রহণ, ১৪ দলীয় জোটের অবস্থা, আওয়ামী লীগের হীরকজয়ন্তী উদ্যাপন, যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার নিয়ে দেওয়া প্রতিবেদন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, সরকারবিরোধী নানা ষড়যন্ত্র, যানজট কমাতে গৃহীত পরিকল্পনা, রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে ঘণ্টাব্যাপী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন শেখ হাসিনা।

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর দুই পাশে ছিলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগ ও শিল্পবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।এছাড়া সিনিয়র সাংবাদিক, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার এম নজরুল ইসলাম অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।

আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে মঙ্গলবার শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘অতি ডান, অতি বাম এক হয়ে সরকার উৎখাত করতে চায়।’ তার এমন মন্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে করা এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, কারা আসবে, কে আসবে ক্ষমতায়। কে দেশের জন্য কাজ করবে, কাকে তারা আনতে চায়। সেটা কিন্তু স্পষ্ট নয়। আর সেটা স্পষ্ট নয় বলে তারা জনগণের সাড়া পাচ্ছে না। বিদেশে বসে আন্দোলন করে যাচ্ছে। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করে দিয়েছি। প্রতিদিন অনলাইনে আন্দোলন-সংগ্রাম করে যাচ্ছে, নির্দেশ দিয়েই যাচ্ছে। যারা আন্দোলন করছে করুক, তাদের তো বাধা দিচ্ছি না।

বিরোধীদের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, যারা ‘গণতন্ত্র নেই, ভোটের অধিকার নেই’ বলে, তারাই তো মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। এটা তারা ভুলে যায়। আর অনেকে নানা ধরনের কথা বলে। কেউ উন্নয়ন চোখে দেখে, কেউ দেখে না। নাও দেখতে পারে। কারণ, তাদের হয়তো উন্নয়নের ফর্মুলা ভিন্ন। আমার উন্নয়ন হলো গ্রামের মানুষ, গরিব মানুষ, তারা যেন দুই বেলা পেট ভরে খেতে পারে। তাদের একটু বাসস্থান হবে, চিকিৎসা পাবে, শিক্ষা পাবে, জীবনমান উন্নত হবে। আপনারা সাংবাদিক, আপনারাই বলেন, ১৫ বছর আগে দেশের অবস্থাটা কী ছিল? এখন কি কোনো পরিবর্তনই হয়নি। কেউ যদি না দেখে, আমাদের তো কিছু করার নেই!

যুক্তরাষ্ট্রকে আগে নিজের ঘর সামলাতে বললেন প্রধানমন্ত্রী : যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের দেশে এই যে প্রতিনিয়ত মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে, গুলি করে একেবারে সাধারণ নিরীহ মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে, এসব তো তাদের দেখা উচিত। নিজের ঘর আগে সামলানো উচিত। আমেরিকায় বিভিন্ন স্কুল, শপিংমল, রেস্টুরেন্টে অনবরত গুলি হচ্ছে, আর মানুষ মারা যাচ্ছে। এমন কোনো দিন নেই বোধহয়, আমেরিকায় মানুষ না মারা হচ্ছে। তাদের সেদিকে নজর দেওয়া উচিত।

আমেরিকায় বাংলাদেশি নিহত হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদ করে শেখ হাসিনা বলেন, এর আগেও আমাদের বাংলাদেশি কয়েকজনকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা প্রতিবাদ করেছি এবং বিচার করে তারা আমাকে জানিয়েছে। আমাদের যেটুকু করার, সেটুকু আমরা করে যাচ্ছি। শুধু এখানেই নয়, আমেরিকায় বসেও প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে।

আন্দোলন দমনে আমেরিকার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন : সম্প্রতি ফিলিস্তিনের ওপর ইসরাইলি হামলার প্রতিবাদে বিভিন্ন আন্দোলন দমন করতে আমেরিকার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমরা যদি আমাদের পুলিশকে বলে দিই, আমেরিকার পুলিশ যেভাবে আন্দোলন থামায়, সেটা অনুসরণ করতে পারে। সেটা করতে পারি?

তিনি বলেন, আমরা তো পুলিশকে ধৈর্য ধরতে বলেছিলাম। সেই ২৮ অক্টোবর, ২০২৩ সালে আমি তো পুলিশকে ধৈর্য ধরতে বলেছিলাম। ফল হয়েছে আন্দোলনের নামে তারা পুলিশকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে। সেই সঙ্গে তাদের হাসপাতালে আক্রমণ, গাড়ি পোড়ানো। কাজেই আমার মনে হয়, এখন আমাদের পুলিশ কিন্তু আমেরিকান স্টাইলে আন্দোলন দমানোর ব্যবস্থাটা নিতে পারে। আমার মনে হয়, সাংবাদিকরা এ ব্যাপারে আমাকে সমর্থন করবেন।

মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদের প্রসঙ্গে যা বলেন প্রধানমন্ত্রী : উপজেলা পরিষদ নির্বাচন প্রভাবমুক্ত রাখতেই মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্যদের প্রার্থী না হওয়ার নির্দেশনা দিয়েছিলেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। এমপি-মন্ত্রীদের পরিবারের সদস্যদের নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলেও তারা শোনেননি-এ বিষয়ে এক সাংবাদিক প্রধানমন্ত্রীর মত জানতে চাইলে সরকারপ্রধান বলেন, ফ্যামিলি ফর্মুলা কী? নিজে, ছেলে-মেয়ে, স্ত্রী-এই তো? এর বাইরে তো পরিবার হয় না। একবার হিসাব করেন তো, কয়জনের (মন্ত্রী-এমপি) ছেলে-মেয়ে-স্ত্রী ভোটে দাঁড়িয়েছে। এটা বলার কারণ হচ্ছে, আমরা চাইছি নির্বাচনটা প্রভাবমুক্ত যেন হয়, মানুষ যেন স্বাভাবিকভাবে ভোটটা দিতে পারে। সেটাই হচ্ছে আমাদের লক্ষ্য।

আমাদের কর্মীদেরও মূল্যায়ন করা উচিত : এ সময় নির্বাচনে প্রার্থিতায় আওয়ামী লীগের কর্মীদের অগ্রাধিকারের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, দলে অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে এক একটা জায়গায়, তারা আগে থেকেই যিনি এমপি হয়েছেন, তারও বহু আগে থেকে নির্বাচন করে কেউ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, কেউ পৌর চেয়ারম্যান, সেরকম ট্র্যাডিশনালি আছে। তাদের আমরা মানা করি কীভাবে?

বে এটা ঠিক, হয়তো এক জায়গায় বউকে দিল, আরেক জায়গায় ছেলেকে দিল, আরেক জায়গায় মেয়েকে-এটা তো ঠিক না। আমি সেটাই বলতে চেয়েছি আমাদের নেতাকর্মীদের। আমাদের কর্মীদেরও মূল্যায়ন করা উচিত। সবকিছু নিজেরা নিয়ে নেব, নেতাকর্মীদের জন্য কিছু রাখব না; এটা তো হয় না। সেই কথাটা আমি বলতে চেয়েছি। আর যেন বেশি প্রভাব না ফেলে। সবাই দাঁড়িয়েছে, ইলেকশন করছে। এর লক্ষ্যটা হলো নির্বাচনটাকে অর্থবহ করা।

নির্বাচন করার সক্ষমতা নেই বিএনপির, তাই বর্জন : এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, এখন অনেক রাজনৈতিক দল নির্বাচন বর্জন করছে। এই বর্জন করে কেন? আসলে নির্বাচন করার মতো সক্ষমতা তাদের নেই। নির্বাচন করতে হলে, যেমন সংসদ নির্বাচন করতে হলে আপনাকে তো জনগণকে দেখাতে হবে আপনার পরবর্তী নেতৃত্বে কে আসবে বা প্রধানমন্ত্রী কে হবে কিংবা নেতা কে হবেন। একটা নেতা তো দেখাতে হবে। আপনার কাছে যদি উপযুক্ত নেতা না থাকে, তখন তো আপনাকে একটা ছুতো খুঁজতে হয়। এই যে ইলেকশন করলাম না, বিরাট ব্যাপার দেখালাম। বাস্তবতা তো সেটাই।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেই আমরা নির্বাচন করেছি। বাংলাদেশের পুরো নির্বাচনের ইতিহাস দেখলে সেই ’৭৫ সালের পর থেকে যত নির্বাচন, প্রতিটা নির্বাচন যদি কেউ ভালোভাবে তুলনা করে, তাহলে দেখবে ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির নির্বাচন প্রতিটি নির্বাচন থেকে অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু এবং জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার নির্বাচনই হয়েছে।

সমবায়ভিত্তিক কৃষিব্যবস্থায় যার জমি তারই থাকবে : সমবায়ব্যবস্থা হলে কৃষকদের জমি নিয়ে নেওয়া হবে-এমন ‘আস্থাহীনতার’ প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন আমরা ডিজিটালাইজড করে ফেলেছি, যার জমি তারই থাকবে। কৃষকের জমি কখনো নেওয়া হবে না। সমবায়ভিত্তিক কৃষি নিয়ে নিজের ভাবনার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমবায়ভিত্তিক কৃষিব্যবস্থায় সার, বীজ, চাষ ও মাড়াইয়-সব ব্যবস্থাই সমবায়ের মাধ্যমে হবে। এখানে কৃষকের নিজের ব্যক্তিগতভাবে কোনো খরচ করতে হবে না। ওই ফসলের একটা অংশ সমবায়ের কাছে বা সরকারের কাছে থাকবে, যা পরবর্তী চাষের জন্য ব্যবহার করা হবে। সেভাবেই আমরা এটা করতে চাইছি। যেটা জাতির পিতা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু করতে দেওয়া হয়নি। করতে দেওয়া হলে আজ দেশে খাদ্যের ঘাটতি হতো না।

হীরকজয়ন্তী ব্যাপকভাবে পালন করবে আওয়ামী লীগ : আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার হীরকজয়ন্তী পালন প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা দলের ৭৫ বছর পালন করব ব্যাপকভাবে। বিশ্ব পরিস্থিতি বিবেচনা করে দেখব আমরা কোন কোন দেশকে আমন্ত্রণ করব। ব্যাপক কর্মসূচি পালনের জন্য আমরা উপকমিটি করব। উপমহাদেশের একটি দল ৭৫ বছর উদ্যাপন করছে, এটা বড় কথা।

১৪ দল তো অবশ্যই আছে, থাকবে : সংবাদ সম্মেলনে ১৪ দলীয় জোট প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জোটনেত্রী বলেন, ১৪ দল তো অবশ্যই আছে। থাকবে না কেন? তাদের সঙ্গে আমাদের সব সময় যোগাযোগ আছে। যোগাযোগ নেই, তা তো না। দুই-চারজন বিক্ষিপ্তভাবে কী বলেছে, আমি জানি না। আমাদের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু সাহেবের ওপর দায়িত্ব দেওয়া আছে। তিনি যোগাযোগটা রাখেন। আমি শীঘ্রই তাদের সঙ্গে বসব। কারণ, আমাদের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক করেছি, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক করব। ১৪ দলের সঙ্গেও বসব। তাছাড়া আলাদাভাবে অনেকের সঙ্গে আমার যোগাযোগ আছে। সাধারণ সম্পাদক সবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। সংসদ নির্বাচনেও ১৪ দলের অনেক দল প্রার্থী দিয়েছিল। নির্বাচনে জেতা না জেতা আলাদা কথা। আমাদের জোট থাকবে। জোট শেষ হয়ে গেছে কে বলল?

ঢাকাকেন্দ্রিক প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে যানজট কমে যাবে : ঢাকার যানজট প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ট্রাফিক নিয়ম অনেকেই মানেন না, এটা যানজটের জন্য অন্যতম একটি সমস্যা। মানুষ যদি নিজে সচেতন না হয়, তাহলে আর কত সচেতন করা যাবে। সেটা হলো বাস্তবতা। তবে ঢাকা শহরকেন্দ্রিক প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে যানজট কমে যাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে যানজট শুধু কমবে না, জেলার সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগ হবে। তাহলে সবাইকে আর ঢাকায় থাকতে হবে না। ঢাকার বাইরের উপশহরগুলোয় অনেকেই থাকবেন, ঢাকা এসে কাজ করে চলে যাবে। আর ডিজিটাল পদ্ধতি তো আছেই। মেট্রোরেল রক্ষণাবেক্ষণে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা জিনিস তৈরি (মেট্রোরেল) করে দিয়েছি, সেটাকে রক্ষণাবেক্ষণ, যত্ন নেওয়া জনগণের দায়িত্ব। এটা তো তাদেরই দেখতে হবে। তারা নিজেরা যদি যত্নবান না হয়, তাহলে কত আর শেখানো যাবে। যা তৈরি করে দিয়েছি, তার যত্ন নিলে মানুষ সুফল পাবে বা পাচ্ছে।

রাজধানীর ফিটনেসবিহীন বাস প্রসঙ্গে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী : প্রধানমন্ত্রী বলেন, বেসরকারি বাস মালিকরা যদি ভাঙাচোরা বাস চালাতে পছন্দ করেন, তাহলে আমাদের কী করার আছে। ফিটনেস আছে কি না, সেটা দেখার বিষয় আছে। আর আমি তো ভলবো বাস কিনে এনেছিলাম। তখন বলা হয়েছিল, এ বাস বাংলাদেশে চলবে না, কিন্তু চলেছে। বিএনপি যখন ক্ষমতায় এলো, এতগুলো ভলবো বাসের একটিরও খবর নেই। সেগুলো পড়ে ছিল। আমরা আর্টিকুলেট বাস আনলাম, বিএনপি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিল। এখন যদি তারা আন্দোলনের নামে ভাঙা বাসগুলো পোড়ায়, তাহলে বিমার টাকাটাও পেল, তাদের আন্দোলনটাও চলল। সেটাও অনেক সময় করে। তবে নতুন বাসগুলো যেন না পোড়ায়। আমরা আনি কষ্ট করে, ওরা ধ্বংস করে।

রোহিঙ্গা প্রত্যাব্যাসনে সহযোগিতা করবে থাইল্যান্ড : রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসেন থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মিয়ানমারের সেনা সদস্যদের আশ্রয় নেওয়ার বিষয়েও প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জানতে চান, মিয়ানমারের সঙ্গে থাইল্যান্ডের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে কি না। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার থেকে আগতদের প্রত্যাবর্তনের বিষয়টি দেখবেন বলে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, গভীরভাবে তিনি বিষয়টি দেখবেন। মিয়ানমারের বিষয়টি নিয়ে তারাও উদ্বিগ্ন। মিয়ানমারের সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।

Top