এমন কোনো বড় ঘটনা ঘটে নাই যাতে কেউ মনে করবে বড় সহিংসতা হয়েছে - Alokitobarta
আজ : শুক্রবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এমন কোনো বড় ঘটনা ঘটে নাই যাতে কেউ মনে করবে বড় সহিংসতা হয়েছে


আলোকিত বার্তা:আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, নির্বাচনকালে আপনারা দেখেছেন যে ভোট নিয়ে যে সহিংসতার কথা বলছেন সেটা কিন্তু প্রায় ছিলই না৷যেকোনো দেশে দলীয় কর্মীদের মধ্যে এ লড়াই কিছুটা হয়৷সেখানে ততটুকুই ঘটেছে৷ এমন কোনো বড় ঘটনা ঘটে নাই যাতে কেউ মনে করবে বড় সহিংসতা হয়েছে৷রাজধানীর সচিবালয়ে রোববার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি৷আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াতের যারা কর্মী রয়েছেন তাদের কিন্তু রাজনৈতিক কারণে কারাগারে যেতে হয়নি৷তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকায় তাদের কারাগার যেতে হয়েছে এবং মামলা চলমান৷২০০১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এলে সংখ্যালঘুদের ওপর এবং আওয়ামী লীগের কর্মীদের ওপর যে অত্যাচার করেছিল এবং ২০১৩ সালে যে অগ্নিসংযোগ করেছিল সে মামলাগুলো থেকেই এখন বিচার সম্পন্ন হচ্ছে৷বিচার আদালত করেন সেখানে সরকারের কোন হাত নেই মন্তব্য করে আইনমন্ত্রী বলেন, দেশে সুশাসন নিশ্চিত করায় জনগণের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর যে প্রতিশ্রুতি এবং আমাদের প্রতি যে নির্দেশনা রয়েছে সেটা যথাযথভাবে উন্নয়ন সাধনের চেষ্টা করেছে আইন মন্ত্রণালয়৷ এর কারণ হচ্ছে- করোনাকালে সারা বিশ্বের সবকিছু স্থবির হয়ে পড়ে৷ বিচারিক ব্যবস্থার মধ্যেও স্থবিরতা চলে এসেছিল৷ আমরা তখন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ভার্চুয়াল কোর্ট স্থাপন করে বিচার তরান্বিত করেছি ও কারাগারে যাতে জটিলতা সৃষ্টি না হয় সে ব্যবস্থাও করেছি৷ অনেক মামলা শেষ করেছি৷ দ্বিতীয়ত- আমরা অনেক আইন করেছি৷ বিশেষ করে সাক্ষ্য আইন৷ সাক্ষ্য আইনের সংশোধন মানুষ চাচ্ছিল৷ এ আইনে নারীদের ইজ্জতের বিষয় ছিলো৷ আমার মনে হয় এই সাক্ষ্য আইন সংশোধনটা একটা বিরাট পদক্ষেপ৷ আরও অনেক আইন করেছি৷

মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশনার ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ব্যাপারে যে আইন সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদের নির্দেশনা অনুযায়ী করেছি তাতে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হয়েছে৷ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ের উভয় বিভাগ যথেষ্ট কাজ করেছে৷ এতে একটি ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে৷ আমার মনে হয় এভাবে কাজ করে গেলে যেটা আমাদের অগ্রাধিকার বিশেষ করে মামলা জটের এই বিষয়টি বহুদিন ধরে মামলা জটের কারণে কোন পদক্ষেপ না নেওয়ার কারণে আমাদের ১০ থেকে ১৫ বছর অনেক চিন্তা-ভাবনা করতে হয়েছে৷ আমার মনে হয় আমরা সঠিক পথেই এগোচ্ছি৷মন্ত্রী আরও বলেন, দেশবাসীর কাছে আমাদের অঙ্গীকার জাতির পিতাকে হত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ত যারা দেশের বাইরে রয়েছেন তাদের ফিরিয়ে আনার যে চেষ্টা আমরা করছি সেটার একটা সফলতা আনার জন্য৷

Top