দশ শতাংশ কোটায় বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে নিয়োগ বন্ধ রয়েছে গত ১৪ বছর ধরে
মোহাম্মাদ আবুবকর সিদ্দীক ভুঁইয়া:দশ শতাংশ কোটায় বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে নিয়োগ বন্ধ রয়েছে গত ১৪ বছর ধরে। এই সময়ে শিক্ষা ক্যাডারের সর্বোচ্চ পদ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও পরিচালকসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হন বিগত বিএনপি-জামায়াত শাসনামলে দশ শতাংশ কোটায় নিয়োগপ্রাপ্তরা। বর্তমানে শিক্ষার বিভিন্ন অধিদপ্তর, দপ্তর, বোর্ড এবং সরকারি কলেজ ও মাদরাসায় বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত প্রায় ১৬ হাজার শিক্ষক কর্মরত। আর মোট জনবলের ১০ শতাংশ কোটায় নিযুক্ত হওয়ার কথা থাকলেও বর্তমানে মাত্র দুশোর মতো কর্মরতা ১০ শতাংশ কোটায় নিয়োজিত। তাদের মধ্যে ৫০ জনের মতো আবার পদোন্নতি জটিলতায় আটকে আছেন। আওয়ামী লীগ বিদ্বেষী মনোভাব ও ক্যাডারের কতিপয় সদস্যের প্রতিহিংসাপরায়ণ মনোভাবের কারণে কোটায় নিয়োগ বন্ধ বলে অভিযোগ উঠেছে।
শিক্ষা বিষয়ক দেশের একমাত্র অনুসন্ধানে এ তথ্য জানা গেছে।শিক্ষাবিদরা জানান, ভালো একাডেমিক রেজাল্ট নিয়ে বেসরকারি কলেজে কর্মরত শিক্ষকদের সরকারি কলেজে শিক্ষকতার সুযোগ দেয়ার লক্ষ্যে ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২০ শতাংশ কোটা চালু করেছিলেন। পরে বিএনপি ক্ষমতায় এসে ১০ শতাংশ কমিয়ে দেয়।জানা যায়, কোটা প্রক্রিয়ায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর থেকে চাহিদা পেয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনকে (পিএসসি) জানায়। পিএসসি বিজ্ঞাপন দিয়ে মৌখিক পরীক্ষা ও একাডেমিক ফলের বিচারে প্রার্থী চূড়ান্ত করে। স্নাতক পর্যায়ের কলেজে কমপক্ষে দশ বছর কর্মরতরা আবেদনের সুযোগ পান। সহকারি, সহযোগী ও অধ্যাপক পদে নিয়োগ হয়। পিএইচডি/ এমফিলসহ প্রথম শ্রেণিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরাই শুধু আবেদন করতে পারেন।গত ১৪ বছর ধরে কোটা?য় নিয়োগ বন্ধ কেন প্রশ্নের উত্তর দিতে চাননি বিএনপি-জামায়াত আমলে ১০ শতাংশ কোটায় অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ পেয়ে ২০১৮ থেকে ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারি পর্যন্ত মহাপরিচালক পদে থাকা অধ্যাপক সৈয়দ গোলাম ফারুক।একই প্রশ্নের জবাবে বর্তমান মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, আমি কয়েকমাস আগে মহাপরিচালক হলাম। দেখি খোঁজ নিয়ে কেন এত বছর বন্ধ ছিলো।অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কলেজ শিক্ষক হাবিবুর রহমানের মতে, নিয়োগ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে গত ১৪ বছরে কমপক্ষে তিনশ শিক্ষক নিয়োগ পেতেন। সারাদেশের কলেজগুলো রয়েছে চরম শিক্ষক সংকটে। সরকারের উচিত কোটায় নিয়োগ চালু করে শিক্ষক সংকট কিছুটা হলেও দূর করা।