নেতৃত্বশূন্য কোনো দল নির্বাচন করলে জনগণ তাদের কী দেখে ভোট দেবে - Alokitobarta
আজ : শুক্রবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নেতৃত্বশূন্য কোনো দল নির্বাচন করলে জনগণ তাদের কী দেখে ভোট দেবে


মোহাম্মাদ আবুবকর সিদ্দীক ভুঁইয়া :আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নেতৃত্বশূন্য কোনো দল নির্বাচন করলে জনগণ তাদের কী দেখে ভোট দেবে। জনগণ ওই চোর-ঠকবাজ, এতিমের অর্থ আত্মসাৎকারী, খুনি, অস্ত্র চোরাকারবারি, সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের দেশ চালানোর জন্য ভোট দেবে না। বাংলাদেশের মানুষ এ ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন। তারা জানে আওয়ামী লীগ এবং নৌকা মার্কার প্রয়োজন আছে। এবারের বন্যায়ও তো নৌকার জন্য হাহাকার। কাজেই বুঝতে হবে নৌকা ছাড়া তো বাংলাদেশে গতি নেই। এটা মনে রাখতে হবে। আওয়ামী লীগ তার জন্মলগ্ন থেকেই মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। স্বাধীনতাই শুধু এনে দেয়নি। স্বাধীনতার সুফল এখন ঘরে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছে। এ দেশের মানুষের যত অর্জন তার সবই আওয়ামী লীগের হাত ধরেই এসেছে। এদিন জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ধারাবাহিক গণতন্ত্র আছে বলেই দেশের উন্নতি হচ্ছে।বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন প্রসঙ্গে সরকারপ্রধান বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিয়েছিল। তখন তারা কীভাবে নমিনেশন দিয়েছিল। এখান থেকে ফখরুল ইসলাম সাহেব একটা দেয়, রিজভী সাহেব একটা দেয় আর লন্ডন থেকে তারেক রহমান আরেকটা দেয়। সকালে তাদের এক ক্যান্ডিডেটের নাম যায়, দুপুরে যায় আরেকজনের। তারপর যায় আরেকজনের নাম। তাদের অন্তত দুজন আমাকে নিজের মুখে বলে গেছেন। এনাম আহমেদ চৌধুরী এবং মোর্দেশ খান, তারা বলেছেন, তারেক রহমান তাদের কাছে টাকা চেয়েছে। এমন এক অ্যামাউন্ট চেয়েছে, তারা বলেছে আমরা এটা দিতে পারব না। তাদের মনোনয়ন ক্যান্সেল। সেজন্য তারা নির্বাচনই করেনি। যে নির্বাচনে তারা বাণিজ্য করে, সেই নির্বাচনে ভোটই কী আর নির্বাচন করবেই বা কী?শেখ হাসিনা বলেন, আমি শুনলাম-খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান স্লোগান দেয় ‘পঁচাত্তরের পরাজিত শক্তি’। এর মধ্য দিয়ে এটাই প্রমাণ করেছে তার বাপ পাকিস্তানের দালাল ছিল। তার মাও পাকিস্তানি দালাল হিসাবেই ছিল। তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে সম্পূর্ণরূপে নস্যাৎ করতে চেয়েছিল। আদর্শ ও ইতিহাস একে একে মুছে ফেলেছিল। জাতির পিতার নামও মুছে ফেলেছিল। কাজেই তারা ওই স্লোগান দেবে এটা খুবই স্বাভাবিক। পাকিস্তানের পদলেহন করে চলাটাই তাদের অভ্যাস। তারা তো স্বাধীনতার চেতনাতেই বিশ্বাস করে না। স্বাধীন জাতি হিসাবে যে একটা মর্যাদা আছে, এটাই তাদের পছন্দ নয়। তারা পরাধীন থাকতেই পছন্দ করে।

তিনি বলেন, বিএনপির এক নেতা বলেছেন, তারেক রহমানকে নাকি আসতে দেওয়া হয় না। সেই নেতা মিথ্যা কথা বলেছে। ২০০৭ সালে তারেক জিয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে মুচলেকা দিয়েছিল আর রাজনীতি করবে না। এই শর্তে সে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে বিদেশে পাড়ি জমায়। বিএনপি নেতাদের সেটা ভুলে যাওয়ার কথা নয়। কাজেই তাকে তো কেউ বিতারিত করেনি। স্বেচ্ছায় চলে গিয়ে আর ফিরে আসেনি। একজন নেতার যদি ফিরে আসার সাহস না থাকে সে আবার নেতৃত্ব দেয় কীভাবে? তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমাকেও তো বাধা দিয়েছিল। মার্ডার কেস দিয়েছিল। ওয়ারেন্ট ইস্যু করেছিল। আমি চ্যালেঞ্জ হিসাবে নিয়ে দেশে এসেছিলাম।
শেখ হাসিনা বলেন, এরাই যে পঁচাত্তরের হত্যাকাণ্ডে জড়িত, জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া, তারেক রহমান সেটা বক্তব্যের মাধ্যমে প্রমাণ করে দিয়েছে। পঁচাত্তরের হাতিয়রাকে সমর্থন দিয়ে, খুনিদের পক্ষ নিয়ে প্রমাণ করেছে তারা এর সঙ্গে জড়িত। এই খুনিদের বিচারের হাত থেকে মুক্তি দিয়ে পুরস্কৃত করেছিল জিয়া। তবে পাপ বাপকেও ছাড়ে না। জিয়া কিন্তু সেভাবেই নিহত হয়েছিল। তার লাশও কেউ পায়নি। খালেদা জিয়া ও তার ছেলেও কখনো বলতে পারবে না লাশ দেখেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আজকে পদ্মা সেতু নিয়ে তারা কথা তুলেছে। সেখানে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিল বিশ্বব্যাংক। খালেদা জিয়ার আমলে সিদ্দিরগঞ্জ পাওয়ার প্লান্টে দুর্নীতির দায়ে বিশ্বব্যাংক কিন্তু অর্থ বন্ধ করে দিয়েছিল। পরে আমেরিকার গোয়েন্দারা এটা বের করেছিল যে, কোন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে খালেদা জিয়া ও ছেলেরা অর্থ ঘুস নিয়েছিল। ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়ক করার সময়ে দুর্নীতির দায়ে বিশ্বব্যাংক সড়কে অর্থ বন্ধ করেছিল। তাদের চরিত্রই এই। তারা বিদেশে যে টাকা পাচার করেছিল আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে সেই টাকা কিছু অংশ ফেরত এনেছে। এরপরও তাদের মুখ থেকে এত বড় কথা কীভাবে আসে? মিথ্যা কথা বানানো এবং মিথ্যা কথা বলার একটি কারখানা যদি থেকে তাকে সেটা হচ্ছে বিএনপি। তারা মিথ্যা বানাতে ও বলতে তারা খুব ভালো পারে।আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, দেশটা আমাদের। দেশ ও মানুষ মানুষের কল্যাণ আওয়ামী লীগ যতটা বুঝবে, অন্যরা তা বোঝে না। বিএনপির হৃদয়ে থাকে পাকিস্তান। ‘দিল মে হ্যায় পেয়ারে পাকিস্তান।’ সারাক্ষণ গুণ গুণ করে ওই গানই গায়। ‘হায় মেরে জান, পেয়ারে মান, আখো কি তারা, আসমান কি চান, মেরে জান পাকিস্তান।’ এই হলো খালেদা জিয়ার কথা। কাজেই এই যাদের মানসিকতা তারা তো বাংলাদেশের কোনো ভালো চাইবে না এটা খুব স্বাভাবিক। এটা নিয়ে এত দুঃখ বা চিন্তা করার কিছু নেই। আর ওদের কথা যত না বলা যায় ততই ভালো। কারণ ওরা বাংলাদেশের স্বাধীনতাতেই বিশ্বাস করে না। জিয়া, খালেদা জিয়া কারও জন্মই বাংলাদেশে নয়। বরং এদের সবগুলোকে গাঁট্টি বাইন্ধ্যা পাকিস্তানে পাঠিয়ে দিলেই ভালো হয়।

তিনি আরও বলেন, আমার বাবা ছিলেন এই দেশের। আমার জন্মও এই মাটিতে। কাজেই মাটির টান আলাদা। এখানে আমাদের নাড়ির টান। কাজেই এ দেশের মানুষের ভাগ্য গড়াটাই আমাদের লক্ষ্য। প্রতিষ্ঠাবার্ষির্কীতে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর জনগণ উপলব্ধি করেছে, সরকার জনগণের সেবক। ২০০৯ থেকে আমরা সরকার গঠন করেছি। জনগণ বারবার আমাদের ভোট দিয়েছে। সেই ভোটে নির্বাচিত হয়ে আমরা বারবার এসেছি।প্রধানমন্ত্রী বলেন, একদিকে করোনাভাইরাস। তারপর আবার রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। আবার করোনা দেখা দিয়েছে। সবাইকে সাবধানে থাকতে হবে। এ ভয়াবহতা শুধু আমাদের নয়, বিশ্বব্যাপী। সমগ্র বিশ্বেই খাদ্যমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। তারপরও আমাদের অর্থনীতির গতিটা সচল রাখতে সক্ষম হয়েছি। বাজেটও আমরা দিয়েছি। তিনি বলেন, আমি আবারও বলব- আমাদের এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে। প্রত্যেকের যতটুকু জায়গা আছে, সেখানে কিছু না কিছু করতেই হবে।

বন্যা কিন্তু এখানেই থামবে না : আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীসহ সবাইকে সতর্ক করে শেখ হাসিনা বলেন, বন্যা কিন্তু এখানেই থামবে না। এই পানি আস্তে আস্তে নিচে নামতে থাকবে ধীরে ধীরে একেকটা এলাকা প্লাবিত হবে। এটা প্রকৃতির সঙ্গে জড়িত। এটা কিন্তু আষাঢ় মাস অর্থাৎ সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত চলবে। কাজেই আমাদের সেই প্রস্তুতিও রাখতে হবে। আমাদের নেতাকর্মীরা সবাই প্রস্তুত থাকবে। এ সময় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়ানোয় ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এটাই আওয়ামী লীগ। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই আওয়ামী লীগ জনগণের সেবক। জনগণের পাশে থাকে। এই আদর্শই আমাদের জাতির পিতা শিখিয়েছেন। এটা নিয়েই আওয়ামী লীগ চলবে। তিনি বলেন, আজকে বন্যা হয়েছে। বন্যায় বিএনপির কোনো নেতা সাহায্য দেয়নি। ঢাকায় বসে বসে নানা কথা বলে বেড়াচ্ছে।আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহীর সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য পারভীন জামান কল্পনা, ঢাকা মহানগর উত্তর এবং দক্ষিণের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান ও আবু আহমেদ মন্নাফী। গণভবন প্রান্ত থেকে সভা পরিচালনা করেন দলটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ।

ধারাবাহিক গণতন্ত্র আছে বলেই দেশের উন্নতি হচ্ছে- সংসদে প্রধানমন্ত্রী :প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, গণমানুষের সমর্থন নিয়ে আমরা নিজেদের অর্থায়নে পদ্মা সেতুর নির্মাণ করতে পেরেছি। এভাবেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। আর কখনো অন্যের মুখাপেক্ষী হবে না। কারও কাছে হাত পেতে চলবে না। ধারাবাহিক গণতন্ত্র আছে বলেই দেশের উন্নতি হচ্ছে। তিনি এ সময় সরকারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুল ধরে বলেন, আমি ২১০০ সালের ডেল্টাপ্লান করে দিয়েছি। ২০৪১ সালে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ যাতে হয় সেই পরিকল্পনাও তৈরি করে দিয়েছি। এই ধারাবাহিকতা নিয়ে দেশ চলতে থাকলে এ দেশের অগ্রযাত্রা আর কেউ থামাতে পারবে না। রুখতে পারবে না।বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে অনির্ধারিত আলোচনার সূত্রপাত করেন অভিজ্ঞ পার্লামেন্টারিয়ান তোফায়েল আহমেদ। আলোচনায় আরও অংশ নেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ আমির হোসেন আমু। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এ সময় সভাপতিত্ব করেন।

আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠার ইতিহাস ও প্রেক্ষাপট তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, পাকিস্তান সৃষ্টির সাত মাসের মধ্যে পূর্ব পাকিস্তান সম্পর্কে একটি বৈরী মনোভাব দেখা যায়। বাংলা ভাষায় কথা বলার অধিকার কেড়ে নেওয়ার প্রচেষ্টাসহ আর্থসামাজিকভাবে আমাদের শোষণ, নির্যাতন-নিপীড়ন শুরু করে। এ প্রেক্ষাপটে জাতির পিতা ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেন। আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়। সৃষ্টিলগ্ন থেকেই আওয়ামী লীগ এ দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, পাকিস্তান নামের দেশটি যেভাবে আমাদের শোষণ করে যাচ্ছিল। ২৩ বছরের সংগ্রাম ও জাতির পিতার নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। স্বাধীন জাতি হিসাবে মর্যাদা পেয়েছি। বাংলাদেশ নামটিও বঙ্গবন্ধুর দেওয়া। তিনি বলেন, দলটিকে অসাম্প্রদায়িক চেনতায় গড়ে তোলার জন্য ১৯৫৫ সালের কাউন্সিলে মুসলিম শব্দটি বাদ দিয়ে নাম দেওয়া হয়। আর স্বাধীন বাংলাদেশে কাউন্সিল অধিবেশনে আওয়ামী লীগের নাম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ হিসাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে।স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনে আওয়ামী লীগের ভূমিকার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ নামের সঙ্গে যেমন স্বাধীনতা ও অধিকার জড়িত। মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে জাতিসংঘ স্বল্পোন্নত দেশের মর্যাদা দেয়। ১৯৭৫ সালেই বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের মর্যাদা পায়। বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট আমরা কেবল জাতির পিতাকে হারাইনি। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনাকেও হারিয়ে ছিলাম। বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নিহত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগের অগণিত মানুষের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে জনগণের সেবা করার অধিকার পেয়েছি। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছি। আজকে ধারাবাহিক গণতন্ত্র আছে বলেই বাংলাদেশের উন্নতি হচ্ছে।

Top