গাজীপুরে চলন্ত বাসে এক পোশাক কর্মীকে (২৩) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে - Alokitobarta
আজ : শুক্রবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজীপুরে চলন্ত বাসে এক পোশাক কর্মীকে (২৩) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে


মোহাম্মাদ আবুবকর সিদ্দীক ভুঁইয়া :গাজীপুরে চলন্ত বাসে এক পোশাক কর্মীকে (২৩) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। স্বামীকে চলন্ত বাস থেকে ফেলে দিয়ে ওই পরিবহনের পাঁচ শ্রমিক মিলে ওই নারীকে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারীর স্বামী থানায় মামলা করলে অভিযুক্ত পাঁচজনকে গ্রেফতার ও বাস জব্দ করেছে পুলিশ।শনিবার (৬ আগস্ট) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাজীপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন।গ্রেফতাররা হলেন, মো. রাকিব মোল্লা (২৩), সুমন খান (২০), মো. সজিব (২৩), মো. সুমন হাসান (২২) ও মো. শাহিন মিয়া (১৯)।থানায় দায়ের করা অভিযোগ ও ভিকটিমের স্বজনদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, শুক্রবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে নওগাঁ থেকে গাজীপুর মহানগরের ভোগড়া বাইপাসে স্বামীর সঙ্গে বাস থেকে নামেন ওই নারী। ময়মনসিংহের স্কয়ার মাস্টারবাড়ি এলাকায় ভাড়া বাড়িতে যেতে অপর একটি গাড়ির জন্য অপক্ষা করছিলেন তারা। রাত ৩টা ১০ মিনিটে স্কয়ার মাস্টারবাড়ি যাওয়ার উদ্দেশে তাকওয়া পরিবহনে উঠে বাসে আরও ৬-৭ জন যাত্রী দেখতে পান। রওনা দেওয়ার কিছু সময় পর বাসটি ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের হোতাপাড়ায় পৌঁছালে দুই যাত্রী নেমে যান।

রাত ৩টা ৪০মিনিটে বাসটি মহাসড়কের মাওনা চৌরাস্তা ফ্লাইওভার পার হয়ে কিছুদূর সামনে গেলে চলন্ত বাসে থাকা অজ্ঞাতনামা ২-৩ জন লোক হঠাৎ ওই নারীর স্বামীকে মারধর শুরু করেন। তাদের হাত দিয়ে ঠেকানোর চেষ্টা করেন নারী। এ সময় অজ্ঞাত লোকজন ওই নারীর মুখ চেপে ধরে রাখেন এবং স্বামীকে মারপিট করে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের এমসি বাজার এলাকায় চলন্ত বাস থেকে ফেলে দিয়ে বাসটি নিয়ে ঢাকার দিকে চলে যান।ওই নারীর স্বামী বাস থেকে পড়ে আঘাত পেয়ে স্কয়ার মাস্টারবাড়ি এলাকার বোনের বাসায় চলে যান। শনিবার সকালে অপরিচিত একটি মোবাইল থেকে ফোন করে ওই নারী বিস্তারিত ঘটনা এবং জয়দেবপুর থানায় আছেন বলে স্বামীকে জানান। পরে স্বামী ওই নারীর কাছে যান এবং বিস্তারিত ঘটনা শোনেন।এ সময় ভিকটিম তার স্বামীকে জানান, তাকে (স্বামী) গাড়ি থেকে ফেলে দেওয়ার পর অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জন তার চোখ বেঁধে ও মুখ চেপে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। এ সময় নারীর কাছে থাকা একটি মোবাইল ফোন, নগদ ১০ হাজার ৫শ টাকাসহ সঙ্গে থাকা অন্যান্য মালামাল নিয়ে চলে যান।

Top