স্কুলের পাঁচ পদে নিয়োগে অর্ধকোটি টাকা ঘুষ বাণিজ্য ! - Alokitobarta
আজ : বৃহস্পতিবার, ২০শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্কুলের পাঁচ পদে নিয়োগে অর্ধকোটি টাকা ঘুষ বাণিজ্য !


মো.মুরাদ হোসেন : যশোরের ঝিকরগাছার বালিয়া গৌরসুটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাঁচটি পদে নিয়োগে অর্ধকোটি টাকা ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, সভাপতি, বিদ্যোৎসাহী সদস্য ও শিক্ষক প্রতিনিধি এ নিয়োগ বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগে দাবি করা হয়েছে। বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সদস্য, স্থানীয় ইউপি সদস্য ও গ্রামবাসী এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সদস্য আ সালাম ও আব্দুস সাত্তার, দাতাসদস্য আকবর আলী গঙ্গানন্দপুর ইউপি সদস্য আশরাফুল ইসলাম এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে জেলা শিক্ষা অফিসারকে লিখিত আকারে অভিযোগ করেছেন।অভিযোগে বলা হয়েছে, ঝিকরগাছার বালিয়া গৌরসুটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উত্তম কুমার বিশ্বাস, পরিচালনা পরিষদের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, বিদ্যোৎসাহী সদস্য আমজাদ হোসেন ও শিক্ষক প্রতিনিধি মফিজুর রহমান অত্যন্ত গোপনে পাঁচ পদে ৪৯ লাখ টাকা নিয়ে নিয়োগ দেন। চলতি বছর সাঈন হোসেনকে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ দিয়ে ১২ লাখ টাকা নেয়া হয়েছে। সাঈদ হোসেনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তিনি ইতোপূর্বে কায়েমকোলা আলিমুন্নে গার্লস স্কুল অ্যান্ড কারিগরি কলেজে কর্মরত ছিলেন। সেপ্টেম্বর মাস থেকে তিনি এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।

অভিযোগে আরও জানা যায়, চলতি বছরে পরিচ্ছন্নতা কর্মী আব্দুল হাইয়ের কাছে থেকে ৮ লাখ ৫০ হাজার এবং রিক্তা বেগমকে আয়া পদে নিয়োগ দিয়ে ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা উৎকোচ নিয়েছেন। গত ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে আব্দুর রহমানকে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ দিয়ে তার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা এবং ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে সুমন বিশ্বাসকে গ্রন্থাগার শিক্ষক পদে নিয়োগ দিয়ে ১০ লাখ টাকা নেন। মোট ৪৯ লাখ টাকার বিনিময়ে পাঁচজনকে নিয়োগ দেয়া হয়।জানতে চাইলে জেলা শিক্ষা অফিসার এ কে এম গোলাম আযম বলেন, দিনে তো অসংখ্য অভিযোগ আসে এই মুহূর্তে বলতে পারবো না। খোঁজ নিয়ে আপনাকে জানাবো।

যশোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মনোয়ার হোসেন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বকুল বলেন, অভিযোগ সঠিক কিনা সেটা যাচাই বাছাই করলে জানা যাবে।বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উত্তম কুমার দাশ অভিযোগ অস্বীকার করেন বলেন, সহকারী প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে আমি একটি টাকাও নেইনি। তার সঙ্গে এ ধরণের কোন চুক্তি ছিল না। আয়া, পরিচ্ছনতা কর্মীর কাছ থেকে দশটি টাকাও নেয়া হয়নি। এই ধরণের কোন কথাও হয়নি।

Top