ভোটারদের কেন্দ্রে গিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দেওয়ার আহ্বান - Alokitobarta
আজ : শনিবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভোটারদের কেন্দ্রে গিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দেওয়ার আহ্বান


মোহাম্মাদ আবুবকর সিদ্দীক ভুঁইয়া: ভোটারদের কেন্দ্রে গিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। একই সঙ্গে তিনি প্রার্থীদের উদ্দেশে বলেছেন, শক্ত ও অনুগত পোলিং এজেন্ট না থাকলে সম্ভাব্য ভোট কারচুপি প্রতিরোধ করা সম্ভব না-ও হতে পারে।শনিবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে সিইসি এসব কথা বলেন।প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচন বিষয়ক আইন ও বিধিবিধান সংশ্লিষ্ট সবাইকে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ভোটকেন্দ্রসমূহের পারিপার্শ্বিক শৃঙ্খলাসহ, প্রার্থী, ভোটার ও নির্বাচনী কর্মকর্তাসহ সর্বসাধারণের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন। কোনো প্রার্থী বা প্রার্থীর পক্ষে জাল ভোট, ভোট কারচুপি, ব্যালট ছিনতাই, অর্থের লেনদেন ও পেশীশক্তির সম্ভাব্য ব্যবহার কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে।এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, এ ধরনের কোনো তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর প্রার্থিতা তাৎক্ষণিক বাতিল করা হবে। প্রয়োজনে কেন্দ্র বা নির্বাচনী এলাকার ভোটগ্রহণ সামগ্রিকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হবে।

ভোট শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর করতে জনগণকেও ঐক্যবদ্ধ হয়ে সকল প্রকারের নির্বাচনী অনিয়ম-অনাচার প্রতিহত করার উদাত্ত আহ্বান জানান সিইসি।কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর নির্বাচনের জন্য কাঙ্ক্ষিত অনুকূল রাজনৈতিক পরিবেশ প্রয়োজন। কিন্তু অনস্বীকার্য যে, নির্বাচন প্রশ্নে রাজনৈতিক নেতৃত্বে মতভেদ রয়েছে। মতভেদ থেকে সংঘাত ও সহিংসতা কাম্য নয়। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, নাশকতা ও সহিংসতা একেবারেই হচ্ছে না, তা বলা যাচ্ছে না। রাষ্ট্রীয় ধন-সম্পদের ক্ষতিসাধনের পাশাপাশি মানুষ আহত-নিহত হচ্ছে। নির্দোষ, নিরীহ ও নিষ্পাপ শিশু-নারী-পুরুষের মর্মান্তিক ও মর্মন্তুদ মৃত্যুও ঘটছে। চলমান এহেন পরিস্থিতির স্থায়ী সমাধান ও অবসান প্রয়োজন। রাজনৈতিক নেতৃত্বকে এ বিষয়ে আন্তরিকভাবে উদ্যোগী হতে হবে, আজকে না হলেও ভবিষ্যতের জন্য।

তিনি বলেন, আমরা সবসময় বিশ্বাস করি আলাপ-আলোচনা ও গঠনমূলক সংলাপের মাধ্যমে সমঝোতায় উপনীতি হয়ে যে কোনো রাজনৈতিক সংকটের নিরসন সম্ভব। নির্বাচন বর্জনকারী দলসমূহ সহিংস পন্থা পরিহার করে কেবল শান্তিপূর্ণ পন্থায় জনগণকে নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানাবে বলে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে। এতে জনগণের আস্থা সঞ্চারিত হয়েছিল। ঘোষিত হরতাল কর্মসূচির মধ্যে সহিংসতা ও নাশকতার ঘটনা দৃশ্যমান হচ্ছে। ট্রেন, যানবাহন ও নির্বাচন কেন্দ্রে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। কারা দায়ী সেটি আমাদের বিবেচ্য নয়। তবে নাশকতা ও সহিংসতার কতিপয় সাম্প্রতিক ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন।

Top