একটি তহবিল গঠন করছে বিশ্বব্যাংক - Alokitobarta
আজ : বুধবার, ১৯শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

একটি তহবিল গঠন করছে বিশ্বব্যাংক


মোহাম্মাদ আবুবকর সিদ্দীক ভুঁইয়া :মহামারি রোধে কাজ করার জন্য একটি তহবিল গঠন করছে বিশ্বব্যাংক। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে সংস্থাটির বোর্ড সভায় বৃহস্পতিবার এটির অনুমোদন দেওয়া হয়। মূলত নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইকে জোরদার করার জন্য এ বিনিয়োগ তহবিলটি গঠন করা হবে। খবর এএফপির।বিশ্বব্যাংক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, চলতি বছরের শেষের দিকে এটি গঠন করা হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি ও ইন্দোনেশিয়ার নেতৃত্বে জি২০-ভুক্ত দেশগুলো তহবিলটি গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। এটি ইতোমধ্যেই ঘোষিত ১০০ কোটি ডলারের বেশি নিয়ে যাত্রা শুরু করবে। এ অর্থ মহামারি নজরদারিসহ বেশ কয়েকটি খাতে ব্যবহার করা হবে।সংস্থাটি বলছে, নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর ওপর ফোকাস করে এই তহবিলের মাধ্যমে মহামারি প্রতিরোধ, প্রস্তুতি ও মোকাবিলায় (পিপিআর) সহায়তা করা হবে। এটি কোভিড-১৯ মহামারির ধ্বংসাত্মক মানবিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষতি কাটিয়ে শক্তিশালী স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সহায়তা করবে। এ ছাড়া দেশগুলোর জরুরি প্রয়োজনে সমন্বিত পদক্ষেপের মাধ্যমে অতিরিক্ত অর্থ সংগ্রহের জন্য তৎপরতা চালানো হবে।বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, বিশ্বব্যাংক হচ্ছে পিপিআর খাতে বৃহৎ অর্থ প্রদানকারী সংস্থা। যার মাধ্যমে ১০০টিরও বেশি উন্নয়নশীল দেশে তাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার জন্য সক্রিয় কার্যক্রম রয়েছে।

বিশ্বব্যাংক বলেছে, নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশ এবং অঞ্চলগুলোকে পরবর্তী মহামারির জন্য প্রস্তুত করতে বিদ্যমান প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজকে পরিপূরক করার জন্য এ তহবিল থেকে অর্থায়ন করা হবে।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান তেদরোস আধানম গেব্রেয়াসুস বলেছেন, এই প্রকল্পে স্টেকহোল্ডার ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা প্রদান করবে ডব্লিউএইচও।মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক বিবৃতিতে বলেছেন, ১০ লাখের বেশি আমেরিকান এবং বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষ কোভিড-১৯-এ প্রাণ হারিয়েছে। তিনি মহামারি প্রস্তুতিতে বিনিয়োগ বাড়ানোর ওপর গুরুতারোপ করে বলেন, পরবর্তী মহামারির জন্য প্রস্তুতির জন্য বিনিয়োগ করার এখনই সঠিক সময়। এটি টেকসই বিষয় হবে।

পৃথক বিবৃতিতে মার্কিন অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন, তহবিলটিকে ‘একটি বড় অর্জন’ বলে অভিহিত করেছেন। এটি নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোকে পরবর্তী মহামারির জন্য আরও ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে সাহায্য করবে। তিনি বলেন, আমরা কোভিড-১৯ ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার জন্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। বিশ্বব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারদের আজকের সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতের মহামারি প্রতিরোধ, শনাক্তকরণ এবং মোকাবিলায় সক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। বিশ্বব্যাংকের এক মুখপাত্র এএফপিকে বলেছেন, যদি তহবিলটি কার্যকর করার সময় কোভিড-১৯ মহামারি চলমান থাকে, তবে এটি বর্তমানের পাশাপাশি ভবিষ্যতের মহামারিগুলোর বিরুদ্ধে সহায়তা প্রদানের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।

Top