নাশকতার মামলায়জামায়াতের একজনের ,বিএনপির ৫৪ কারাদণ্ড
মো.মুরাদ হোসেন:ঢাকার দুই থানার মামলায় বিএনপির ৫৪ নেতাকর্মী ও আরেক থানার মামলায় জামায়াতের একজনকে দুই বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এরমধ্যে রাজধানীর বংশাল থানায় দশ বছর আগে করা এক মামলায় ১৬ জনকে ৬ মাসের কারাদণ্ড এবং দক্ষিণখান থানায় ২০১৮ সালে করা এক মামলায় বিএনপির ৩৮ জন নেতাকর্মীকে ৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।এ ছাড়া নাশকতার অভিযোগে কাফরুল থানার মামলায় জামায়াতের একজনের দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এই দুই মামলাসহ গত তিনমাসে ৩৭ মামলায় বিএনপির ৭১১ জনের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এরমধ্যে নভেম্বর মাসে ৩০ মামলায় ৫৭৫ জনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ রায় ঘোষণা করা হয়।
বংশাল থানার মামলায় বিএনপির ১৬ জনের কারাদণ্ড
দশ বছর আগে বংশাল থানায় নাশকতার অভিযোগে করা মামলায় এক ধারায় বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক আলী সরকারসহ ১৬ জনের ছয় মাস সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ৩ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান সোহাগ উদ্দিন এ রায় ঘোষণা করেন। এ মামলায় পলাতক থাকা আসামিদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- ইসহাক আলী সরকার, মো. মোহন, রফিকুল ইসলাম, ডলার ইকবাল, মো. শাজাহান, আব্দুল করিম, সিরাজ শেখ ওরফে বাঙাল সিরাজ, মোহাম্মদ মাসুম, মো. বেলাল হোসেন, রাজু আহমেদ, আব্দুর রহমান ওরফে বোমা রহমান, মোহাম্মদ সেন্টু, মো. ফারুক, মোহাম্মদ কামাল হোসেন, জুবায়ের আলম, কামরুল ইসলাম।
২০১৩ সালের অক্টোবর মাসে নাশকতার অভিযোগে বংশাল থানায় পুলিশ বাদী হয়ে এ মামলা করা হয়।
দক্ষিণখান থানার মামলায় ৩৮ জনের কারাদণ্ড
রাজধানীর দক্ষিণখান থানার মামলায় বিএনপির ৩৮ নেতাকর্মীকে চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মইনুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাসহ সাজা পরোয়ানা জারি করা হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মো. শফিকুল ইসলাম শফিক, আব্দুল আলীম, শাহিন মিয়া, মো. মামুন, শামসুল হক রিপন, রুম্মন সিদ্দিকি, শাহীন, রাজীব, সমোয়ার হোসেন, মো. দুলাল মিয়া, নুরুজ্জামান হাওলাদার সোহেল, আনোয়ার হোসেন বকুল, মো. কামাল হোসেন, শাহআলম, দীন ইসলাম, মো. আব্দুর রহিম বাদশা, রিপন সরকার, আবু বকর সিদ্দিক, ছোকন মেম্বার, আলী হোসেন, মোতালেব হোসেন রতন, শহিদুল ইসলাম, মো. ইয়াকুব আলী, মো. মোকলেস, মমতাজ উদ্দিন, মো. শেখ নূর মোহাম্মদ, মো. হারুন অর রশিদ হারুন, মো. আনোয়ার হোসেন সরকার, মো. তোফাজ্জল হোসেন মিঠু, সরকার রফিকুল ইসলাম মুকুল, মো. গোলাম মোস্তাফা, মো. মোজাফফর হোসেন বাদল, মো. জাকির হোসেন, মো. ইয়াকুব আলী, মো. সফিল উদ্দিন, মো. শরীফ হোসেন, রিপন মিয়া, মো. লুৎফর রহমান খোকন।
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে নাশকতার অভিযোগে দক্ষিণখান থানায় পুলিশ বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করে।
জামায়াত নেতা তসলিমের ২ বছর কারাদণ্ড
দশ বছর আগে রাজধানীর কাফরুল থানা এলাকায় অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দায়ের হওয়া একটি মামলায় জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি লস্কর মোহাম্মদ তসলিমকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে তিন হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন আদালত। জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরও একমাসের বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে।ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলাম এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি উপস্থিত না থাকায় তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২১ মার্চ কাফরুল থানার স্টাফ কোয়ার্টারের বিপরীতে একটি সিএনজি থামিয়ে লস্কর মোহাম্মদ তসলিমসহ অজ্ঞাত কয়েকজন অগ্নিসংযোগ করেন।এতে সিএনজির দশ হাজার টাকা ক্ষতি হয়।এ ঘটনায় সিএসজি চালক মহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে কাফরুল থানায় একটি মামলা করেন।২০১৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি লস্কর মোহাম্মদ তসলিমকে একমাত্র আসামি করে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ।মামলায় বিচার চলাকালে ৯ জন সাক্ষীর মধ্যে পাঁচজন সাক্ষ্য দেন।