কিচ্ছা-কাহিনিকেও হার মানিয়েছে শেখ হাসিনার উন্নয়ন
মোহাম্মাদ আবুবকর সিদ্দীক ভুঁইয়া : তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমরা গতবার স্লোগান দিয়েছিলাম ‘আমার গ্রাম আমার শহর’।এখন গ্রাম শহরের মতো হয়ে গেছে। আগে গ্রামের উঠানে গোল ধরে বসে বাদশার কিচ্ছা শুনানো হতো, বাদশা রাতের আঁধারে প্রজাদের দরজায় খাবার দিয়ে আসত। এখন শেখ হাসিনার উন্নয়ন সেই কিচ্ছা কাহিনিকেও হার মানিয়েছে।মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাঙ্গুনিয়া পৌরসভা, মরিয়মনগর, চন্দ্রঘোনা কদমতলি ও স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত নির্বাচনি জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি আরিফুল ইসলাম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিমের সঞ্চালনায় রোয়াজারহাটস্থ রাঙ্গুনিয়া ক্লাব মাঠে আয়োজিত জনসভায় সভাপতিত্ব করেন পৌরসভার মেয়র মো. শাহজাহান সিকদার।
হাছান মাহমুদ বলেন, ঈদ, পূজা-পার্বণে ১৫ টাকা দামের চাল, ২০০ টাকায় ৩০ কেজি চাল, বিনামূল্যে চাল, ফেয়ার প্রাইজ কার্ড, টিসিবি’র কার্ড, বয়স্ক ভাতা, বিধবাভাতা, স্বামী পরিত্যক্তা ভাতা, পঙ্গু ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতাসহ ১৮ রকমের ভাতা দিচ্ছে সরকার। আবার নারীদের কাছে মোবাইলে সরকারের টাকা পৌঁছে যায়। এসব আমরা আগে ছোট থাকতে কিচ্ছা-কাহিনিতে শুনতাম। এখন মানুষের মোবাইলে টাকা পাঠিয়ে দিচ্ছেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ১৫ বছর আগে কাপ্তাই সড়ক ছাড়া রাঙ্গুনিয়ায় কোনো কার্পেটিং রাস্তা ছিল না, এখন রাঙ্গুনিয়ার অভ্যন্তরে কার্পেটিং ছাড়া কোন রাস্তাটা আছে সেটি খুঁজে দেখতে হবে। যেখানে পানি উঠে সেখানে করা হয়েছে আরসিসি ঢালাই রাস্তা। সব রাস্তার পাশে এখন সুন্দর সুন্দর পাকা ঘরবাড়ি। গ্রামে গ্রামে টেলিভিশন ডিস অ্যান্টেনা, ওয়াইফাই লাইন, অধিকাংশ বাড়িতে এখন এয়ার কন্ডিশন চালানো হচ্ছে।জনসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ নেতা স্বজন কুমার তালুকদার, গিয়াস উদ্দিন খান স্বপন, শামসুদ্দোহা সিকদার আরজু, বদিউল খায়ের লিটন চৌধুরী, মুজিবুল হক হিরু, মো. নূর উল্লাহ, আইয়ুব রানা, নাছির উদ্দীন রিয়াজ, শৈবাল চক্রবর্তী, মো. হারুন সওদাগর, মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, ভাস্কর সাহা, মোরশেদ তালুকদার, সিরাজুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ। এতে জেলা ও উপজেলার নেতারা উপস্থিত ছিলেন।