‘নির্বাচনে অংশগ্রহণের এতই যখন ইচ্ছা, তাহলে ঋণ পরিশোধ করা উচিত ছিল’
এবি সিদ্দীক ভুঁইয়া : যারা ঋণখেলাপি হয়েও ভোট করতে চান- তা না পেরে আবার আদালতে যান, তাদের আইনি অধিকার থাকা উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।বৃহস্পতিবার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে এক প্রার্থীর করা রিট আবেদনের শুনানিতে হাইকোর্ট এমন মন্তব্য করেন।শুনানি শেষে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রিট আবেদনটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন। আগামী ১১ নভেম্বর চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। ওই ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য পদে মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া মহিউদ্দিন সিদ্দিকী এই রিট আবেদনটি করেন।
নির্বাচন কমিশন বলছে, ওয়ান ব্যাংকের চট্টগ্রাম ইপিজেড শাখার তথ্য অনুযায়ী, মহিউদ্দিন সিদ্দিকী ঋণখেলাপি। স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) নির্বাচন বিধিমালা অনুযায়ী তার মনোনয়নপত্র গ্রহণযোগ্য নয়। এই কারণ দেখিয়ে গত ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামের নির্বাচন কমিশন কার্যালয় মহিউদ্দিন সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র বাতিল করে। পরে আপিল কর্তৃপক্ষও তা বহাল রাখে।ওই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করেই হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন মহিউদ্দিন সিদ্দিকী। আদালতে তার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী রেজাউল হোসাইন মোরশেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার। শুনানিতে আইনজীবী রেজাউল হোসাইন বলেন, মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ার কারণে মহিউদ্দিন সিদ্দিকী নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না। এতে তার সাংবিধানিক অধিকার ‘খর্ব’ হচ্ছে। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম তখন বলেন, ঋণখেলাপির কোনো আইনি অধিকার থাকতে পারে না।
নির্বাচনে অংশগ্রহণের এতই যখন ইচ্ছা, তাহলে নির্ধারিত সময়ের আগে ঋণ পরিশোধ করা উচিত ছিল। বিচারক বলেন, ছোট হোক বড় হোক আইন সবার জন্য সমান। একজনের জন্য আইনের ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া যাবে না। পরে আদালত মহিউদ্দিন সিদ্দিকীর রিট আবেদনটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন।