সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারীদের আইনের আওতায় আনতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বসে নেই
মু এবি সিদ্দীক ভুঁইয়া :বড়ই আতঙ্কের নাম ছিনতাইকারী। যারা ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন, কেবল তারাই জানেন-ঘটনার সময়কার শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি। অনেকে সর্বস্ব খুইয়ে ফিরে আসেন। কখনো ছিনতাইকারীর হাতে নির্মমভাবে খুনের ঘটনাও ঘটে। তবে সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারীদের আইনের আওতায় আনতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বসে নেই। নানামুখী প্রচেষ্টার মাধ্যমে তারা ছিনতাইকারীদের অনেকের হালনাগাদ তালিকা প্রস্তুত করতে সক্ষম হয়েছে। যা থানায় থানায় পুলিশের খাতায় সবিস্তারে লেখা আছে। কিন্তু তথ্যানুসন্ধানে দেখা গেছে, চিহ্নিত ছিনতাইকারীদের বেশির ভাগ বন্দি আছে পুলিশের খাতায়। যাদের অনেকের থাকার কথা কারাগারে।সংশ্লিষ্টদের কেউ কেউ মনে করেন, কার্যকর অভিযান না থাকায় এসব ছিনতাইকারীর অনেকে শুধু ধরাছোঁয়ার বাইরে নন, প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করছেন। আর ১০টা মানুষের মধ্যে তাদের স্বাভাবিক জীবন চলছে বহালতবিয়তে। অভিযোগ আছে, এ চক্রের সদস্যরা ছিনতাই থেকেও সরে আসেনি। অথচ গ্রেফতার হচ্ছে না। এমনকি পুলিশের এ তালিকায় নামকরা কলেজ শিক্ষার্থীও রয়েছে। যাদের তিনজনের সঙ্গে প্রতিবেদকের কথা হয়েছে।
ডিএমপির প্রতিবেদন : চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি এবং খুনসহ রাজধানীর অপরাধ পরিস্থিতি নিয়ে প্রতি মাসে আদালতে প্রতিবেদন দেয় ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। গত মার্চ এবং এপ্রিলের প্রতিবেদনে ছিনতাই বা দস্যুতার মামলা দেখানো হয়েছে যথাক্রমে ২১৭ এবং ২০৮টি। তবে এর মধ্যে ছিনতাই সংঘটিত হয়েছে এরকম মামলা আরও কম। দুই মাসে মাত্র ২৬টি। বাকিগুলো সবই ছিনতাই চেষ্টার মামলা। পুলিশের এই কাগুজে পরিসংখ্যান অনুযায়ী রাজধানীর ৫০টি থানার মধ্যে সর্বাধিক ছিনতাই চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে যাত্রাবাড়ী এলাকায়। এর পরের অবস্থানে আছে যথাক্রমে তেজগাঁও এবং মোহাম্মদপুর। তবে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ছিনতাই চেষ্টা বলে যা বলা হচ্ছে, বাস্তবে আসলে সেগুলো ছিনতাই সংঘটিত হওয়ারই ঘটনা। পারফরমেন্স খারাপ হয়ে যাবে বলে এ ধরনের কৌশলের আশ্রয় নেওয়া হচ্ছে।অভিযোগ আছে, ছিনতাইয়ের ঘটনা কম দেখাতে চায় পুলিশ। কারণ মামলা বেশি হলে বিপদে পড়েন ওসিসহ সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ। তাই ছিনতাইয়ের মামলা দিতে গেলে চুরির ধারা দেওয়া হয়। তদবির বা চাপের মুখে মামলা নেওয়া হলেও আইনের ফাঁক রাখে পুলিশ। মামলা রেকর্ড হয় দণ্ডবিধির ৩৯৩ ধারায়।এখানেই আইনগত ফাঁক রাখা হয়, যা ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষের জানার কথা নয়। ঘটনার শিকার ব্যক্তি ধরেই নেয় পুলিশ মামলা নিয়েছে। অভিযান চলছে, আসামি ধরা পড়বে। ছিনতাইকৃত জিনিসপত্র ফিরে পেতেও পারেন। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। বিশেষ কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তি ছাড়া বাকিদের আশা আর পূরণ হয় না।এর কারণ হলো আইনের উল্লিখিত ধারার ভাষ্যমতে পুলিশ তো ছিনতাই সংঘটিত হওয়ার প্রাক্কালে ত্বরিত পদক্ষেপ নেওয়ায় ছিনতাইকারী পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে গেছে। অথচ ছিনতাই সংঘটিত হলে সুনির্দিষ্টভাবে দণ্ডবিধির ৩৯২ ও ৯৪ ধারায় মামলা দায়েরের বিধান রয়েছে।
পুলিশের তালিকা : সক্রিয় ছিনতাইকারী হিসাবে রাজধানীতে সাড়ে পাঁচশ’র বেশি নাম রয়েছে পুলিশের হাতে। এদের মধ্যে বেশির ভাগই ভাসমান। কেউ কেউ আছেন পেশাদার। আবার অবিশ্বাস্য হলেও ছিনতাইকারীদের অনেকে পুলিশের সোর্স হিসাবে কাজ করে বলে অভিযোগ আছে। এদের একটি বড় অংশের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় আছে একাধিক মামলা। যে কারণে সোর্স নামধারী ছিনতাইকারীরা আরও বেশি বেপরোয়া।নিউমার্কেট এলাকায় ছিনতাইয়ে জড়িতদের অনেকেই পুলিশের তালিকাভুক্ত। এর মধ্যে ঢাকা কলেজের বেশ কয়েকজন ছাত্রের নামও আছে। তাদের অনেকে কলেজের ছাত্রবাসেই থাকেন। কলেজের উত্তর ছাত্রাবাসের বাসিন্দা কাওছার ওরফে কালা কাওছারের নাম আছে ছিনতাইকারী তালিকায়। রোববার ছাত্রাবাসে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। ছাত্রাবাসের বেশ কয়েকজন ছাত্র বলেন, কাওছার একসময় নানাবিধ অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। প্রায়ই তার খোঁজে পুলিশ আসত। কয়েকবার তাকে ডিবি পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে ছাত্রাবাস ছেড়ে অন্যত্র চলে যান কাওছার।পুলিশের তালিকায় কাওছারের মোবাইল নম্বর পাওয়া যায়। ফোন করা হলে তিনি ছিনতাইয়ের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, দেড় বছর আগে তিনি ঢাকা ছেড়ে সিলেটে চলে আসেন। সেখানে চাকরি করছেন। পুলিশের তালিকায় নাম থাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আগে তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ফলে কেউ প্রতিহিংসাবশত তার নাম দিয়ে থাকতে পারে। বাস্তবে এর কোনো ভিত্তি নেই।তালিকায় নাম আছে আশরাফুল ইসলাম, তাহেরুল ইসলাম এবং হৃদয় নামের আরও তিনজনের। এরা সবাই কলেজের আবাসিক ছাত্র। এর মধ্যে আশরাফুল ইসলাম আন্তর্জাতিক ছাত্রাবাসে এবং অন্য দুজন উত্তর ও দক্ষিণ ছাত্রাবাসে থাকতেন। রোববার আন্তর্জাতিক ছাত্রাবাসে গিয়ে আশরাফুলের খোঁজ করলে কয়েকজন ছাত্র জানান এ নামে এখন কোনো আবাসিক ছাত্র নেই। তবে আশরাফুল একসময় ভবনের ১০১ নম্বর গণরুমে থাকতেন। বছর খানেক আগে তিনি ছাত্রাবাস ছেড়ে অন্যত্র চলে যান। তাকে আর কলেজেও দেখা যায় না।
উত্তর ছাত্রাবাসের ছাত্র হৃদয়ের নাম আছে নিউমার্কেট থানার ৭ নম্বরে। তার খোঁজে ছাত্রাবাসে গেলে শিক্ষার্থীরা জানান হৃদয় পুরোপুরি আবাসিক নন। তিনি মাসের পর মাস বাইরেই থাকেন। তার মোবাইল নম্বরে ফোন করা হলে ২০ মিনিটের মধ্যে তিনি ছাত্রাবাসের সামনে হাজির হন। অভিযোগ অস্বীকার করে হৃদয় কাছে দাবি করেন, ‘তিনি ঢাকা মহানগর (উত্তর) ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি। পদ পদবি নিয়ে অনেক সময় নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এসব কারণে ছিনতাইকারীদের তালিকায় তার নাম ঢুকানো হয়ে থাকতে পারে। বাস্তবে তিনি কখনোই ছিনতাইরে মতো অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না।’ তবে তিনি স্বীকার করেন তালিকায় নাম থাকায় একবার তাকে ডিবি পুলিশ ডেকে নিয়ে যায়। জিজ্ঞাসাবাদের পর মুচলেকা নিয়ে তাকে ছাড়া হয়।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নিউমার্কেট এলাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনা এখন অনেকটাই গা-সওয়া। চোখের সামনে বাসের জানালা দিয়ে যাত্রীদের ব্যাগ, গলার চেন অথবা স্বর্ণালংকার হ্যাচকা টানে ছিনিয়ে মুহূর্তে সরে পড়ে দুর্বৃত্তরা। এ ছাড়া মার্কেটে শপিং করতে ঢোকার পর অনেকেই তার মানিব্যাগ, মোবাইল এবং স্বর্ণালংকার খোয়ান। একটু বে-খেয়াল হলেই মূল্যবান সামগ্রী গায়েব হয়ে যায়। পুলিশের তালিকায় বলা হয়েছে, নিউমার্কেট এলাকার ছিনতাই চক্রের দলনেতার নাম মাসুদ রানা। অন্তত ১৫ থেকে ২০ জন সহযোগী রয়েছে তার। তালিকায় মাসুদের মোবাইল নম্বরও উল্লেখ করা হয়েছে।রোববার ফোন করা হলে মাসুদ বলেন, ‘তিনি ছিনতাইকারী নন। কখনোই এ ধরনের অপরাধে জড়িত ছিলেন না। ঢাকায় তিনি টাকা ধারের ব্যবসা করেন।অর্থাৎ পরিচিতজনকে টাকা ধার দিয়ে লাভ নেন তিনি। তার বাড়ি বরিশালের হিজলা উপজেলায়। এ ছাড়া গাউছিয়া মার্কেট এলাকায় ছিনতাইয়ে জড়িতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন পুলিশের সোর্স হিসাবে কাজ করেন বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে রাশেদ ওরফে ফরমা রাশেদ এবং ফরমা নাদিম অন্যতম।
ভয় স্টেশন-টার্মিনালে : সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা যায়, খুব ভোরে রেলস্টেশন এবং বাস টার্মিনাল এলাকায় যাত্রীদের অনেকেই ছিনতাইয়ের কবলে পড়ছেন। কমলাপুর স্টেশনে ট্রেন ধরতে যাওয়ার পথে গত ২ মে ছিনতাইয়ের শিকার হন স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইয়াছির আরাফাত। ভোর সাড়ে ৫টায় মালিবাগ বাজারে আকস্মিক একদল দুর্বৃত্ত ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার পথ আগলে দাঁড়ায়। টাকা পয়সা, মূল্যবান কয়েকটি মোবাইল ফোন এবং দুটি ল্যাপটপ কেড়ে নেয়। ছিনতাইকারীরা সরে পড়লে তিনি পুলিশের জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ ফোন করেন। স্থানীয়দের সহায়তায় ঘটনাস্থল থেকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ উদ্ধার করে পুলিশকে দেওয়া হয়। শাহজাহানপুর থানায় মামলাও করেন ভুক্তভোগী।ইয়াছির আরাফাত সোমবার বলেন, অভিযান চালিয়ে স্বল্পসময়ে ছিনতাই চক্রের প্রধান জহিরুল ইসলাম ওরফে জহিরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। তিনি থানায় গিয়ে ছিনতাইকারীকে শনাক্ত করেন। পরে আদালতে চালান দেওয়ার আগে পুলিশের সিডিএমএস (অপরাধ তথ্য ভাণ্ডার) পরীক্ষা করে দেখা যায় জহির একজন কুখ্যাত সন্ত্রাসী। শুধু শাহজাহানপুর থানাতেই তার বিরুদ্ধে অন্তত ১০টি মামলা রয়েছে।জানা যায়, ছিনতাইকারী হিসাবে পুলিশের তালিকাভুক্তদের একটি বড় অংশ ভাসমান। তবে অনুসন্ধান চালিয়ে কয়েকশ’ ছিনতাইকারীর নাম, নম্বর এবং ঠিকানা জোগাড় করতে সক্ষম হয় পুলিশ। কিন্তু গ্রেফতার অভিযান বিলম্বিত হওয়ায় তাদের অনেকে ইতোমধ্যে ঠিকানা বদলেছেন। পুলিশের তালিকা ধরে সরেজমিন এদের বেশ কয়েকজনের সন্ধান চালায় যুগান্তর। খিলগাঁও থানায় তালিকাভুক্ত একনম্বর ছিনতাইকারীর নাম রিফাত হোসেন ওরফে শিশির। পিতার নাম রিপন হোসেন। খিলগাঁও সিপাহীবাগের ২৬৯/৩ (৪তলা গলি) নম্বর বাড়ির ভাড়াটিয়া তিনি। মঙ্গলবার সেখানে গেলে বাড়ির কেয়ারটেকার জাহাঙ্গীর হোসেন নিচতলায় একটি টিনের শেড দেখিয়ে বলেন, রিফাত হোসেন শিশিরের বাবা রিপন হোসেন একসময় এখানে ভাড়া থাকতেন। কিন্তু বেশ কয়েক বছর আগেই তারা এ এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন। তারা এখন কোথায় থাকেন তার কোনো খবর তার জানা নেই।
খিলগাঁও থানার তালিকায় ৩ নম্বর নাম সুবজ শেখ। তার পিতার নাম খোকন শেখ। দক্ষিণ বাসাবোর ৩১ নম্বর বাড়ির ভাড়াটিয়া তিনি। বুধবার সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বাড়িটি ৪তলা। উপর তলায় মেস। বাকিগুলোতে তিনটি ভাড়াটিয়া পরিবার থাকেন। বাড়ির সামনেই এক ভাড়াটিয়া মুদি দোকান চালান। তার নাম খলিল। ছিনতাইকারী হিসাবে তালিকাভুক্ত সবুজ শেখ সম্পর্কে জানতে চাইলে খলিল বলেন, তার জানা মতে এ নামে এখানে কেউ থাকে না।তালিকার ৬ নম্বরে আছে রিপন ওরফে লিয়ন নামের এক কিশোরের নাম। তার পিতার নাম কাছিম উদ্দিন। বর্তমান ঠিকানা ৩৯৪/৪ (মুন্না মিয়ার বাড়ি) শাহজাহানপুর। কিন্তু উল্লিখিত ঠিকানায় গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। পুলিশের তালিকা দেখিয়ে রিমনের খোঁজ চাইলে বাড়ির বাসিন্দারা জানান, রিমন নামের কাউকে তারা চেনেন না। পুলিশও এ নামের কারও খোঁজে কখনো আসেনি।
ছিনতাইকারীদের নাম ঠিকানাসহ বিস্তারিত তালিকা থাকলে তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না কেন? প্রশ্ন করা হয় ঢাকা মহানগর পুলিশের মুখপাত্র উপ-পুলিশ কমিশনার ফারুক হোসেনের কাছে। বুধবার তিনি তার কার্যালয়ে যুগান্তরকে বলেন, ‘ছিনতাইকারীদের ধরা হচ্ছে না এ অভিযোগ একেবারেই ঠিক নয়। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ঈদুল ফিতরের আগে শতাধিক ছিনতাইকারীকে ধরা হয়েছে। কিন্তু পুলিশ ধরলে কি হবে-অপরাধীদের অনেকেই স্বল্পসময়ে জামিন পেয়ে পুরোনো পেশায় ফিরছেন।’এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ছিনতাইয়ের মতো অপরাধ হয়তো একেবারেই নির্মূল হবে না। তবে নিয়ন্ত্রিত অবস্থায় রাখতে হলে যারা বিচার প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত আছেন তাদেরও একটা উদ্যোগ প্রয়োজন। চিহ্নিত ছিনতাইকারীরা যাতে সহজে জামিন না পান। একটা নির্দিষ্ট সময়, সংশোধন পর্যন্ত যেন তিনি কারাগারে থাকতে বাধ্য হন।’
ছিনতাই মামলায় আসামিদের জামিনের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আবু বৃহস্পতিবার বলেন, ‘অপরাধের ধরনের ওপর অনেক আসামির জামিন নির্ভর করে। এটি আসলে বিচারকের এখতিয়ার। তবে আমরা রাষ্ট্রপক্ষ সবসময় জামিনের বিরোধিতা করি। অনেক সময় মামলার গ্রাউন্ড দেখে আদালত আসামির জামিন মঞ্জুর করেন। কেউ কেউ দীর্ঘসময় হাজতবাস করলে জামিন পান। আবার লঘু অপরাধের ক্ষেত্রে আসামিদের দ্রুত জামিন হয়।